1. nagorikkhobor@gmail.com : admi2017 :
  2. shobozcomilla2011@gmail.com : Nagorik Khobor Khobor : Nagorik Khobor Khobor
বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৩৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :

প্রবাসী‌দের কল‌্যা‌ণে সরকা‌রের নানা কর্মসূচি

নাগ‌রিক ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ৩১ জুলাই, ২০২০
  • ৩৬৬ বার পঠিত

বাংলা‌দে‌শে করোনা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আগেই প্রবাসে এর ভয়াবহতার মুখোমুখি হয়েছেন বাংলাদেশিরা। এই পরিস্থিতিতে প্রবাসীকর্মীদের জন্য খাদ্য সহায়তা থেকে শুরু করে সরকার অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক, সামাজিক তৎপরতা চালাচ্ছে। বিভিন্ন সময় আটকে পড়া প্রবাসীদের দেশে ফেরতও নিয়ে এসেছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীদের জন্য ঋণ সুবিধা চালুসহ করোনায় মৃত পরিবারের জন্য আর্থিক অনুদানের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি রেমিট্যান্সের ওপর ২ শতাংশ প্রণোদনা বহাল রাখা হয়েছে করোনাকালীন বাজেটে। করোনা দুর্যোগকালে প্রবাসীকর্মীদের কল্যাণে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে।

বাজেটে রেমিট্যান্সের ওপর ২ শতাংশ প্রণোদনা বহাল

বৈধপথে রেমিট্যান্সের উৎসাহ জোগাতে বিগত অর্থবছরে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপর ২ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়ার উদ্যোগ নেয় সরকার। তাতে আশানুরূপ ফল পাওয়ায় ২০২০-২১ অর্থবছরেও এই প্রণোদনা বহাল রাখে সরকার। করোনাভাইরাস ও বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের দাম কমার কারণে এই অর্থবছরে প্রবাস আয় প্রবৃদ্ধি কম হওয়ার আশঙ্কা থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

৩২ মিশনে মানবিক সহায়তা

করোনা প্রাদুর্ভাবের সময় বিদেশে অবস্থিত ৩২টি বাংলাদেশি মিশনে চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ৯ কোটি ৭৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড। সরকার এই কাজে বরাদ্দ রেখেছে ১১ কোটি টাকা। বিদেশের বাংলাদেশ মিশনগুলো এই অর্থ প্রবাসীদের জন্য জরুরি ত্রাণ সহায়তায় ব্যয় করছে বলে বোর্ড সূত্রে জানা গেছে।

এছাড়া জর্ডানে বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান বাংলাদেশি বন্দিদের মাঝে নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যবহারের জিনিসপত্র হস্তান্তর করতে আম্মানের জোয়াইদেহ পুনর্বাসন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। জোয়াইদেহ পুনর্বাসন কেন্দ্রে ১০৩ জন বাংলাদেশি নারী অবস্থান করছেন। তাদের মধ্যে ৮৭ জন প্রশাসনিক কারণে ও দুই জন বিচারিক কারণে আটক এবং ১৪ জন বিভিন্ন ফৌজদারি মামলায় সাজা পেয়ে অবস্থান করছেন। আম্মানের পুনর্বাসন কেন্দ্রগুলোতে প্রশাসনিক কারণে আটকরা স্বদেশে ফিরে যেতে তাদের কাগজপত্র প্রক্রিয়া করার জন্য সাধারণত ১৫-২০ দিনের জন্য স্বল্পমেয়াদে আটক হিসেবে অবস্থান করেন। তবে, এই করোনভাইরাস মহামারি চলাকালে বিমানবন্দর বন্ধ থাকায় তারা এই কেন্দ্রে চার মাস অপেক্ষা করছেন। এই মহামারিজনিত পরিস্থিতির কারণে আটক বাংলাদেশিদের সংখ্যা খুব বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। এ অবস্থায় তাদের প্রতিদিনের ব্যবহারের জন্য কিছু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ঘাটতি দেখা দেয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তাদের জন্য দূতাবাসের পক্ষ থেকে পোশাক, সাবান ও টেলিফোন কার্ড সম্বলিত ১০৩টি বাক্স হস্তান্তর করেন।

