বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে মালদ্বীপের প্রতিরক্ষা দপ্তরকে ১৩টি সামরিক যান উপহার দেওয়া হবে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর সফরে খেলাধুলা ও স্বাস্থ্যসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই হবে। রোববার (১৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচি তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২২ ডিসেম্বর বিশেষ ফ্লাইটযোগে প্রধানমন্ত্রী মালেতে অবতরণ করবেন এবং বিমানবন্দরে মালদ্বীপ সরকারের পক্ষ থেকে তাকে অভ্যর্থনা জানাবেন মালদ্বীপের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
২৩ ডিসেম্বর সকালে দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন এবং তখন তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে। গার্ড অব অনার গ্রহণ শেষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রেসিডেন্সিয়াল প্রাসাদে গমন করবেন। ওই ভেন্যুতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠক শেষে দুই দেশের মধ্যে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, দ্বৈত করারোপ, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ে কয়েকটি চুক্তি/সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হতে পারে (সম্ভাব্য তালিকা সংযুক্ত)। সফরকালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে মালদ্বীপের ভাইস প্রেসিডেন্ট, স্পিকার ও প্রধান বিচারপতি সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী মালদ্বীপের পার্লামেন্টেও বক্তব্য দেবেন বলে আশা করা যায়।
ড. মোমেন বলেন, মালদ্বীপে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি কুশলবিনিময় করবেন। এছাড়া মালদ্বীপের প্রতিরক্ষা দপ্তরের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দেওয়া ১৩টি সেনাযান বন্ধুত্বের নিদর্শনস্বরূপ মালদ্বীপের প্রতিরক্ষা দপ্তরের কাছে হস্তান্তর করা হবে। আনুষ্ঠানিকতা শেষে দুই দেশের মধ্যে একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশিত হবে এবং দুই নেতা যৌথভাবে মালদ্বীপের স্থানীয় মিডিয়ার সামনে তাদের কর্মসূচি উপস্থাপন করবেন।
সফরে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী, সেনাপ্রধান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, পররাষ্ট্র সচিবসহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তারা যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সুত্র:জানি