1. nagorikkhobor@gmail.com : admi2017 :
  2. shobozcomilla2011@gmail.com : Nagorik Khobor Khobor : Nagorik Khobor Khobor
মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কু‌মিল্লায় ডাকাতির নাটক সাজিয়ে প্রতিবন্ধী ভাতিজাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা ক‌রে চাচা রাজধানীর কাকরাইলে সভা সমা‌বেশ নি‌ষিদ্ধ নারায়ণগঞ্জ মহানগর ১৪ নং ওয়ার্ড কৃষক দলের কমিটি অনুমোদন শোক সংবাদ: নারায়ণগ‌ঞ্জের রিটন দে আর নেই সারজিস ও হাসনাতকে রংপু‌রে অবাঞ্ছিত ঘোষণা জাতীয় পার্টির নারায়নগঞ্জের কালিরবাজার এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ড সাবেক ছাত্র দলের সভাপতি জাকির খানের মুক্তির দাবীতে নগরীতে বিক্ষোভ ও মিছিল। দুই মেয়াদের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে না : সাকি।বিস্তারিত ভিডিও তে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসছেন প্রধান উপদেষ্টা সোনাইমুড়ী উপজেলায় বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ পরিষদ

পরিবারের ৬ সদস্য হারি‌য়ে শো‌কে কাতর মুন্না

নাগ‌রিক খবর অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ৪৭৫ বার পঠিত

স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বড় ভায়রার বা‌ড়ি বরগুনা‌তে বেড়া‌তে যাচ্ছিলেন রাসেল শেখ। সঙ্গে ছিলেন শ্বশুর বাড়ির আত্মীয়রাও। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকা থেকে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে বরগুনার উদ্দেশ্যে রওনা হন তারা। ঝালকাঠি পার হয়ে সুগন্ধা নদীতে আগুন ধরে যায় লঞ্চটিতে। ফলে এক নিমিষেই শেষ হয়ে যায় রাসেলের সব আনন্দ। ঢাকা থেকে একসঙ্গে যাত্রা শুরু করেছিলেন নয়জন। এর মধ্যে তিনজনের মরদেহ পাওয়া গেছে। এখনো নিখোঁজ তিনজন। বাকি তিনজন দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন।

হৃদয়বিদারক এমন অনেক ঘটনার সাক্ষী হওয়া ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ৪২ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন আরও ২৩ জন। ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডে আরও শতাধিক যাত্রী দগ্ধ হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফিরলেও এখনো তা দুঃস্বপ্নের মতো তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে ওই লঞ্চের অনেক যাত্রীকেই। এছাড়া স্বজনহারাদের আহাজারি আর নিখোঁজদের খোঁজ পেতে স্বজনদের ব্যাকুলতা সুগন্ধার তীর আর হাসপাতালের পরিবেশ ভারী করে তুলেছে।

লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ ২২ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আনা হয়েছে। শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে সরেজমিনে দেখা যায়, দগ্ধ ও স্বজন হারানোর যন্ত্রণা নিয়ে অপেক্ষা করছেন অনেকেই। আশঙ্কা আর দুশ্চিন্তায় কাটছে তাদের সময়।

শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নিচ্ছেন লঞ্চের যাত্রী রাসেল শেখ। তার ছোট ভাই মুন্না শেখের সঙ্গে কথা হয় জাগো নিউজের। তিনি জানান, রাসেল শেখ তার বড় ভায়রার দাওয়াতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বরগুনা বেড়াতে যাচ্ছিলেন। এর মধ্যেই দুর্ঘটনায় হারাতে হয়েছে পরিবারের তিন সদস্য ও তিন আত্মীয়সহ ছয়জনকে। তাদের মধ্যে তিনজনের মরদেহ পাওয়া গেছে। বাকি তিনজন এখনো নিখোঁজ। এছাড়া আরও তিনজন চিকিৎসা নিচ্ছেন বরিশাল ও ঢাকায়।

মুন্না শেখ বলেন, আমাদের বাসা মাদারটেকে। মা বয়স্ক ও অসুস্থ হওয়ায় তিনি যাননি। মা যাননি বলে আমিও যাইনি। আমাদের পরিবারের সব শেষ হয়ে গেল।

রাসেলের পরিবার ও আত্মীয়দের মধ্যে তার শাশুড়ি, ছোট শালার বউ ও শালার মেয়ে অংকনের (৪) মরদেহ পাওয়া গেছে। নিখোঁজ তিনজনের মধ্যে রয়েছে রাসেলের দুই ছেলে- জীবন (১২) ও ইমন (৯)। অন্যজন ছোট শালা রবিন (১৭)। এছাড়া বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন তার স্ত্রী ও মেজ শালা। শেখ হাসিনা বার্নে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন রাসেল নিজেও।

বার্ন ইনস্টিটিউটে আরও চিকিৎসা নিচ্ছেন সেলিম রেজা। তার ছোট ভাই সোহেল জাগো নিউজকে জানান, লঞ্চে আমার ভাই আর ভাবি যাচ্ছিলেন বরগুনায়। অনেক কষ্টে আমার ভাই বেঁচে ফিরলেও ভাবি জাহানারা বেগম (৩৫) এখনো নিখোঁজ। তারা দুজনই শিক্ষক ছিলেন।

কণিকা হালদার তার বোন ও ভগ্নিপতির দেখভালের জন্য অবস্থান করছেন হাসপাতালে। তিনি জানান, আমার বড় বোন মনিকা রানী হালদার (৪৫), ভগ্নিপতি বঙ্কিম মজুমদার (৬২) ও তাদের ছেলে বরগুনা যচ্ছিলেন। লঞ্চে আগুন লাগলে তাদের ছেলে বাবা-মাকে উদ্ধার করতে চাইলেও পারেনি। পরে সে লঞ্চ থেকে পানিতে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণ রক্ষা করে। কিন্তু আমার বোন ও ভগ্নিপতি লঞ্চে থাকায় তারা অগ্নিদগ্ধ হন। দুজনই এখন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বোনের অবস্থা খুব খারাপ হওয়ায় তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়েছে। ভগ্নিপতির অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের সর্বশেষ অবস্থা জানতে চাইলে বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, এই মুহূর্তে তিনজনের অবস্থা খুবই খারাপ। বাকি যারা চিকিৎসা নিচ্ছেন তারা মোটামুটি ভালো আছেন। তবে প্রধান সমস্যা হচ্ছে বার্নের পার্সেন্টেজ বেশি না হলেও তাদের বেশিরভাগেরই শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। এটি সবচেয়ে মারাত্মক সমস্যা। এতে যতদিন তারা পুরোপুরি সুস্থ না হবেন, ততদিন আশঙ্কামুক্ত হতে পারবেন না।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় বরিশালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৩৫ জন, যার মধ্যে ১৬ থেকে ১৭ জন চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। আমরা দুপুর ১টার দিকে তাদের সঙ্গে জুমের মাধ্যমে কথা বলেছি। তবে বড় সমস্যা বরিশাল থেকে এসব রোগীকে ঢাকায় আনা। সড়কপথে আনতে গেলে ঝুঁকি থাকে। সেজন্য আমাদের একটি টিম ওখানে কাজ করছে। আমাদের দুজন অভিজ্ঞ চিকিৎসক সেখানে আছেন। আমরা তাদের সেখানেই চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করছি। জা‌নি

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 nagorikkhobor.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com