মালদ্বীপ প্রবাসীদের জন্য ৮৫ টন খাদ্য সহায়তা

করোনা পরিস্থিতিতে মালদ্বীপে অসহায় জীবন যাপন করা প্রবাসীদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বাংলাদেশ থেকে ১০০ টনের বেশি খাবার, ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একটি জাহাজ সেগুলো মালদ্বীপে নিয়ে পৌঁছায় গত ২২ এপ্রিল। ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে আছে ৪০ মেট্রিক টন চাল, ১০ মেট্রিক টন আলু, ১০ মেট্রিক টন মিষ্টি আলু, ৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ, ১০ মেট্রিক টন মসুর ডাল, ৫ মেট্রিক টন ডিম এবং ৫ মেট্রিক টন সবজি। ত্রাণের চাল ছাড়া অন্যান্য সামগ্রী কেনার জন্য ৫০ লাখ টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে। এসব সামগ্রী ছাড়াও হ্যান্ড স্যানিটাইজার, জরুরি ওষুধপত্র ও মাস্কসহ অন্যান্য সামগ্রী ওই টাকা থেকে কেনা হয় বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।

প্রায় ৬ হাজার বিদেশফেরতকে বিমানবন্দরে আর্থিক সহায়তা

করোনার প্রাদুর্ভাবের সময় দেশে ফিরে আসা প্রায় ছয় হাজার কর্মীকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের মাধ্যমে জনপ্রতি ৫ হাজার টাকা করে মোট ২ কোটি ৯৭ লাখ টাকা তাৎক্ষণিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এখানে উল্লেখ্য, বিদেশ থেকে নিপীড়িত, নির্যাতিত অথবা প্রতারিত হয়ে ফিরে আসা বৈধ নারীকর্মীদের তাৎক্ষণিকভাবে সাহায্য করার উদ্দেশ্যে দেশে ফিরে আসার সঙ্গে সঙ্গে তাদের ৫ হাজার টাকার অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছিল ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড। গত ডিসেম্বর মাস থেকেই এই প্রক্রিয়া শুরু হয়। করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে এই অনুদানের ক্ষেত্র বাড়ানো হয়।

৪ শতাংশ সুদে বিশেষ পুনর্বাসন ঋণ সুবিধা

করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীদের জন্য ৪ শতাংশ সরল সুদে বিশেষ পুনর্বাসন ঋণের ব্যবস্থা করেছে সরকার। এই লক্ষ্যে ৭০০ কোটি টাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০০ কোটি টাকা বিনা সুদে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে দিয়েছে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড। বাকি ৫০০ কোটি টাকা প্রক্রিয়াধীন আছে। মূলত, করোনা সংক্রমণের কারণে চলতি বছরের ১ মার্চের পর থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে দেশে ফেরত আসা অভিবাসী কর্মীরা পাবেন এই ঋণ। নীতিমালা অনুযায়ী, এক ব্যক্তিকে সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিতে পারবে ব্যাংক। সরল সুদের এই ঋণের মেয়াদ হবে খাত অনুযায়ী এক থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে।

গত ১৫ জুলাই থেকে ঋণ বিতরণের আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহতাব জাবিন। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা প্রস্তুত আছি। কিন্তু চ্যালেঞ্জ হলো, অনেকেই জানেন না যে ঋণের টাকা দিয়ে তারা কী করবেন, কোন ব্যবসা করবেন। আমাদের কাছে অনেকেই আসছেন এই বিষয়ে জানতে। আমার মনে হয়, তাদের এই বিষয়ে একটি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করলে ভালো হতো। আমি এ নিয়ে সচিব মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। যারা ঋণ সুবিধা চান তাদের আবেদন করতে হবে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ, সেটা বাছাই কমিটি এপ্রুভ করবে। তার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঋণ দিয়ে দেবো।

পৃথক করোনা টেস্ট সেন্টার তৈরির উদ্যোগ

বিদেশগামী কর্মীদের জন্য পৃথক করোনা টেস্টের ব্যবস্থা করতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এজন্য ইতোমধ্যে এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট আহ্বান করেছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।

আটকে পড়া প্রবাসীদের ফেরত নিয়ে আসা

করোনার প্রাদুর্ভাবের শুরুর দিকে চীনে আটকে পড়া ৩৪১ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত আনার ব্যবস্থা করেছে সরকার। গত ৩১ জানুয়ারি তাদের বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে ফিরিয়ে আনা হয়। এই খরচ পুরোটাই বহন করেছে বাংলাদেশ সরকার। এছাড়া জুলাই মাসে সৌদি আরবের রিয়াদ (৯৮ জন) ও জেদ্দার সেফহোমে অপেক্ষমাণ নারী কর্মীদের দেশে ফেরত আনার ব্যবস্থা করে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড। এই নারীকর্মীদের ফিরিয়ে আনার খরচ রিক্রুটিং এজেন্সির কাছ থেকে আদায় করার সুপারিশ করেছিল দূতাবাস।

