আইনের প্রয়োগ ছাড়া সড়ক দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব নয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গ্লোবাল স্ট্যাটাস রিপোর্ট অব রোড সেইফটির প্রতিবেদন অনুযায়ী বিশ্বে প্রতিবছর ১৩ লাখ ৫০ হাজার মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। এসব মৃত্যুর ৯০ শতাংশ হয় নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে। ৫-২৯ বছর বয়সীদের মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ সড়ক দুর্ঘটনা। তাই নিরাপদ সড়ক জোরদারে সড়ক আইন যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
রোববার (১৯ ডিসেম্বর) ঢাকায় আহছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের সভাকক্ষে ‘নিরাপদ সড়ক জোরদারকরণে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
ঢাকা আহছানিয়া মিশনের রোড সেইফটি প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী শারমিন রহমান মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তার প্রবন্ধে সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচটি ঝুঁকিপূর্ণ কারণ তুলে ধরা হয়।
আলোচনা সভায় গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর বাংলাদেশ কান্ট্রি কো–অডিনেটর শরীফুল আলম বলেন, সড়ক আইনে অনেক ফাঁকফোকর রয়েছে। যেগুলোকে সামান্য গুরুত্ব দিলে তা হ্রাস করা সম্ভব এবং বাস্তবায়ন করাও সম্ভব।
গ্লোবাল রোড সেইফটি অ্যাডভোকেসি ও গ্রান্টস প্রোগ্রাম ম্যানেজার তাইফুর রহমান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা একটি প্রতিরোধযোগ্য সমস্যা। একটি ভালো আইন ও তার প্রয়োগ ছাড়া সড়ক দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব নয়।
এটিএন নিউজের বার্তা সম্পাদক ও ল’ রিপোর্টার ফোরামের সভাপতি মাসুদুল হক বলেন, আইনের গ্যাপগুলো যেমন সংশোধন প্রয়োজন, তেমনি আইন বাস্তবায়ন করাও প্রয়োজন। জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে গণমাধ্যম কাজ করতে পারে সামনের সারি থেকে।