ঝিনাইদহে আট বছরের শিশু শিহাব হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। একই সঙ্গে আসামিদের গ্রেফতারের পর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ও সুনির্দিষ্ট সাক্ষ্যপ্রমাণ সন্নিবেশিত করতে সক্ষম হয়েছে পিবিআই।
রোববার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুর রহমান সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানান। এসময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই তহিদুল ইসলাম, পরিদর্শক সরদার বাবর আলী ও আমির আব্বাস উপস্থিত ছিলেন।
পিবিআই সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের ২৮ অক্টোবর চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের প্রবাসী তোয়াজ উদ্দিনের শিশু সন্তান শিহাব নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের দুইদিন পর পাশের গ্রামের একটি জমিতে তার মরদেহ পাওয়া যায়। পরে নিহতের মা বিলকিস খাতুন পরকীয়া প্রেমিক জমির উদ্দিন পিন্টুর ইন্ধনে ছয়জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলাটি প্রথমে পুলিশ তদন্ত করে চুয়াডাঙ্গা ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। পরে মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়। সিআইডি মামলার প্রধান আসামি লাল্টুকে বাদ দিয়ে নিহতের চাচাতো ভগ্নীপতি পিন্টুকে আসামি করে চার্জশিট প্রদান করে। পরে পরকীয়া প্রেমিকাকে রক্ষা করতে ওই চার্জশিটের বিরুদ্ধে নারাজি দেন বিলকিস খাতুন। আর এতেই কপাল পোড়ে পিন্টুসহ অন্যান্য আসামিদের।
আদালত মামলাটি নতুন করে তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন। পিবিআইয়ের এসআই তহিদুল ইসলাম মামলাটির তদন্ত করে ক্লু উদ্ধারের পর প্রধান আসামি ও তার সহযোগীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। দায় স্বীকার করে আসামি লাল্টু ও নয়ন আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
পিবিআইয়ের এসআই তহিদুল ইসলাম জানান, মায়ের সঙ্গে পিন্টুর অনৈতিক কর্মকাণ্ড দেখে ফেলায় শিহাবকে অপহরণের পর হত্যার ঘটনা ঘটনায়। মামলার মূল আসামি লাল্টুকে বাদ দিয়ে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়েছিল। পিবিআইয়ের তদন্তে এজাহারের বাইরে আরও তিন আসামির সন্ধান মেলে।