নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় নির্বাচনী সহিংসতায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর পাঁচ সমর্থক আহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টায় বুড়িরচর ইউনিয়নের (ইউপি) ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কালিরচর গ্রামের ইব্রাহীম মার্কেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- বুড়িরচর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আবুল হাসেমের ছেলে আবদুর রহমান (২৪), একই ওয়ার্ডের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে বাবর উদ্দিন (৪৫), মৃত নুরুল আমিনের ছেলে মো. আনোয়ার হোসেন (২৭), মৃত সাইফুল ইসলামের ছেলে সাজ্জাদুল ইকবাল (৩৬) ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের হাফেজ মো. ইউসুফের ছেলে আমির হামজা (৩৪)। এদের মধ্যে আবদুর রহমান ও বাবর উদ্দিনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ও বাকিদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বুড়িরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জিয়া আলী মোবারক কল্লোল ও আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফখরুল ইসলামের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের পাঁচজন আহত হন। রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, বিকেলের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে সন্ধ্যায় উভয় পক্ষের সমর্থকরা পুনরায় সাগরিয়া বাজারে মুখোমুখি হলে পুলিশ গিয়ে তাদের ধাওয়া দেয়। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) বুড়িচরসহ হাতিয়ার সাতটি ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান বলেন, নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হাতিয়া উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে ১৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, তিনজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ৬৭৫ জন পুলিশ, এক হাজার ৪৬২ জন আনসার, ছয় প্লাটুন কোস্টগার্ড, দুই প্লাটুন বিজিবি, র্যাবের পাঁচটি টিম, সাতটি মোবাইল ফোর্স এবং তিনটি স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন থাকবে। সর্ব্বোচ নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে নির্বাচনী এলাকা।