বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দক্ষ প্রকৌশলী ও কর্মকর্তাদের সরাসরি তত্ত্বাবধানে নির্মিত ৪১টি বহুতল ভবনের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। ভবনগুলো যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরও করা হয়েছে। সেনা কল্যাণ কনস্ট্রাকশনস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টস লিমিটেড (এসকেসিডি) এসব ভবন নির্মাণ করে।
ভবনগুলোর মধ্যে ‘জলসিঁড়ি আবাসন প্রকল্পে’ রয়েছে দুটি স্কুল ও কলেজ। অন্য ৩৯টি ভবন রাজধানীর মিরপুরের ডিওএইচএস, মহাখালীর ডিওএইচএস ও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নির্মাণ করা হয়েছে। ভবনগুলো সাততলা, নয়তলা এবং চৌদ্দতলা বিশিষ্ট।
এর মধ্যে মিরপুর ডিওএইচএসে সশস্ত্র বাহিনীর শহীদ পরিবারের জন্য ৩২ কাঠা জমির ওপর নির্মিত চৌদ্দতলা বিশিষ্ট ভবন ‘অপরাজিতা’ ২০১৫ সালে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সম্প্রতি রাঙ্গামাটির ঘাগড়ায় আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত শ্রমকল্যাণ কমপ্লেক্সের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। গত ৮ ডিসেম্বর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রমকল্যাণ কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করেন।
বর্তমানে সেনা কল্যাণ কনস্ট্রাকশনস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টস লিমিটেডের (এসকেসিডি) ১৩টি প্রকল্পের কাজ চলমান। এছাড়া দ্রুত শুরু হচ্ছে আরও ৯টি প্রকল্পের কাজ।
সেনা কল্যাণ কনস্ট্রাকশনস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টস লিমিটেড (এসকেসিডি) বাংলাদেশ সেনা কল্যাণ সংস্থার একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান। ২০০৯ সালের জুনে এসকেসিডি যাত্রা শুরু করে। প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে রাজধানীর পাশাপাশি বিভাগীয় শহরগুলোতে প্লট ডেভেলপমেন্টের কার্যক্রম শুরু করেছে।
আবাসন খাতের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজ সম্পন্নে সেনা কল্যাণ কনস্ট্রাকশনস সততা, নিষ্ঠা ও দৃঢ়তার সঙ্গে সফলতার ছাপ রেখে যাচ্ছে।
সেনা কল্যাণ সংস্থা আর্তমানবতার সেবায় নিয়োজিত। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ১ জুলাই ‘ফৌজি ফাউন্ডেশন’ নাম বদলে ‘সেনা কল্যাণ সংস্থা’ হিসেবে যাত্রা শুরু করে।
এ সংস্থা অর্জিত লভ্যাংশের সিংহভাগ অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি সাধারণ জনগণের কল্যাণে ব্যয়ে করে। করোনাকালে অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা দেয় সংস্থাটি। জানি