দামি প্রাইভেটকারে চড়ে শহর দাপিয়ে বেড়ান তারা। কাউকে একা পেলে সামনে গিয়ে গাড়ি থামান। সামনের দরজা থেকে একজন উঁকি দিয়ে জানতে চান কোনো একটি ঠিকানা। পথচারী কিছু বুঝে ওঠার আগেই পেছনের দরজা দিয়ে নেমে পড়েন দুজন। অস্ত্র ঠেকিয়ে ছিনিয়ে নেন সব। এরপর দ্রুত সরে পড়েন তারা।
শুধু পথচারীই নয়, সংঘবদ্ধ এ ছিনতাই চক্র রাতে খোলা থাকা দোকান কিংবা ফার্মেসিকেও করেন টার্গেট। প্রথমে একজন যান পণ্য কিংবা ওষুধ কিনতে। পরিস্থিতি বুঝে সংকেত দেন বাইরে থাকা অস্ত্রধারীদের। দু-এক মিনিটের মধ্যেই নগদ টাকা, মোবাইল নিয়ে গাড়িতে করে দ্রুত পালিয়ে যান।
গত কয়েকদিনে চক্রটি ১০-১৫টি ছিনতাই করেছে। এরপর চট্টগ্রামের বায়েজিদ থানা পুলিশের জালে ধরা পড়ে চক্রের চার সদস্য। টানা চারদিন অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন—নোয়াখালী সদর থানার নোল্লা বাজারের লাল মিয়া সওদাগর বাড়ির মৃত শফিক উদ্দীনের ছেলে বেলাল হোসেন আসলাম (২৭), সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী খাদেম পাড়ার আমির কোম্পানি বাড়ির মো. সুলতান আহমেদের ছেলে মো. তানভীর ইসলাম রোকন উদ্দীন (২৭), জঙ্গল সলিমপুর লতিফ নগর এলাকার মো. শফি আলমের ছেলে কামাল উদ্দীন ওরফে মহিউদ্দীন (২৮) ও রাঙ্গুনিয়ার রানিরহাট বগারবিল এলাকার বাসিন্দা মো. জামালের ছেলে মো. সোহেল ।
তাদের কাছ থেকে একটি ওয়ান শুটার গান, চারটি গুলি ও ছোরা উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, ৫ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টার দিকে অভিযুক্তরা সীতাকুণ্ডে যাওয়ার কথা বলে নগরের অলংকার মোড় থেকে প্রাইভেটকার ভাড়া করেন। কৌশলে ফৌজদারহাট-বায়েজিদ লিংক রোড এলাকায় প্রাইভেটকারের চালক ইলিয়াছকে নিয়ে এসে জিম্মি করে চক্রটি। এরপর ইলিয়াছের মোবাইল ফোন থেকে তার বাবাকে ফোন করে প্রাইভেটকারটি ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। মারধর ও ভয় দেখিয়ে চালকের বিকাশ নম্বরের পাসওয়ার্ড জেনে ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও নিয়ে নেয় তারা।
বায়েজিদ বোস্তামি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জাম বলেন, ‘গ্রেফতার চারজনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। জানি