আওয়ামী লীগ যখনই সরকার গঠন করেছে দেশের ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়ন করেছে। বর্তমান সরকার ক্রীড়াক্ষেত্রের সম্প্রসারণ ও খেলাধুলার মানকে আরও উন্নত করার জন্য অনেক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। আমরা বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মেলে ধরতে সক্ষম হয়েছি।
বুধবার (১ ডিসেম্বর) ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট, বালক (অনূর্ধ্ব-১৭)-২০২১ ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট, বালিকা (অনূর্ধ্ব-১৭)-২০২১’ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তৃতীয়বারের মতো যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট, বালক (অনূর্ধ্ব-১৭)-২০২১ ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট, বালিকা (অনূর্ধ্ব-১৭)-২০২১’ সফলভাবে আয়োজন করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। আমি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে এসে এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী সব ক্ষুদে খেলোয়াড়কেও শুভেচ্ছা জানাই।
তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান খেলাধুলার জন্য ছিলেন নিবেদিত প্রাণ। তিনি ফুটবল খেলতে ভালোবাসতেন ও স্কুল ফুটবল টিমের ক্যাপ্টেন ছিলেন। পরবর্তী সময়ে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর জাতির পিতা দেশের ক্রীড়াক্ষেত্রের উন্নয়ন ও আধুনিক কাঠামোতে রূপান্তরিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ ও কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন। জাতির পিতার সময়েই মূলত বাংলাদেশের সব ফেডারেশনগুলো গড়ে ওঠে এবং ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ ‘ফিফা’র সদস্যপদ লাভ করে।
তিনি বলেন, দেশের তৃণমূল পর্যায় থেকে তরুণ প্রতিভাবান ছেলেমেয়েরা তাদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পায় সেজন্য দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, কর্মসূচি, প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমাদের সরকার বিগত ১৩ বছরে খেলাধুলার উন্নয়নে তৃণমূল পর্যায়ে ৩১টি ইভেন্টে প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। দেশের ১২৫টি উপজেলায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হয়েছে এবং বাকি উপজেলাগুলোতেও শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের কাজ চলমান।
তিনি বলেন, খেলাধুলার মানোন্নয়নে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ক্রীড়া ক্লাবগুলোতে ক্রীড়াসামগ্রী সরবরাহ করা হচ্ছে। কোভিড-১৯-এর ভয়াবহ দুঃসময়ে সরকার প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের অনুদান দিয়ে সহায়তা করেছে। ক্রীড়াক্ষেত্রে ছেলেমেয়েদের আগ্রহ বাড়ানোর জন্য বৃত্তি প্রদান, অনুদানসহ প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের বিদেশে উন্নত প্রশিক্ষণের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। আমরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সারাবছর বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করছি। আমাদের সময়েই আমরা ক্রিকেটকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছি।
তিনি বলেন, ক্রিকেটের মাধ্যমে বাংলাদেশ বহির্বিশ্বে গৌরব ও সুনাম অর্জন করেছে। বিশেষ করে আমাদের তরুণ ছেলেরা যেভাবে অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে তা আমাদের জন্য আনন্দের। দেশের ক্রীড়া উন্নয়নে আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, আমি আশা করি, এই টুর্নামেন্ট ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উদীয়মান প্রতিভাবান খেলোয়াড় বের হয়ে আসবে, যাদের হাত ধরে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গন। আমি ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট, বালক (অনূর্ধ্ব-১৭)-২০২১ ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ফুটবল টুর্নামেন্ট, বালিকা (অনূর্ধ্ব-১৭)-২০২১’-এর সার্বিক সাফল্য কামনা করি। জানি