1. nagorikkhobor@gmail.com : admi2017 :
  2. shobozcomilla2011@gmail.com : Nagorik Khobor Khobor : Nagorik Khobor Khobor
বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:১০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

লক্ষীপু‌রে ভিটেহারা দুই হাজার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন আইজিপি

নাগ‌রিক খবর অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ১৯১ বার পঠিত

লক্ষ্মীপুরের কমলনগর ও রামগতি উপজেলায় নদীভাঙনে ভিটেহারা দুই হাজার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার)। নিজস্ব কোনো জায়গা ও কবরস্থান না থাকায় এসব পরিবারের কোনো সদস্য মারা গেলে দাফন নিয়ে বিপাকে পড়তে হয় তাঁদের। এ সমস্যা সমাধানে আইজিপির উদ্যোগে সদর উপজেলার পশ্চিম চরমনসা গ্রামে সাড়ে ২৯ শতাংশ জমি কিনে কবরস্থান ও মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। চলতি মাসের শেষের দিকে আইজিপি এই কবরস্থান ও মসজিদ উদ্বোধন করবেন।

গত দুই দশকে কমলনগর ও রামগতি উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা মেঘনা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়েছে। ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে অন্তত দুই হাজার পরিবার। এখন রামগতি-লক্ষ্মীপুর সড়কই তাঁদের ঠিকানা। ভবানীগঞ্জ থেকে তোরাবগঞ্জ এলাকা পর্যন্ত আট কিলোমিটার এলাকায় সড়কের দুই পাশে অস্থায়ী ঘর তুলে বেঁচে থাকার লড়াই করে যাচ্ছেন তাঁরা। নিজস্ব কোনো জায়গা ও কবরস্থান না থাকায় পরিবারের কোনো সদস্য মারা গেলে দাফন নিয়ে বিপাকে পড়তে হয় তাঁদের।

এই সমস্যা সমাধানে ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ ড. বেনজীর আহমেদ, বিপিএম (বার) এগিয়ে আসেন। তাঁর নির্দেশে কবরস্থান ও মসজিদ নির্মাণের কাজ জেলা পুলিশ বাস্তবায়ন করছে। এ জন্য বাংলাদেশ পুলিশের প্রশংসা করছেন স্থানীয় লোকজন।

স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, স্বজন হারানোর চেয়েও তাঁদের কাছে বেশি চিন্তার বিষয় কবরের জায়গা না থাকা। অনেক সময় মরদেহ নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয়। কোথায়, কার জমিতে মরদেহ দাফন করা যাবে, তা নিয়ে সব সময় কাজ করে অস্থিরতা। তবে এই সমস্যার সমাধানে উদ্যোগ নেওয়ায় বাংলাদেশ পুলিশকে ধন্যবাদ জানান তাঁরা।

জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, মৃতদের কবর দেওয়া নিয়ে নদীভাঙা মানুষের দুশ্চিন্তা এবং স্থানীয় ২৫ জন যুবকের উদ্যোগ নেওয়ার বিষয়ে খবর প্রকাশিত হয় গণমাধ্যমে। বিষয়টি নজরে পড়ায় আইজিপি বেনজীর আহমেদ এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী জমি কেনাসহ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়। গত বছরের ১ ডিসেম্বর জমি রেজিস্ট্রি হয়। এরপর থেকে পুরো জমিতে সীমানাপ্রাচীর তুলে কবরস্থান ও মসজিদের নির্মাণকাজ শুরু করা হয়। সেখানে গভীর নলকূপ, মরদেহ গোসলের ঘর ও শৌচাগার রয়েছে। প্রধান সড়ক থেকে গণকবরে যাওয়ার জন্য রাস্তাও সংস্কার করা হয়েছে।

এর আগে ৪ সেপ্টেম্বর গণকবরের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন চট্টগ্রাম বিভাগের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. আনোয়ার হোসেন। এ সময় জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামানসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সুত্র: পু‌লিশ নিউজ

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 nagorikkhobor.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com