দেবরের সঙ্গে ১৫ বছর ধরে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক। এরই মধ্যে খবর পান দেবরের অন্য এক নারীর সঙ্গে বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) বিয়ের দিন ধার্য রয়েছে। এরপর থেকেই বিয়ের দাবিতে দেবরের বাড়িতে অনশন করছেন ওই নারী (৩৫)। শুধু তাই নয়, সোজা গিয়ে উঠেছেন দেবরের ঘরে। দেবর বিয়ে না করলে ওই ঘরেই আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন তিনি।
পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার করমজা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আফড়া হিন্দুপাড়া গ্রামে এমনই ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যা থেকে অনশন করছেন ওই নারী। অনশনরত নারীর ভাষ্যমতে, ১৫ বছর আগে দেবর ইব্রাহিমের বড় ভাই হেলাল ড্রাইভারের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তার স্বামী প্রায় সময়ই বাড়ির বাইরে থাকেন। এসময় তিনি তার ছোট দেবর ইব্রাহিমের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তিনি ইব্রাহিমকে বিয়ের জন্য চাপ দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু ইব্রাহিম বিয়ের কথা শুনে নানা টালবাহানা করতে থাকেন।
দুই বছর আগে ওই নারীর দাম্পত্য কলহ দেখা দেয়। তিনি রাগ করে বাবার বাড়ি চলে যান। ইব্রাহিম তাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তাদের বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন। কিন্তু গত দুই বছরেও তাকে বিয়ে করেননি। সর্বশেষ সোমবার (২৪ জানুয়ারি) তারা দুজন সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুুরে যান। সেখানে একটি মসজিদে গিয়ে ইব্রাহিম পবিত্র কোরআন মাথায় নিয়ে শপথ করে বলেন তিনি ওই নারীকে কয়েকদিনের মধ্যে বিয়ে করবেন।
ওই নারীর অভিযোগ, তার সঙ্গে সম্পর্ক রেখে ও বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ইব্রাহিম গোপনে অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক করেছেন। শুক্রবার বিয়ের দিন ধার্য রয়েছে। তিনি বিষয়টি জানার পর থেকে দেবর ইব্রাহিমের ঘরে উঠে বিয়ের দাবিতে অনশন করছেন। দেবর বিয়ে না করলে ওই ঘরেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন দুই সন্তানের জননী ওই নারী।
তবে ভাবির সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন দেবর ইব্রাহিম। তিনি বলেন, ভাবির সঙ্গে তার কোনো প্রেমের সম্পর্ক নেই। তার ভাবি ষড়যন্ত্র করছেন। অসৎ উদ্দেশ্যে তার বিয়ে ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এর আগেও ওই নারী তার কয়েকটি বিয়ে ভেঙে দিয়েছেন বলে দাবি করেন ইব্রাহিম।
এ ব্যাপারে করমজা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলী বাগচি বলেন, তিনি বিষয়টি শুনেছেন। তবে তার কাছে কেউ অভিযোগ করেননি। সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জানান, তিনি লোকমুখে বিষয়টি শুনেছেন। তবে তার কাছে কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (সন্ধ্যা পৌনে ৭টা) দেবরের ঘরেই অনশন করছিলেন ওই নারী। সুত্র:জানি