বিধিমালা না করে ভবিষ্যতে বাস-মিনিবাসসহ সব ধরনের গণপরিবহনের ভাড়া বাড়ানোর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞাসহ একগুচ্ছ নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্ট রিট করা হয়েছে। মঙ্গলবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট আবেদনটি দাখিল করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আবু তালেব। আগামীকাল বুধবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আবেদনটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হতে পারে বলে জানান তিনি।
রিটে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব, সহকারী সচিব, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান, পরিচালককে (প্রকৌশল) বিবাদী করা হয়েছে। সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ এর ১১২ ধারা অনুসারে বিধিমালা প্রণয়ন না করে করোনা ভাইরাসের মহামারীর মধ্যে ২০২০ সালে সব ধরনের বাস-মিনিবাসে ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানোর পর ওই বছরের ৯ আগস্ট সে সিদ্ধান্ত বাতিল করে গত বছর ৭ নভেম্বর ডিজেল চালিত সব ধরনের বাস-মিনিবাসের ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত কেন বেআইনি এবং সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে রিটে। একই সঙ্গে সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ এর ৩৪(৪) ধারা অনুযায়ী গণপরিবহনের ভাড়ার হারের তালিকা দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শনে এবং যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, এ মর্মেও রুল চাওয়া হয়েছে।
আদালত রুল জারি করলে সে রুল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় গণপরিবহনের ভাড়া বাড়ানোর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া পাশাপাশি হাইকোর্টের তত্ত্বাবধানে সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ এর ১২২ ধারা অনুসারে যথাযথ একটি বিধিমালা প্রণয়নের আরজি জানানো হয়েছে রিট আবেদনে। এর আগে গত বছর ১ ডিসেম্বর বিবাদীদের কাছে আইনি নোটিস পাঠিয়েছিলেন রিট আবেদনকারী এই আইনজীবী। গণপরিবহনে বেআইনি, অযৌক্তিক ও অস্বাভাবিক ভাড়া বৃদ্ধি, ভাড়া বাড়ানোর নামে সাধারণ যাত্রী হয়রানি বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছিল সে নোটিসে। কিন্তু বিবাদীদের কাছ থেকে এ বিষয়ে জবাব বা দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ দেখতে না পেয়ে আজ মঙ্গলবার জনস্বার্থে রিট আবেনদনটি করেন তিনি।