যেইভাবে কেউ কেউ বলছেন তা গায়ে সইতে ছিলো না যদিও রোড এক্সিডেন্ট করে খুবই অসুস্থ্য হয়ে চিকিৎসারত আছি তবুও শুয়ে শুয়ে কয়টা লাইন লিখলাম—
চাকরীটা পুলিশে করছি বলে বলছি না ,দুনিয়াতে আর অন্য কোন পেশা আছে যারা মানুষের এত কাছে থেকে সেবা দিতে পারে?
হয়ত অনেকেই মনে মনে বলছেন শালার মাথা খারাপ হয়ে গেছে ,তাই না । হয়ত হে নয়তো না ,তবে এইটা সত্য আমাকে গালি দেওয়ার পর আপনি একা বসে একটু চিন্তা করে দেখবেন ব্যাপারটা।
পেটুয়া,ঘুষখোর,চাঁদাবাজ,জানোয়ার,অমানুষ,দালাল, বা সরকারের গোলাম ,নির্লজ্জ যা ই বলেন কেনো আপত্তি করবো না,কারন আমি এই চাকরীটাই বেছে নিয়েছি ।দেশের যখনই প্রয়োজন হয়েছে পুলিশের আগে কে বুকপেতে দিয়েছে বলুন ?
আচ্ছা আমাকে কি কেউ বলতে পারেন দুনিয়ার কোন পেশা র মানুষ শত ভাগ ভালো? ভালো খারাপ নিয়ে দুনিয়া ।হাতের পাঁচ আংগুল যেমন সমান নয় সব পেশার সব মানুষ তেমন সমান নয়।
পুলিশ একটি বিশাল পরিবার লক্ষ মায়ের লক্ষ সন্তান এই বাহিনীতে চাকরী করছে তাই এক জনের দায়ভার অন্যজনে নিবে না বা নেয় না।এইখানে ভালো কাজের যেমন পুরুস্কার আছে খারাপ কাজেরও শাস্তির বিধান আছে।আমার গত ১৯ বছর চাকুরী জীবনে আমি দেখিনি,যে কোন পুলিশ সদস্য অন্যায় করে শাস্তি পায়নি।হে আমি বলছি না যে সব দুধে ধোয়া তুলশী পাতা।আপনার উপর যদি কোন পুলিশ সদস্য অন্যায় বা জুলুম করে আপনি তার যথাযথ প্রমান সহ অভিযোগ করেন, হলফ করে বলতে পারি তার সাজা নিশ্চিত ,যত বরো রাঘব বোয়ালই হোক ,কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়।আপনি জুলুমের শিকার হবেন আর চুপ করে ঘরে বসে থাকবেন আর মনে মনে গালি দিবেন তা হয় না,আপনি ভয় না পেয়ে আপনার উপর যেই অন্যায় হয়েছে তা উর্ধতন কর্তৃপক্ষ কে জানান দেখেন তার প্রতিকার হয় কিনা ,না হয় আদালতে যান তবুও গালি দিবেন না ।কারন পুলিশ ভিন্ন কোন গ্রহের প্রানী নয় বা অন্য দেশ থেকে আসে নাই তারা আপনার আমার ভাই বোন বন্ধু বা সন্তান। একটি পরিবারের সবাই পুলিশে চাকরী করে না ,যে করে সে যদি কোন অন্যায় করে তাহলে পরিবারের অন্যান্য সদস্য তার দায় নিবে কেনো? যার যার পাপের ফল তাকেই ভোগ করতে হবে।
জনগনই সরকার ,আর সরকারের গোলাম মানে আপনার গোলাম ,গোলাম কি মালিক কে শাসন করতে পারে,মোটেই না পুলিশ শাসক নয় সেবক ।সে তার সেবা দিয়ে আপনাকে আইনের হাতে সোপর্দ করবে আইন আপনার বিচার করবে।বিচারের সাজা আপনাকে মাথা পেতে নিতে হবে কারন আপনি আইনের উর্ধে নয়।
আইন সব সময় মানুষের কল্যানের জন্য।একটা কথা মনে রাখতে হবে , যেই কাজ বিবেক বিরোধী,সেই কাজ আইন বিরোধী একই কাজ ধর্ম বিরোধী।
পুলিশ একা নয় আমি দেখেছি গত ১৯ বছর চাকরী জীবনে যখন ই কোন মানুষ অন্যায় ভাবে আমার উপর চরাও হয়েছে তখন আশে পাশের হাজার মানুষ আমার পক্ষ নিয়ে প্রতিবাদ করেছে বা প্রতিরোধ করেছে ।আর পুলিশ একা হলে রাস্তায় দারিয়ে থাকতে পারতো না, অন্যায়কারীরা মেরে ফেলতো ,আর তারা তা করতে পারে না ,কারন জানে যে মানুষ তাদের কে ছেরে দিবে না।এইতো সেই দিন পোর্ট কানেকটিং রোডে এক ট্রাক চালক আমাদের এক ট্রাফিক কনষ্টেবল অর্জি কে চাপা দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিলো কিন্তু জনগন ধাওয়া করে চালক হেলফার ট্রাকটি ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিলো এতে কি প্রমান হয় না মানুষ পুলিশের পক্ষে।
পুলিশ বা আইন প্রয়োগকারী সব সংস্থা দুই পক্ষকে খুশী করতে পারে না কারন অন্যায় কারী সব সময় হেরে যায় আর তারা পুলিশের বিপক্ষে অবস্থান নেয়।
তাই হাত জোর করে বলছি যেখানে অন্যায় সেইখানেই প্রতিবাদ ,সেইখানেই প্রতিরোধ।।কোন ব্যাক্তির দায় প্রতিষ্ঠানের হতে পারে না ।
আর পুলিশ আসছে বলে ছোট্ট সোনামনিদের ভয় দেখিয়ে ঘুম পারাবেন না ।আর পুলিশের নামে কুৎসা রটাবেন না।আর পুলিশ কে ঘৃনা করবেন না।আপনারা পুলিশ কে ভালোবাসুন পুলিশও আপনাদের ভালোবেসে সেবা দিতে বাধ্য।কারন আপনারা রাষ্ট্রের মালিক আর পুলিশ আপনাদের ই বেতন ভুক্ত সেবক ।
আসুন দেশ মাতা কে ভালোবেসে,মায়ের কল্যানে সবাই একসাথে সকল অন্যায়, অবিচার ,জংগীবাদ বা সন্ত্রাস বাদ,ইভটিজিং,মাদকের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিই ।
পুলিশ জনতা ভাই ভাই ,জংগীবাদের ঠাই নাই।
পুলিশ জনতা একজোট ,মাদক মুক্ত দেশ হোক।
পুলিশ জনতা দিচ্ছে ডাক ,অন্যায়কারী নিপাত যাক।
(পড়ে ভালো লাগলে পোষ্টটি শেয়ার করুন)
লেখক:
এস এম কামরুল হাসান শিপন
ট্রাফিক পরিদর্শক
নোয়াখালী