নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে আগামী ২৮ মার্চ অর্ধদিবস হরতালের ডাক দিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র’র ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। সব শ্রমজীবী মানুষকে হরতালে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা ২৮ তারিখ বাসার বাইরে বের হবেন না। বের হলেও হরতালে যোগ দেওয়ার জন্য বের হবেন। সবাই মিলে দল মত নির্বিশেষে যে যেভাবে পারেন ২৮ মার্চ এই হারতাল পালন করুন।
শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে ধানমন্ডি গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের বীরউত্তম মেজর হায়দার মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে ডা. জাফরুল্লাহ এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতায় আনতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভর্তুকি মূল্যে দরিদ্র ২ কোটি পরিবারকে নিয়মিত রেশন দিতে হবে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ব্যবসায়ীক সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সরকারকে দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য, জনগণের কথা সরকারের কানে প্রবেশের জন্য আগামী ২৮ মার্চ সব রাজনৈতিক দলের ও সব মানুষের উচিত শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালন করা।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আমাদের আধা বেলার জন্য রাস্তায় নামা দরকার বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আপনাদের কষ্ট হবে তারপরও অনুরোধ করছি আধা বেলা কষ্ট করেন। সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীকে বলব, অতীতের মত হরতালের সময় নিজেরা গাড়ি ভেঙে আমাদের উপর চাপাবেন না। এ হারতালে প্রধানমন্ত্রীকে সামিল হওয়ার আহ্বান জানান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রর ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। হরতালে সমর্থন জানিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, সরকারের সমস্ত উন্নয়ন তখনই ধসে পড়ে যখন জনগণ টিসিবির গাড়ির পিছে হুমড়ি খেয়ে পড়ে।
গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নূর বলেন, আমরা বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যেই আছি। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী স্যারের অতীতের সব যৌক্তিক কর্মসূচীতে আমরা তার পাশে ছিলাম, এখনো আছি। তবে হরতাল যেহেতু একটি বড় রাজনৈতিক কর্মসূচী সেহেতু আমরা দলের মিটিংয়ে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাব। ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, দ্রব্যমূল্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে আগামী ১৮ মার্চ ভুখা মিছিল করব। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, গণস্বাস্থ্যের মিডিয়া কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু প্রমুখ।