1. nagorikkhobor@gmail.com : admi2017 :
  2. shobozcomilla2011@gmail.com : Nagorik Khobor Khobor : Nagorik Khobor Khobor
মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৫৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :

ঢাকার চার পাশে ওয়াকওয়ে তৈরির নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

নাগ‌রিক খবর অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ৩২৬ বার পঠিত

ঢাকার চার পাশে ওয়াকওয়ে তৈরির নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর- একনেকে ৭ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকার ৮ প্রকল্প অনুমোদন।

ঢাকার চারপাশে এলিভেটেড সার্কুলার ওয়াকওয়ে (চক্রাকার উড়াল হাটার রাস্তা) তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হা‌সিনা। তিনি বলেছেন, মাটিতে যেহেতু জায়গা কম, সেহেতু এলিভেটেড হলে ভাল হবে। এতে চলাচল সহজ হবে। গতকাল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এ নির্দেশ দেন তিনি। ‘বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর তীরভূমিতে পিলার স্থাপন, তীররক্ষা, ওয়াকওয়ে ও জেটিসহ আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের অনুমোদনের সময় প্রধানমন্ত্রী এমন নির্দেশনা দেন। বৈঠক শেষে ব্রিফিং বিষয়টি জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এলিভেটেড ওয়াকওয়ের বিষয়টি এখনই হতে হবে এমনটি নয়, এ নিয়ে ভেবে দেখতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, পরিচ্ছন্ন কর্মীদের তৈরি হতে যাওয়া ফ্লাটের ভাড়া না নেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেছেন, ভাড়া না নিয়ে শুধু মেইনটেন্সের (রক্ষণাবেক্ষণ) জন্য কিছু টাকা নেয়া যেতে পারে। এছাড়া বংশানুক্রমিক ভাবে তারা যাতে চাকুরি পায় সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। যদিও এটি আইনেও আছে। ‘পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের জন্য আবাসিক ভবন নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্প অনুমোদন দিতে গিয়ে এ নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হা‌সিনা বলেছেন, উপক‚লীয় অঞ্চলে বাঁধ কাটা রোধে এখন থেকে বাঁধ নির্মাণে আধুনিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা রাখতে হবে। যাতে চিংড়ি চাষের জন্য লবন পানির প্রয়োজন হলে, তখন এই ড্রেনেজ সিস্টেমের মাধ্যনে চাষীরা নিতে পারেন। আবার যখন পানি বেশি হবে তখন বের করেও দিতে পারবেন। তবে যারা পানি নেবেন তাদের কাছ থেকে টাকা নিতে হবে।

অপর একটি প্রকল্প অনুমোদন করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এলসি স্টেশনগুলোতে বডি ও মালামাল স্ক্যানার বসাতে হবে। যাতে অবৈধ কোন কিছু এ দেশে প্রবেশ করতে না পারে। নদীগুলো নিয়মিত মেইনটেন্স ড্রেজিং ও ক্যাপিটাল ড্রেজিং করতে হবে। এছাড়া নদীর ধারে অবস্থিত শিল্প কারখানা বর্জ্য যাতে নদীতে ফেলা না হয় সেদিকে নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এক্ষেত্রে শিল্প কারখানাগুলোতে ইটিপি (বর্জ্য শোধনাগার) স্থাপন করতে হবে। বর্জ্য মিশ্রিত পানি শোধন করেই তবে নদীতে ফেলা যাবে। এছাড়া রংপুরে বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার এক ফসলি জমিতে করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। নভোথিয়েটারে সঙ্গে শিশুপার্ক তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

এদিকে দক্ষ জনশক্তি তৈরিসহ ৮ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৭ হাজার ৫৮৯ কোটি ৭২ লাখ টাকা। এরমধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৫ হাজার ৯ কোটি ৭২ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক ঋণ সহায়তা থেকে ২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিফ্রিং করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান ও প্রতিমন্ত্রি ড. শামসুল আলম। এ সময় পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য মামুন-আল-রশীদ, আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী এবং আইএমইডির সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তীসহ পরিকল্পনা কমিশনের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, যুবসমাজ, নারী ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে কর্মসংস্থানের উপযোগী ও চাহিদাভিত্তিক কর্মীবাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এজন্য অনুমোদন দেয়া হয়েছে ‘এ্যাকসিলারেটিং এন্ড স্ট্রেনদেনিং স্কিলস ফর ইকনোমিক ট্রান্সফারমেশন’ প্রকল্প। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ৪ হাজার ২৯৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে এক হাজার ৭১৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকা এবং বিশ্বব্যাংকের ঋণ থেকে ২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা ব্যয়ের লক্ষ্য রয়েছে। এটি যুব সমাজের জন্য খুবই ভাল একটি প্রকল্প। দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করবে। তিনি জানান, প্রকল্পের আওতায় অনাবাসিক ভবন, ১৫ একর জমি অধিগ্রহণ, প্রশিক্ষণ, প্রশিক্ষণ অনুদান, প্রকল্প অনুদান, পরামর্শক, সেমিনার ও কনফারেন্স, আইসিটি সরঞ্জাম, কম্পিউটার সামগ্রী ক্রয় এবং অফিস সরঞ্জামাদি ও আসবাবপত্র কেনা হবে। এছাড়া অন্যান্য যন্ত্রপাতি ক্রয়, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ সেক্টরে কোভিড-১৯ মোকাবেলা সংক্রান্ত সচেতনতা সৃষ্টিতে সহায়তা দেয়া হবে। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে পরামর্শক খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। এত টাকা কেন প্রয়োজন জানতে চাইলে ব্রিফিং এ পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম বলেন, নানা ধরনের কার্যক্রম বাস্তবায়নে পরামর্শক খাতে এই অর্থের প্রয়োজন আছে। এসময় কোন খাতে কত পরামর্শক প্রয়োজন তার ব্যাখা তুলে ধরেন তিনি। পরিকল্পনা মন্ত্রী জানান, সারাদেশের পৌরসভাগুলোর পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের জন্য পর্যায়ক্রমে আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হবে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী খুবই আন্তরিক। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন, পরিচ্ছতা কর্মীরা যাতে তাদের অধিকার পায় সে বিষয়টি লক্ষ্য রাখতে হবে।

অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলো হচ্ছে, পৌরসভায় পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের জন্য আবাসিক ভবন নির্মাণ প্রকল্প। এটি বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ১৪২ কোটি ২৭ লাখ টাকা। এছাড়া হিলি, বুড়িমারি ও বাংলাবান্ধা এলসি স্টেশনের ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ, ব্যয় ৮০ কোটি ৬১ লাখ টাকা। বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর তীরভুমিতে পিলার স্থাপন, তীররক্ষা, ওয়াকওয়ে ও জেটিসহ আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণ, ব্যয় হবে ৩৩২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার, রংপুর স্থাপন, ব্যয় ৪১৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। আঞ্চলিক ডাল গবেষনা কেন্দ্র, মাদারীপুরের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বৃহত্তর বরিশাল, ফরিদপুর অঞ্চলে ডাল ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প, ব্যয় ১৬৮ কোটি টাকা। সিরাজগঞ্জ জেলায় যমুনা নদী হতে পুনরুদ্ধারকৃত ভ‚মির উন্নয়ন এবং প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চল রক্ষা, ব্যয় ১২৮ কোটি ২২ লাখ টাকা। সাতক্ষীরা জেলার পোল্ডার নং ১৫ পুর্নবাসন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ২০ কোটি ৪২ লাখ ৯২ হাজার টাকা।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 nagorikkhobor.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com