নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের আট ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার তিন অনুসারী, তার প্রতিপক্ষ সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের চার অনুসারী ও একজন জামায়াত নেতা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম তাদের বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করেন।
এরমধ্যে কাদের মির্জার অনুসারী সিরাজপুর ইউনিয়নে নাজিম উদ্দিন মিকন (অটোরিকশা), চরহাজারীতে মহিউদ্দিন সোহাগ (আনারস), মুছাপুরে আইয়ুব আলী (আনারস) এবং মিজানুর রহমান বাদল অনুসারী চরকাঁকাড়ায় মো. হানিফ সবুজ (চশমা), চরফকিরায় মো. জায়দল হক কচি (আনারস), রামপুরে সিরাজিস সালেকিন রিমন (আনারস) ও চরএলাহীতে মো. আবদুর রাজ্জাক (আনারস) নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া চরপার্বতী ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মাওলানা মো. কাজী হানিফ আনসারী ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নিজ এলাকার এ নির্বাচনের আওয়ামী লীগের দুই পক্ষ আলাদা প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করায় সহিংসতা এড়াতে কোনো পক্ষকে নৌকা প্রতীক না দিয়ে উন্মুক্ত (স্বতন্ত্র) নির্বাচনের ঘোষণা দেয় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ।
সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সপ্তম ধাপে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। তবে নিজের বেশিরভাগ অনুসারীর পরাজয়ে নির্বাচনকে ‘সাজানো’ আখ্যা দিয়ে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে দোষারোপ করেছেন তার ছোটভাই বসুরহাটের মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।
তিনি বলেন, ‘মন্ত্রী তিন ভাগনেকে (মঞ্জু, কচি, রিমন) জেতাতে প্রশাসন দিয়ে নির্লজ্জ আচরণ করেছেন। এরমধ্যে কচি ও রিমন জয়লাভ করলেও চরপার্বতীতে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীর সঙ্গে পরাজিত হন আরেক ভাগনে মঞ্জু।