1. nagorikkhobor@gmail.com : admi2017 :
  2. shobozcomilla2011@gmail.com : Nagorik Khobor Khobor : Nagorik Khobor Khobor
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
রানা, ও মেহেবুব হোসেন রিপনের নেতৃত্বে এক বিশাল র‍্যালি গোপালগ‌ঞ্জে দিনমুজুর‌কে হত্যা মামলায় গ্রেফতার, নবজাতক দুই বোন নিয়ে দিশেহারা ছোট ভাই শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ কর‌তে হ‌বে, না করলে প্রশাসক নিয়োগ হ‌বে- সাখাওয়াত বাংলাদেশ থেকে জাপানি সৈন্যদের দেহাবশেষ ফিরিয়ে নিবে আজারবাইজানে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় সিপিজের খোলা চিঠি ড. ইউনুসকে যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম গ্রেফতার শপথ নিলেন নতুন তিন উপদেষ্টা কু‌মিল্লায় ডাকাতির নাটক সাজিয়ে প্রতিবন্ধী ভাতিজাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা ক‌রে চাচা রাজধানীর কাকরাইলে সভা সমা‌বেশ নি‌ষিদ্ধ

আদাল‌তে ও‌সি প্রদীপসহ ২৮ জ‌নের বিরু‌দ্ধে হত‌্যা মামলা : তদ‌ন্তে সিআইড‌ি

কক্সবাজার সংবাদদাতা:
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১৮ আগস্ট, ২০২০
  • ২৪৭ বার পঠিত
বন্দুক যু‌দ্ধে নিহত সাদ্দা‌মের মা গুল জে‌হের আদালত থে‌কে বের হ‌চ্ছেন

পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ আদায়ের পর আরও পাঁচ লাখ টাকা না দেয়ায় বন্দুকযুদ্ধের নামে কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলার সাদ্দাম হোসেন নামে এক যুবককে হত্যার অভিযোগে সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) নিহত সাদ্দাম হোসেনের মা গুল চেহেরের দায়ের করা ফৌজদারি এজাহার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মামলা হিসেবে গ্রহণ করেছেন। আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ হেলাল উদ্দীন ফৌজদারি এজাহার আমলে নিয়ে একজন এএসপি পদমর্যাদার অফিসারকে দিয়ে তা তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী আবদুল বারী ও ইনসাফুর রহমান এসব তথ্য জানিয়েছেন। মামলায় হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মশিউর রহমানকে প্রধান ও ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে ২নং আসামি করে মোট ২৮ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে ২৭ জনই পুলিশের সদস্য। অন্যজন হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার নূরুল আমিন নুরুল্লাহ।

এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন, গত ৪ জুলাই টেকনাফের হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মশিউর রহমান একদল পুলিশ নিয়ে হ্নীলা ইউনিয়নের মৌলভীবাজার এলাকার মৃত সুলতান আহামদ বাদশার ছেলে সাদ্দাম হোসেন ও জাহেদ হোসেনকে বাড়ির অদূরে রাস্তা থেকে আটক করে ফাঁড়িতে নিয়ে যান। তাদের ছাড়িয়ে আনতে ফাঁড়িতে যান মা গুলচেহের।

তাদের ছেড়ে দিতে ১০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মশিউর রহমান। একপর্যায়ে পাঁচ লাখ টাকায় উভয়ের মধ্যে রফাদফা হয়। পাঁচ লাখ টাকার মধ্যে একই দিন তিন লাখ টাকা সরাসরি হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মশিউর রহমানের হাতে দেন গুল চেহের। বাকি দুই লাখ টাকা পরদিন মশিউর রহমানের কথা মতো তার পাঠানো বাহক ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার নুরুল আমিনকে দেন।

বাদী এজাহারে আরও উল্লেখ করেন, হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মশিউর রহমান পাঁচ লাখ টাকা গ্রহণ করার পর দুই ভাইয়ের মধ্যে জাহেদ হোসেনকে একটি মামলা দিয়ে আদালতে পাঠিয়ে দেন। ৭ জুলাই রাত ১০টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে ৩০০ গজ দূরে এনে সাদ্দাম হোসেন ও অন্য একজনকে গুলি করে পুলিশ। এতে গুরুতর আহত হয় সাদ্দাম হোসেন। পরে পুলিশ তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

গুল চেহের এজাহারে দাবি করেন, হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ মশিউর রহমান, সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও মামলার তিন নম্বর আসামি আরিফুর রহমানের পরামর্শ এবং নির্দেশক্রমে অন্য আসামিরা সাদ্দাম হোসেনকে ঠান্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করেছেন। সাদ্দামকে মারার কিছুদিন আগে একইভাবে তাদের বাবা সুলতান আহমদ বাদশাকেও পুলিশ বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যা করেছে।

কিছুদিনের ব্যবধানে স্বামী ও সন্তান হারিয়ে মানসিকভাবে চরম বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন গুল চেহের। অন্যদিকে এ বিষয়ে বাড়াবাড়ি না করতে নিয়মিত হুমকি দিয়েছে পুলিশ। তাই মামলার আবেদন করতে বিলম্ব হয়েছে বলেও এজাহারে উল্লেখ করেন বাদী গুল চেহের।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. আরিফুর রহমান, এসআই সুজিত চন্দ্র দে, এসআই অরুণ কুমার দে, এসআই মো. নাজিম উদ্দিন ভূঁইয়া, এসআই নাজিম উদ্দিন, এসআই কামরুজ্জামান, এএসআই আমির হোসেন, এএসআই কাজি সাইফুদ্দিন, এএসআই নাজিম উদ্দিন, এএসআই মাঈন উদ্দিন, এএসআই মাযহারুল ইসলাম, এএসআই নঈমুল হক, এএসআই মিশকাত উদ্দিন, এএসআই রাম চন্দ্র দাশ, সাগর দেব, রুবেল শর্মা, আবু হানিফ, মো. শরীফুল ইসলাম, মো. আজিজ, দ্বীন ইসলাম, মো. বোরহান, মো. জসিম উদ্দিন, আব্দুস শুক্কুর, শেকান্দর, মহিউদ্দিন ও হ্নীলা ইউনিয়নের দফাদার নুরুল আমিন নুরুল্লাহ।

সুত্র: জা‌গো নিউজ

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 nagorikkhobor.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com