প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ‘জাতীয় মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন (এনএইচডিআর) ২০২১’ হস্তান্তর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ প্রতিবেদনের একটি অনুলিপি হন্তান্তর করেন।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এর আগে মন্ত্রণালয়ের অধীন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে এনএইচডিআর ২০২১ প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়। প্রতিবেদনের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘বাংলাদেশের জনগণই সকল উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু’।
প্রতিবেদনে পাঁচটি কৌশলগত বিষয়- বৈষম্য, জলবায়ু পরিবর্তন, যুবকর্মসংস্থান, কিশোর-কিশোরীদের স্বপ্নের বাংলাদেশ এবং শান্তি ও সমৃদ্ধি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ মানব উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।
এনএইচডিআর ২০২১-এ একটি ওভারভিউ ও সাতটি অধ্যায় রয়েছে: বাংলাদেশে মানব উন্নয়নের প্রতিফলন; ভবিষ্যৎ মানব উন্নয়নের পথ একটি বিশ্লেষণমূলক কাঠামো; মানব উন্নয়ন ও বৈষম্য: বাংলাদেশ পরিপ্রেক্ষিত; বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন এবং মানব উন্নয়ন; বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ মানব উন্নয়নের চাবিকাঠি যুবকর্মসংস্থান; কিশোরদের স্বপ্ন; একটি শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ: কৌশল ও প্রতিষ্ঠানাদি।
গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের এই উন্নয়ন অভিযাত্রায় বিশ্ব পরিমণ্ডলে বাংলাদেশকে একটি ‘উন্নয়ন মিরাকল’ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। বাংলাদেশের এই উন্নয়ন যাত্রার মশাল বাহক ও পথপ্রদর্শক হলো বঙ্গবন্ধুর দূরদৃষ্টি ও উন্নয়ন চিন্তা এবং প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্ব।
এনএইচডিআর ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জনের উপায় এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য তুলে ধরার পাশাপাশি বাংলাদেশের সাফল্য ও চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরে।
এই প্রতিবেদনটি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ মানবসম্পদ উন্নয়নের কৌশল প্রণয়নের পাশাপাশি উন্নয়ন আলোচনা ও গবেষণায়ও ভূমিকা রাখবে।