মোটরসাইকেল গতিরোধ করে রাব্বি, গুলি করে নজরুল আদালতে নেওয়া হচ্ছে আশরাফুল ইসলাম রাব্বিকে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এরশাদুল হকসহ দুইজনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার আশরাফুল ইসলাম রাব্বি (৩৭) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
বুধবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহিদ হোসাইন তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আশরাফুল ইসলাম রাব্বি আদালতকে জানান, ‘পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী কয়েকটি ভাগে অবস্থান করছিলেন তারা। তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী এরশাদুল হকের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করেন। এসময় পর পর চারটি গুলি চালায় মামলার প্রধান আসামি নজরুল। তিনিই হত্যায় ব্যবহৃত পিস্তল সংগ্রহ করেছিলেন।
এর আগে রোববার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে জেলার কসবা সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে আশরাফুল ইসলাম রাব্বিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি শহরের কাজিপাড়ার মমিনুল ইসলামের ছেলে ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ছিলেন।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রশিদ জানান, ‘রাব্বির কাছ থেকে আরও তথ্য জানতে আদালতে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। পরবর্তীতে শুনানিতে আদালত রিমান্ডের বিষয়ে জানাবেন।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন জানান, ‘রাব্বির কাছ থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।’
তিনি আরও জানান, ‘রাব্বির সঙ্গে নজরুলের পূর্ব পরিচয় ছিল। একটি ডাকাতি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর গত একমাস ধরে তিনি নজরুলের বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন। এ সুবাদে তারা এরশাদুলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।’
উল্লেখ্য, ১৭ ডিসেম্বর (শুক্রবার) রাতে ওয়াজ মাহফিল থেকে ফেরার পথে জেলার নবীনগর উপজেলার নাটঘর ইউনিয়নের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী এরশাদুল হকসহ (৩৫) দুজনকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।