রাজধানীর রামপুরায় অনাবিল পরিবহনের বাসের চাপায় নিহত হয়েছে শিক্ষার্থী মাঈনুদ্দীন ইসলাম দুর্জয়। ঘটনার পরপর খবর ছড়িয়ে পড়ে তাকে বাস থেকে ফেলে চাপা দেওয়া হয়। কিন্তু পরিবার বলছে, রাস্তা পার হওয়ার সময় অনাবিল ও রাইদা পরিবহনের দুটি বাসের রেষারেষিতে প্রাণ হারায় দুর্জয়।
সোমবার (২৯ নভেম্বর) রাতে রামপুরা বাজারের পাশে অনাবিল বাসের চাপায় নিহত হয় দুর্জয়। ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়। এ খবরে তার বন্ধুরা রামপুরা সড়কে গাড়ি ভাঙচুর করে। এসময় তাদের সঙ্গে এলাকাবাসীরাও অংশ নেন। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ৮টি বাসে আগুন ও ৪টি বাস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর দিবাগত রাত ৩টার দিকে প্রতিবেদকের সাথে কথা বলে দুর্জয়ের পরিবার। নিহত শিক্ষার্থীর বেয়াই বাদশাহ বলেন, মাইনুদ্দিন তার বাবাকে জানায় সে রাত ৯টায় দোকান থেকে বের হইছে। পরে সে বন্ধুর বাসায় যায়। সেখান থেকে বাসায় ফেরার পথে রাস্তা পার হচ্ছিল। সেসময় রাইদা ও অনাবিল পরিবহনের দুটি বাস রেষারেষি করে চলছিল। এসময় অনাবিল পরিবহনের গাড়িটি মাঈুনলকে রাস্তায় পিষে ফেলে।
তিনি বলেন, অনেকেই বলাবলি করছে, বাসে ভাড়া নিয়ে মাঈনুদ্দীনের বাগবিতণ্ডা হইছে। আবার অনেকে বলাবলি করছে সে গাড়িতে ওঠার সময় ধাক্কা দিয়ে ফেলা দেওয়া হয়। কিন্তু এসব কথা ঠিক না। আমরা পরিবারের লোক ছাড়া অন্যদের কথা কেউ যেন বিশ্বাস না করে। ওই রাতে তার অন্য কোথাও যাওয়ার কথা ছিল না।
আপনি নিজের চোখে ঘটনা দেখেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি নিজের চোখে দেখিনি। তবে ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে পৌনে ১০টায় আমার মোবাইলে ফোন করে একজন জানায়। আমি ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিক ছুটে গিয় যারা তাকে উদ্ধার করে, তাদের কাছ থেকে বিস্তারিত জানি।