1. nagorikkhobor@gmail.com : admi2017 :
  2. shobozcomilla2011@gmail.com : Nagorik Khobor Khobor : Nagorik Khobor Khobor
শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ০২:২৫ পূর্বাহ্ন

স্ত্রী‌কে খুন কর‌তে গি‌য়ে অন‌্য নারী‌কে খুন ক‌রে সেকুল মিয়া

নাগ‌রিক খবর অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২১
  • ৫১৩ বার পঠিত

চার বছর আগে স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় ট্রাকচালক সেকুল মিয়ার (৩০)। পুনরায় বিয়ের আশ্বাস দিয়ে সেকুল মিয়ার কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকাও নেন সাবেক স্ত্রী। কিন্তু এক মাস আগে সাবেক স্ত্রী অন্যত্র বিয়ে করলে ক্ষুব্ধ হন সেকুল। সাবেক স্ত্রীকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তিনি।

শুক্রবার ভোরে সাবেক স্ত্রীকে হত্যা করতে সেকুল চলে যান মোহাম্মদপুরের নবোদয় হাউজিং এলাকায়। বোরকা পরে তার সাবেক স্ত্রী একটি রিকশায় উঠলে সেকুল তার পিছু নেন। একপর্যায়ে রিকশার গতিরোধ করে কাঁচি দিয়ে বোরকা পরিহিত এক নারীকে একের পর এক আঘাত করেন তিনি। রিকশা থেকে নিচে পড়ে গেলে সেকুল দেখতে পান ওই নারী তার স্ত্রী নন। তার সাবেক স্ত্রী তখন পাশেই অন্য একটি রিকশায় ছিলেন।

সেকুল মিয়ার কাঁচির আঘাতে নিহত ওই নারীর নাম আয়েশা সিদ্দিকা (২৬)। ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় আয়শাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ঘটনার পরই স্থানীয় লোকজন সেকুল মিয়াকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। তিনি এখন মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশের হেফাজতে আছেন।

পরিবার জানায়, আয়েশা পেশায় একজন গার্মেন্টস কর্মী। তার স্বামী রুবেল ইসলাম ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। আরিফা নামে তাদের পাঁচ বছর বয়সী মেয়ে রয়েছে। তারা নবোদয় হাউজিং এলাকায় থাকতেন। তিনি সাইনেক্স নামে একটি পোশাক কারখানার অপারেটর ছিলেন। প্রতিদিনের মতো গতকাল সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তিনি কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। তাদের গ্রামের বাড়ি দিনাজপুর জেলার ভবানীপুরের বানিয়া পাড়ায়।

আয়েশার স্বামী রুবেল ইসলাম বলেন, প্রথমে তারা ধারণা করেছিলেন আয়েশাকে ছিনতাইকারী কাঁচি দিয়ে আঘাত করেছে। কারণ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিকে তারা চেনেন না। পরে ঘটনা তিনি জানতে পারেন। খুনির কঠোর শাস্তি দাবি করেন তিনি।

মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ জানায়, সেকুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে, তিনি সাবেক স্ত্রীর ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। আয়েশাকে কাঁচি দিয়ে আঘাত করার পর তিনি দেখতে পান তার সাবেক স্ত্রী সামনের রিকশায়। আয়েশা এবং সেকুল মিয়ার সাবেক স্ত্রী একই রঙের বোরকা পরেছিলেন।

মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ  বলেন, সেকুল মিয়া পেশায় ট্রাক চালক। তিনি গাবতলী বাস টার্মিনাল এলাকায় থাকেন। পাঁচ বছর আগে তিনি বিয়ে করেন। চার বছর আগে তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। তারপরও তাদের মধ্যে যোগাযোগ ছিল। সাবেক স্ত্রীকে আবারও বিয়ে করতে চেয়েছিলেন সেকুল। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিভিন্ন সময় সেকুলের কাছ থেকে সাবেক স্ত্রী টাকা নিচ্ছিলেন বলেও জানিয়েছেন সেকুল। ওসি আরও জানান, এক মাস আগে অন্যত্র বিয়ে করেন সেকুলের সাবেক স্ত্রী । বিয়ের পর ফোন করে আবারও এক লাখ টাকা চান সেকুলের কাছে। এ কারণেই বেশি ক্ষুব্ধ হন বলে সেকুল জানিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 nagorikkhobor.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com