কুমিল্লা মহানগরীর সুজানগর ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল ও তাঁর সহযোগী হরিপদ সাহাকে গুলি করে হত্যার ঘটনার সময় হিট স্কোয়াডের দায়িত্বে থাকা দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে কুমিল্লা ডিবি পুলিশ।
পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট ও কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের সহযোগীতায় তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার দুই আসামি কুমিল্লা নগরীর শুভপুর এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে মো.নাজিম ওরফে পিচ্চি নাজিম (৩০) ও চৌদ্দগ্রাম থানাধীন গুণবতী গ্রামের মৃত বাচ্চু মিয়ার ছেলে মো.রিশাত ওরফে নিশাত (২৫)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিবি পুলিশের এলআইসি টিমের এসআই পরিমল চন্দ্র দাস পিপিএম বলেন, সিসিটিভি ফুটেজে কিলিং স্কোয়াডের দায়িত্বে গ্রেফতারকৃত দুজনকে দেখা গেছে। সোমবার রাত ৯টার সময় নাজিমকে এবং রাত ১০টার দিকে রিশাতকে তাদের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এর আগে পুলিশ জানিয়েছিলো, সোহেল ও হরিপদকে গুলি করে হত্যার সময় হিট স্কোয়াডে ছিলেন ৬ জন সন্ত্রাসী। এঁরা হলেন- মামলার এজহারনামীয় প্রধান আসামি শাহ আলম, ২ নম্বর আসামি সোহেল ওরফে জেল সোহেল, ৩ নম্বর আসামি মো. সাব্বির হোসেন, ৫ নম্বর আসামি সাজন, এজাহারবহির্ভুত স্থানীয় নাজিম নামে এক যুবক ও ফেনী থেকে আগত সন্ত্রাসী নিশাত। সর্বশেষ পুলিশ জানতে পারে রিশাত ওরফে নিশাতের বাড়ি ফেনী নয়, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে। এই ৬ জনের মধ্যে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন শাহ আলম, সাব্বির ও সাজন। আর জেল সোহেল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে এখন কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন।
এর আগে ২২ নভেম্বর নগরীর পাথরিয়াপাড়ায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন কাউন্সিলর সোহেল ও হরিপদ সাহা। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়েছে আরও পাঁচজন।