দেশে ১৩তম প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হলেন অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল। শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
(হাবিবুল আউয়াল) আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগে সুপার নিউমারারি (স্বল্প সময়ের জন্য) সচিব ছিলেন। সেখান থেকে তাকে রাষ্ট্রপতির ১০ শতাংশ কোটায় প্রথমে ধর্মসচিব এবং পরে প্রতিরক্ষা সচিব হিসেবে প্রেষণে নিয়োগ দেন।
২০১৫ সালের ১৭ জানুয়ারি অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) যাওয়ার কথা ছিল হাবিবুল আউয়ালের। কিন্তু ২০১৫ সালের ২১ জানুয়ারি পিআরএল বাতিল করে তাকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব হিসেবে এক বছরের চুক্তিতে নিয়োগ দেয় সরকার। পরে সেই চুক্তির মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানো হয়। ২০১৭ সালে অবসরে যান তিনি।
৬৬ বছর বয়সী হাবিবুল আউয়াল অবসর গ্রহণের পর ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে আইন বিভাগে শিক্ষকতা করছিলেন।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ১২ জন ব্যক্তি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
দায়িত্ব পালনকারী সিইসিরা হলেন:
কে এম নূরুল হুদা: ২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি।
কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ: ২০১২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি।
ড. এ টি এম শামসুল হুদা: ২০০৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি।
বিচারপতি এম এ আজিজ: ২০০৫ সালের ২৩ মে থেকে ২০০৭ সালের ২১ জানুয়ারি।
এম এ সাইদ: ২০০০ সালের ২৩ মে থেকে ২০০৫ সালের ২২ মে।
মোহাম্মদ আবু হেনা: ১৯৯৬ সালের ৯ এপ্রিল থেকে ২০০০ সালের ৮ মে।
বিচারপতি এ কে এম সাদেক: ১৯৯৫ সালের ২৭ এপ্রিল থেকে ১৯৯৬ সালের ৬ এপ্রিল।
বিচারপতি মো. আব্দুর রউফ: ১৯৯০ সালের ২৫ ডিসেম্বর থেকে ১৯৯৫ সালের ১৮ এপ্রিল।
বিচারপতি সুলতান হোসেন খান: ১৯৯০ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯৯০ সালের ২৪ ডিসেম্বর।
বিচারপতি চৌধুরী এ.টি.এম. মাসুদ: ১৯৮৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯৯০ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি।
বিচারপতি এ.কে.এম. নুরুল ইসলাম: ১৯৭৭ সালের ৮ জুলাই থেকে ১৯৮৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি।
বিচারপতি মো. ইদ্রিস: ১৯৭২ সালের ৭ জুলাই থেকে ১৯৭৭ সালের ৭ জুলাই।
এছাড়া দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে নতুন চারজন ছাড়াও ২৭ জন ব্যক্তি নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
একনজরে তাদের মেয়াদকাল
মাহবুব তালুকদার: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
মো. রফিকুল ইসলাম: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
বেগম কবিতা খানম: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
মো. শাহ নেওয়াজ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১২ থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. জাবেদ আলী: ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২ থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭।
মোহাম্মদ আবু হাফিজ: ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২ থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭।
মোহাম্মদ আবদুল মোবারাক: ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২ থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭।
ব্রিগে. জেনা. (অব.) এম, সাখাওয়াত হোসেন: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৭ থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১২।
মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন: ৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৭ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১২।
মো. সাইফুল আলম: ২০০৬ সালের ২৭ নভেম্বর থেকে ২০০৭ সালের ৩১ জানুয়ারি।
মোদাব্বির হোসেন চৌধুরী: ২০০৬ সালের ২৭ নভেম্বর থেকে ২০০৭ সালের ৩১ জানুয়ারি।
মুহাম্মদ হাসান মনসুর: ২০০৬ সালের ৪ সেপ্টেম্বর থেকে ২০০৭ সালের ৩১ জানুয়ারি।
এস.এম. জাকারিয়া: ২০০৬ সালের ১৬ জানুয়ারি থেকে ২০০৭ সালের ৩১ জানুয়ারি।
বিচারপতি মাহফুজুর রহমান: ২০০৬ সালের ১৬ জানুয়ারি থেকে ২০০৭ সালের ৩১ জানুয়ারি।
এম.এম. মুনসেফ আলী: ২০০১ সালের ১৯ এপ্রিল থেকে ২০০৬ সালের ১৯ এপ্রিল।
এ.কে মোহাম্মদ আলী: ২০০১ সালের ১৯ এপ্রিল থেকে ২০০৬ সালের ১৯ এপ্রিল।
শফিউর রহমান: ২০০০ সালের ২৫ জুন থেকে ২০০৫ সালের ২৫ জুন।
মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী: ১৯৯৬ সালের ১৬ এপ্রিল থেকে ২০০১ সালের ১৬ এপ্রিল।
আবিদুর রহমান: ১৯৯৬ সালের ১৬ এপ্রিল থেকে ২০০১ সালের ১৬ এপ্রিল।
বিচারপতি মো. আব্দুল জলিল: ১৯৯৪ সালের ৭ মে থেকে ১৯৯৬ সালের ৯ এপ্রিল।
বিচারপতি সাইদ মিসবাহ উদ্দিন হোসেন: ১৯৯০ সালের ২৮ ডিসেম্বর থেকে ১৯৯৪ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি।
বিচারপতি আমিন-উর-রহমান খান: ১৯৯০ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে ১৯৯০ সালের ২৫ ডিসেম্বর।
বিচারপতি নাইম উদ্দিন আহমেদ: ১৯৯০ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে ১৯৯১ সালের ৪ এপ্রিল।
বিচারপতি সুলতান হোসেন খান: ১৯৮৭ সালের ১১ জানুয়ারি থেকে ১৯৮৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি।
আব্দুল মুমিত চৌধুরী: ১৯৭৮ সালের ২০ অক্টোবর থেকে ১৯৮৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর।
নুর মোহাম্মদ খান: ১৯৭২ সালের ৭ জুলাই থেকে ১৯৭৭ সালের ৭ জুলাই।
এর আগে ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২’ অনুসারে নির্বাচন কমিশন গঠনে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করে গত ৫ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল।
সুত্র:জানি