দুই সপ্তাহব্যাপী স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোয় চলছে জলবায়ু সম্মেলন। শুক্রবার (১২ নভেম্বর) পর্দা নামবে জলবায়ু সম্মেলনের। তবে অনেক দরকষাকষি ও দেনদরবারের পর শেষ সময়ে জলবায়ু অর্থায়নের বরাদ্দে গতি বেড়েছে। জলবায়ু মোকাবিলায় সাতটি খাতে ছোট ছোট অর্থ বরাদ্দের ঘোষণা দিয়েছে উন্নত দেশগুলো।
বুধবার (১০ নভেম্বর) গ্লাসগোর জলবায়ু সম্মেলন ঘুরে এমন তথ্য জানা গেছে। বাংলাদেশে জলবায়ুর প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের উন্নয়নে ১২০ মিলিয়ন পাউন্ড ঘোষণা করেছে যুক্তরাজ্য। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বড় অর্থায়ন পেতে হলে বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণা করে তদবির করতে হবে।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশে সবচেয়ে ঝুঁকির মুখে নারী ও শিশু। দেশের ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের শিক্ষা ও দক্ষতা বাড়ানোর জন্য প্রথমবারের মতো কপ সম্মেলনে ১২০ মিলিয়ন পাউন্ড ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য। জলবায়ু পরিবর্তনে বেশি ঝুঁকিতে থাকে নারী ও শিশু।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে নারীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এদিকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ঠেকাতে বীজ সংরক্ষণ, অভিযোজন এবং জলবায়ু সহনশীল কৌশল গ্রহণে নারীর অনেক ভূমিকা রয়েছে।
অন্যদিকে জলবায়ু পরিবর্তনে লোকালয়ের শিশুদের ঝুঁকি বড়দের চেয়ে বেশি। গরম ও অন্যান্য জলবায়ু সংক্রান্ত সমস্যার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার সক্ষমতা বড়দের তুলনায় তাদের কম। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হওয়ায় তাদের ডায়রিয়া ও অন্যান্য প্রাণঘাতী রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। পুষ্টিহীনতায় ভোগারও ঝুঁকি থাকে এসব শিশুর। দুর্যোগে স্কুল, সামাজিক প্রতিষ্ঠান ও জীবিকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এসব মোকাবিলায় যুক্তরাজ্যের অর্থায়ন ব্যয় করা হবে। যা প্রথমবারের মতো পেল বাংলাদেশ। জলবায়ুর সবচেয়ে ঝুকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য অভিযোজন খাতে প্রায় ২৩৩ মিলিয়ন ডলায় ঘোষণা করে ১৩ টি দেশ। যেখানে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র আর কানাডা এগিয়ে এসেছে।
এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনে কার্বন নির্গমন কমাতে ঘোষণা করা হয়েছে ৪১৩ মিলিয়ন ডলার। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, অর্থের পরিমাণ কম হলেও এটি ইতিবাচক দিক।
বাংলাদেশের নারীদের জন্য আলাদাভাবে যে বরাদ্দের ঘোষণা এসেছে তা নারীদের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।
জলবায়ু কর্মী সাহানুর রহমান বলেন, বিশ্বনেতারা অর্থ দিতে চান তবে তা কোন খাতে কীভাবে খরচ হবে তা নিশ্চিত করার পরামর্শ তাদের। ২৬তম জলবায়ু সম্মেলন শেষ হওয়ার আগে আরও অর্থ প্রাপ্তির সম্ভাবনা রয়েছে।সুত্র:জানি