1. nagorikkhobor@gmail.com : admi2017 :
  2. shobozcomilla2011@gmail.com : Nagorik Khobor Khobor : Nagorik Khobor Khobor
বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কু‌মিল্লায় ডাকাতির নাটক সাজিয়ে প্রতিবন্ধী ভাতিজাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা ক‌রে চাচা রাজধানীর কাকরাইলে সভা সমা‌বেশ নি‌ষিদ্ধ নারায়ণগঞ্জ মহানগর ১৪ নং ওয়ার্ড কৃষক দলের কমিটি অনুমোদন শোক সংবাদ: নারায়ণগ‌ঞ্জের রিটন দে আর নেই সারজিস ও হাসনাতকে রংপু‌রে অবাঞ্ছিত ঘোষণা জাতীয় পার্টির নারায়নগঞ্জের কালিরবাজার এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ড সাবেক ছাত্র দলের সভাপতি জাকির খানের মুক্তির দাবীতে নগরীতে বিক্ষোভ ও মিছিল। দুই মেয়াদের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে না : সাকি।বিস্তারিত ভিডিও তে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসছেন প্রধান উপদেষ্টা সোনাইমুড়ী উপজেলায় বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ পরিষদ

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে প্রাণ বিসর্জনকারীদের ঋণ শোধ হওয়ার নয়

নাগ‌রিক খবর ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
  • ৩১২ বার পঠিত

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন-সংগ্রামে সেলিম ও দেলোয়ারসহ যারা প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন, তাদের রক্তের ঋণ কখনও শোধ হওয়ার নয়। দীর্ঘ সংগ্রাম ও বহু প্রাণের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অবশেষে স্বৈরশাসকের পতন ঘটে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়। আবারও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই বাংলাদেশের জনগণ ভোট ও ভাতের অধিকার ফিরে পায়।

সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামে শহীদ সেলিম ও দেলোয়ারের ৩৮তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজের জীবনকে বিপণ্ন করে পূর্ব বাংলার মানুষের জন্য একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। জাতি হিসেবে এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গ্লানিকর ৭৫-এর ১৫ আগস্ট পাকিস্তানিদের এদেশীয় দোসরদের হাতে তাকে প্রাণ বিসর্জন দিতে হয়েছে।

‘এরই সঙ্গে বাঙালিরা তাদের আত্মমর্যাদা হারিয়েছিল, হারিয়েছিল আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার। জাতির পিতাকে প্রায় সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করার পর স্বৈরশাসকেরা তাদের বুট ও বেয়নেটের খোঁচায় এদেশের মানুষের ভাগ্য লিখতে শুরু করেছিল। আমরা দু’বোন বিদেশে থাকার কারণে আমাদের তারা হত্যা করতে পারেনি। দীর্ঘ ছয় বছর আমাদের বিদেশের মাটিতে রিফিউজি হিসেবে অবস্থান করতে হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরে এসেই এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য লড়াই-সংগ্রাম শুরু করি। দেশে স্বৈরতন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেই। ৩০ লাখ শহীদের রক্ত ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার মর্যাদা রক্ষা ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামে কত তাজা প্রাণ ঝরে পড়েছে হিসাব নেই। ১৯৮৪ সালের এই দিনেও ছাত্রলীগ নেতা এইচ এম ইব্রাহিম সেলিম ও কাজী দেলোয়ার হোসেনের রক্তে ঢাকার রাজপথ রঞ্জিত হয়েছিল। আমি তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।

‘সেদিন শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের স্বৈরাচারবিরোধী মিছিলে অসংখ্য ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সংহতি প্রকাশ করে যোগ দিয়েছিলেন। মধুর ক্যান্টিন থেকে মিছিলটি শুরু হয়েছিল, যার সামনে ও পেছনে ছিল পুলিশের ট্রাক। মিছিলটি যখন ফুলবাড়িয়ার কাছে পৌঁছায়, ঠিক তখনি স্বৈরাচার সরকারের নির্দেশে মিছিলের ওপর অতর্কিতে পিছন থেকে ট্রাক চালিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

শেখ হাসিনা বলেন, ঘটনাস্থলেই ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে শাহাদতবরণ করেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন আবাসিক ছাত্র পটুয়াখালী জেলার বাউফলের সেলিম ও পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়ার দেলোয়ার, ক্ষত-বিক্ষত ও আহত অবস্থায় পড়ে ছিলেন অসংখ্য ছাত্র এবং আমাদের দলীয় নেতা-কর্মীরা। তাদের এ মহান আত্মত্যাগ তৎকালীন স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষের দুর্বার আন্দোলনকে আরও বেগবান করেছিল।

‘আমি স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি ও তাদের শোক-সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি। পরিশেষে, সেলিম ও দেলোয়ারের ৩৮তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 nagorikkhobor.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com