চলতি মাস থেকে লোকসানে বন্ধ থাকা পাটকলগুলো বেসরকারি খাতে ইজারা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশ জুট মিল করপোরেশনের (বিজেএমসি)। এ মাসে দুটি পাটকলের ইজারার জন্য চুক্তি সই করেছে দেশের বেসরকারি দুটি কোম্পানি। আরও তিনটি পাটকল জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই তিনটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
সূত্রটি বলছে, বাকি তিনটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এখনো আনুষ্ঠানিক চুক্তি সই না হলেও প্রতিষ্ঠানগুলো চূড়ান্ত হয়ে আছে। এসব পাটকল ইজারা নিয়েছে দেশের পাশাপাশি একটি বিদেশি প্রতিষ্ঠানও।
জানা গেছে, পাঁচটি পাটকলের মধ্যে সবচেয়ে বড় খুলনার ক্রিসেন্ট জুট মিলস ইজারা পেয়েছে মিমো জুট লিমিটেড। নরসিংদীর বাংলাদেশ জুট মিলসের ইজারা পেয়েছে বে ফুটওয়্যার লিমিটেড। চট্টগ্রামের দুটি পাটকল কেএফডি জুট মিলস ও হাফিজ জুট মিলসের ইজারা পেয়েছে যথাক্রমে ইউনিটেক্স কম্পোজিট ও সাদ মুসা গ্রুপ। সিরাজগঞ্জের জাতীয় জুট মিলস ইজারা পেয়েছে যুক্তরাজ্যের জুট রিপাবলিক।
চুক্তি অনুযায়ী, আগামী ২০ বছরের জন্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো এসব পাটকল পরিচালনা করবে। পরবর্তী সময়ে চুক্তির সময়সীমা বাড়ানো যাবে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো পাটপণ্য ছাড়া কারখানায় অন্য কোনো পণ্য উৎপাদন করতে পারবে না। এছাড়া তারা শুধু কারখানার জমি, যন্ত্রপাতি ও কারখানা প্রাঙ্গণ সংলগ্ন জমি ব্যবহার করতে পারবে। কিন্তু পাটকলের ভেতরে খোলা অন্য জায়গা ব্যবহার করতে পারবে না। সেই সঙ্গে পাটকলের সম্পত্তি বন্ধক রেখে ব্যাংক ঋণ নিতে পারবে না।
দেশের লোকসানে সর্বশেষ বন্ধ হওয়া ২৬টি পাটকল ব্যক্তি বা কোম্পানি পর্যায়ে ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। দ্রুত মিলগুলো চালু করে উৎপাদন বাড়িয়ে কর্মহীন শ্রমিকদের কাজে ফিরিয়ে আনতে ইজারা পদ্ধতিকে চূড়ান্ত করে এগোচ্ছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়।