ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা বিস্ফোরক আইনের মামলায় ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানী হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন। তবে আরও কয়েকটি মামলা থাকায় এখনই কারাগার থেকে মুক্তি মিলছে না তার।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর বিচারপতি মো. হাবিবুল গণি ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে জামিন দেন। বুধবার (৩ নভেম্বর) তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আশরাফ আলী মোল্লা জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অ্যাডভোকেট আশরাফ আলী মোল্লা বলেন, ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানায় বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা মামলায় রফিকুল ইসলাম মাদানী হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন। হাইকোর্টের একই বেঞ্চে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা গাজীপুরের বাসন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জামিন আবেদন শুনানির জন্য গতকালের (মঙ্গলবার) কার্যতালিকায় ছিল। তবে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়নি।
রফিকুল ইসলাম মাদানী এখন কামিশপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন। এর আগে গত ২৪ এপ্রিল দুপুরে তাকে কাশিমপুরে পাঠানো হয়।
তারও আগে গত ২১ এপ্রিল গাজীপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শেখ নাজমুন্নাহার রফিকুল ইসলাম মাদানীর রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে তাকে আদালতের নির্দেশে বাসন থানার একটি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে আনা হয়। রিমান্ড শেষে মাদানীকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ৭ এপ্রিল ‘শিশু বক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানীকে রাষ্ট্রবিরোধী উস্কানিমূলক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) নেত্রকোনার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে। এ সময় তার কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। তিনি ফোনের মাধ্যমে রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করতেন বরে দাবি করেছে র্যাব।