নিজের ব্যক্তিগত চেম্বারের জুনিয়র আইনজীবীকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক আইনজীবী মোমতাজ উদ্দিন মেহেদীকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি ৬ সপ্তাহ পর তাকে ঢাকার সংশ্লিষ্ট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।
মোমতাজ উদ্দিন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (বার অ্যাসোসিয়েশন ২০২২-২০২৩ সেশনের) নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন।
সোমবার (২৮ মার্চ) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের অবকাশকালীন বেঞ্চ জামিনের আদেশ দেন। আদালতে আজ জামিন আবেদনের পক্ষে অ্যাডভোকেট মোমতাজ উদ্দিন মেহেদী নিজেই শুনানি করেন। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মির্জা শোয়েব মোহাম্মদ মুহিত। আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মির্জা শোয়েব মোহাম্মদ মুহিত।
এর আগে রাজধানীর রমনা থানায় সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সিনিয়র আইনজীবী মোমতাজ উদ্দিন মেহেদীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেছেন নিজের চেম্বারের জুনিয়র নারী আইনজীবী। শুক্রবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর রমনা মডেল থানায় এ মামলাটি করেছেন তিনি।
মামলার এজাহারে ওই নারী আইনজীবী বলেন, ‘২০১৭ সালে আইনজীবী মেহেদীর সঙ্গে তার পরিচয় হয়। জুনিয়র হওয়ায় এবং তার সঙ্গে কাজ করার সুবাদে বিভিন্ন সময়ে মেহেদী তাকে প্রস্তাব দেন। এরপর মেহেদীর সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে। পাশাপাশি স্বামীকে তালাক দিয়ে তাকে বিয়ে করতে বলে।
মেহেদীর এমন প্রস্তাবে রাজি হয়ে ২০২১ সালের ২৮ নভেম্বর তিনি স্বামীকে তালাক দেন। এরপর বিভিন্ন সময়ে তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিলেও বিয়ে করেননি মেহেদী। সর্বশেষ বার কাউন্সিলে অভিযোগ দেওয়ার কথা জানালে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে একটি কাজী অফিসে গিয়ে তাকে বিয়ে করেন মেহেদী।
অভিযোগে আরও বলা হয়, তার আগের সংসারে তিন বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। ওই নারী তালাক প্রত্যাহার করে স্বামীর কাছে ফিরে যেতে চাইলেও মেহেদী ফাঁদে ফেলে শারীরিক সম্পর্ক অব্যাহত রাখে।
এরপর গত ২৩ মার্চ মেহেদীর কলাবাগানের গ্রীন রোডের ‘গ্রীন বসতি হেলমেট’ নামের অ্যাপার্টমেন্টে গেলে কোনোভাবেই তাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি সেখানে। উল্টো তাকে মারধর করা হয়। এ ঘটনার পরদিন ২৪ মার্চ সমাধানের কথা বলে ভুক্তভোগী ওই নারী আইনজীবীকে সেগুনবাগিচার বসতি অ্যাম্বাসেডর নামের একটি ফ্ল্যাটে ডেকে নিয়ে মেহেদী ধর্ষণ করে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। জানি