কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার গোপালনগর আদর্শ কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক হুমায়ূন কবিবের বিরুদ্ধে নিয়োগের শর্ত ভঙ্গ করে অন্য দুটো কলেজে চাকুরী, কলেজকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্র, হীন উদ্দেশ্যে নন-জুড়িশিয়াল স্ট্যাম্পে শিক্ষকদের স্বাক্ষর নেয়া, অসদাচরন, শৃঙ্খলা ভঙ্গ, কলেজের সম্পদ আত্মসাত, ভয়-ভীতি প্রদর্শনসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, ২০০৬ সাল থেকে গোপালনগর আদর্শ কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা করে আসছেন হুমায়ূন কবির। দীর্ঘদিন একই জায়গায় শিক্ষকতা করার সুবাদে বিভিন্ন অনৈতিক ও অবৈধ কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়েন শিক্ষক হুমায়ূন কবির। তার এসকল অনিয়ম ও দুর্নীতি যখন কলেজ গভর্নিং বডি জানতে পারেন তখন তার বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় ২০১৮ সালে তাকে কলেজ থেকে বহিস্কার করা হয়।
কলেজ থেকে বহিস্কার হওয়ার পর হুমায়ূন কবির ২০১৯ সালে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। যাহা খারিজ হয়ে যায়। পরবর্তীতে ২০২১সালে মহামান্য হাইকোর্টে আর একটি রীট পিটিশন দায়ের করেন। যার নং- ৭৯১৫/২০২১। তারিখ- ২০-০৯-২০২১ইং।
হাইকোর্ট কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডকে ৩০ দিনের মধ্যে তাকে বহিষ্কার আদেশের তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলে।
যাহা প্রতিবেদকের হাতে এসে পৌছেছে। কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের প্রতিবেদনে দেখা যায়, বোর্ডের আপিল এন্ড আরবিট্রেশন কমিটির ৩০-১১-২০২১ইং তারিখের সভায় কলেজের প্রভাষক হুমায়ূন কবিরের ১৭-০৬-২০২০ইং তারিখের আবেদন ও বক্তব্য এবং কলেজ কর্তৃক দাখিলকৃত কাগজপত্র পর্যালোচনা করে এই মর্মে রিপোর্ট প্রদান করেন যে, হুমায়ূন কবিবের বিরুদ্ধে নিয়োগের শর্ত ভঙ্গ করে অন্য দুটো কলেজে চাকুরী (যথাক্রমে কুমিল্লা অজুতগুহ মহা বিদ্যালয় এবং মোশারফ হোসেন খান চৌধুরী বিশ^বিদ্যালয় কলেজ), কলেজকে ধ্বংস করার চেষ্টা, হীন উদ্দেশ্যে নন-জুড়িশিয়াল স্ট্যাম্পে শিক্ষকদের স্বাক্ষর নেয়া, অসদাচরন, শৃঙ্খলা ভঙ্গ, কলেজের সম্পদ আতœসাৎ, ভয়-ভীতি প্রদর্শনসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ প্রমানিত হয়েছে। বোর্ডের অনুমোদন ছাড়া বহিষ্কার করায় বোর্ডের আপিল এন্ড আরবিট্রেশন কমিটি তার চুড়ান্ত বহিষ্কার আদেশটি বাতিল ঘোষনা করেন। কিন্তু উক্ত প্রতিবেদনে অভিযুক্ত শিক্ষককে যোগদানের জন্য কোথাও বলা হয়নি। এই পদে এনটিআরসি কর্তৃক একজন শিক্ষক নিয়োগ আছেন। এছাড়া উক্ত শিক্ষকের পদে এনটিআরসিএ সুপারিশের ভিত্তিতে নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষক কর্তৃক এমপিও ভুক্তির জন্য মহামান্য হাইকোর্ট কর্তৃক দায়েরকৃত রিট পিটিশন নং- ১০৭৬২/২০২১ বিচারাধীন।
এবিষয়ে গোপালনগর কলেজের অধ্যক্ষ আনিসুর রহমান সোহেলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, (হুমায়ুন কবির) আরও দুইটি কলেজে চাকরি করছেন। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে অন্য অভিযোগও আছে। তাই গভর্নিং বডি তাকে বহিষ্কার করেছে। বোর্ডের তদন্তে ও সেটা প্রমাণিত হয়েছে।
কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মোঃ আব্দুস সালাম বলেন, আমি এখন ঢাকায় অবস্থান করছি। কাগজপত্র না দেখে আমি কোন মন্তব্য করতে পারছিনা। সুত্র: আলোকিত ঢাকা