অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ কাজী আরেফ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) কাজী আরেফ আহমেদের ২৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ একথা বলেন ।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ব্যক্তিগত সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য, সুযোগ-সুবিধার প্রতি তার কোনো মোহ ছিল না। ১৯৯৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের কালীদাসপুর বাজার সংলগ্ন স্কুল মাঠে এক সন্ত্রাসবিরোধী জনসভায় ঘাতকদের বুলেটে এই সংগ্রামী নেতা নির্মভাবে নিহত হন।
তিনি বলেন, জাতীয় নেতা কাজী আরেফ আহমেদ ১৯৪২ সালের ৮ এপ্রিল এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্রাবস্থায় পড়ালেখার পাশাপাশি তিনি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। দেশভাগ, দাঙ্গা, রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন, বৈষম্যমূলক সাম্প্রদায়িক রাজনীতি, জাতিগত নিপীড়ন প্রভৃতি ঘটনা তাকে ভীষণ প্রতিবাদী করে তোলে।
তিনি স্থানীয় তরুণদের সঙ্গে নিয়ে সাহসিকতার সঙ্গে পুরান ঢাকার ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা মোকাবিলা করেছিলেন। ৬-দফা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধে তিনি ছিলেন অগ্রণী সৈনিক। মুক্তিযুদ্ধে তিনি বিএলএফ বা মুজিববাহিনীর গোয়েন্দা প্রধানের দায়িত্বপালন করেন।
কাজী আরেফ ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল জাতীয় সমন্বয় কমিটি’র অন্যতম সদস্য ছিলেন। সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে তার এই অবস্থান আজকের তরুণ সমাজের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে বলে আমি মনে করি।