যশোরের ঝিকরগাছায় স্বামী পরিত্যক্তা নারীকে গণধর্ষণের পর রেললাইনের ওপরে ফেলে রেখে গিয়েছিল ধর্ষকরা। এক পথচারী দেখতে পেয়ে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশে খবর দেন। এরপর পুলিশ ওই নারীকে উদ্ধার এবং ধর্ষণে জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে আটক করেছে। বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) রাতে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরে শুক্রবার (৭ আগস্ট) সকালে ঘটনায় জড়িত চারজনকে আটক করা হয়। আটকদের বিকেলে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
আটকরা হলেন- ঝিকরগাছা উপজেলার পুরন্দপুর গ্রামের মৃত সাইফুল ইসলামের ছেলে আব্দুল জলিল (২৩), একই গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে জাকির হোসেন (২০), আব্দুল গাজীর ছেলে আলম হোসেন (৩০) ও ফজর আলীর ছেলে হাসানুর রহমান (২০)।ঝিকরগাছা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে পুরন্দপুর গ্রামের স্বামী পরিত্যক্তা ওই নারী রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় কয়েকজন তাকে ধরে নিয়ে যায়। তাকে রাস্তার পাশে আব্দুর রাজ্জাকের ঘাসের ক্ষেতে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণের পর রেললাইনের ওপর ফেলে রেখে যায় তারা। অচেতন অবস্থায় এক পথচারী ওই নারীকে দেখতে পেয়ে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন। ফোনের সূত্র ধরে সেখান থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়। পরে জ্ঞান ফিরলে তিনি ধর্ষণে জড়িত দুজনের পরিচয় জানান। শুক্রবার সকালে বিভিন্ন স্থান থেকে চারজনকে আটক করা হয়।
ওসি আরও জানান, আটকরা ধর্ষণে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তারা সবাই মাছ ধরার জাল টানার কাজ করেন। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণে বিকেলে তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি ওই নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।