খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ নয় ছাত্রকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ।
শৃঙ্খলা ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃতদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজানও রয়েছেন। শনিবার (০৪ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আনিছুর রহমান ভূঞা।
বহিষ্কৃত অন্যরা হলেন সিই বিভাগের শিক্ষার্থী তাহামিদুল হক ইশরাক, একই বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান, এলই বিভাগের শিক্ষার্থী সাদমান সাকিব, একই বিভাগের শিক্ষার্থী আ স ম রাগিব আহসান মুন্না, এমই বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মাদ কামরুজ্জামান, একই বিভাগের শিক্ষার্থী ফয়সাল আহমেদ রিফাত, সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াজ খান নিলয় ও এমএসই বিভাগের শিক্ষার্থী নাইমুর রহমান অন্তু।
ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বলেন, গত ২ ও ৩ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ৭৬তম জরুরি সভায় তাদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়। সভায় উত্থাপন করা সিসিটিভির ফুটেজ ও অন্যান্য তথ্যাদি পর্যালোচনা করা হয়। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে নয় শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
গত ৩০ নভেম্বর দুপুরে কুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক সেলিমের মৃত্যু হয়। শিক্ষার্থীদের মানসিক হয়রানির কারণে ওই শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।
এ ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৭৬তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় শুক্রবার এ কমিটি গঠিত হয়। কমিটিকে অপরাধীদের শনাক্ত ও সংশ্লিষ্ট আনুষঙ্গিক বিষয়াদি পর্যালোচনা করে সুপারিশসহ রিপোর্ট তৈরির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।