এছাড়া ১১ জুন ফিলিপাইন থেকে ২৩ জন আটকে পড়া বাংলাদেশির জন্য বিশেষ বিমানের ব্যবস্থা করেছে ম্যানিলায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও দূতাবাসের অনুরোধে ফিলিপাইন থেকে আটকে পড়াদের ফিরিয়ে নিতে সম্মত হয় ঢাকাস্থ ফিলিপাইন দূতাবাস।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে করোনায় মৃত সব প্রবাসীর জন্য আর্থিক অনুদান

বৈধভাবে বিদেশ গিয়ে কিংবা কর্মী যদি ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের সদস্য হয়ে থাকেন তাহলে মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ হিসেবে তিন লাখ টাকা দেয় সরকার। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় গত ৮ জুলাই সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনায় মৃত সব প্রবাসীর পরিবারকে এই অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দেন।  প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী, শুধু বৈধ ও নিবন্ধিত অভিবাসী মৃত কর্মীর পরিবারকে বোর্ডের তহবিল থেকে ক্ষতিপূরণ বাবদ তিন লাখ টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়। তবে করোনা মহামারি পরিস্থিতি বিবেচনায় বর্তমানে করোনাভাইরাসে মৃত্যুবরণকারী নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত নির্বিশেষে সব প্রবাসী কর্মীর পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য আমরা তিন লাখ টাকা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।’

ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়ন শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন বোর্ডের উপপরিচালক (গবেষণা, পরিকল্পনা ও প্রশিক্ষণ) মো. জাহিদ আনোয়ার। তিনি বলেন, ‘করোনায় মৃত সব প্রবাসীর পরিবার তিন লাখ টাকা আর্থিক অনুদান পাবেন।’

পরিবারের জন্য ত্রাণ সহায়তা

বিদেশফেরত অসহায়, ক্ষতিগ্রস্ত, দরিদ্র কর্মী ও বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের মানবিক সহায়তা প্রদানের নির্দেশ দিয়ে গত ১ জুলাই পত্র জারি করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীসহ দেশে চলমান সহায়তা কার্যক্রমের আওতায় এই সহায়তার নির্দেশ দেওয়া হয়। গত ২৬ এপ্রিল প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে এই পরিপত্র জারি করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ১ জুলাই জারিকৃত পত্রে বিদেশফেরত অসহায়, ক্ষতিগ্রস্ত ও দরিদ্র কর্মী এবং প্রবাসী কর্মীদের পরিবারকে উপজেলাভিত্তিক বরাদ্দপ্রাপ্তি সাপেক্ষে মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদের সহকারী একান্ত সচিব মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান।

ভিসা ও ইকামার মেয়াদ বাড়াতে কূটনৈতিক তৎপরতা

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে বাংলাদেশি কর্মী যারা ছুটিতে ফেরত এসেছেন তাদের ভিসা ও ইকামার মেয়াদ বাড়াতে কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়েছে সরকার। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন জানান, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশিদের ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তারা জানিয়েছেন, যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছে তাদের মেয়াদ বাড়ানো হবে।

তিনি বলেন, ‘সৌদি, কাতার, আমিরাত, কুয়েত ও ইরাকের সঙ্গে বাংলাদেশের বৈঠক হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফিরে আসা বাংলাদেশি কর্মীরা আবারও ওইসব দেশে যেতে পারবেন। তাদের ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হবে। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।’

সরকারের গৃহীত উদ্যোগের বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, ‘মার্চের দিকে যখন থেকে ফ্লাইট বন্ধ হওয়া শুরু হয় তখন থেকে সমস্যাগুলো তৈরি হয়েছে। এটি একটি এক্সট্রা অর্ডিনারি সিচুয়েশন, নরমাল সিচুয়েশন না। তার সঙ্গে আরও সমস্যা হয়েছে করোনার সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যে আমাদের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজারে কিন্তু অর্থনৈতিক মন্দা চলে আসছে। তার ওপর তেলের দাম অনেক নিচে। এসব কারণে তাদের কিন্তু উন্নয়ন কাজ সব স্থগিত করা হয়। তাছাড়া তারা তাদের নাগরিকদের চাকরিতে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যার ফলে সব চাপ অভিবাসী কর্মীদের ওপর চলে এসেছে।’

তিনি বলেন, ‘শুধু আমরা না, বিদেশে কর্মী পাঠায় যেসব দেশ তাদের সবার ওপরেই এই সমস্যা আসছে। এখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শুধু আমাদের মন্ত্রণালয় নয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও আছে। অনেক কূটনৈতিক ব্যাপারও আছে। আমরা আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করেছি এখন পর্যন্ত আটটি। এতে অনেক কাজ হয়েছে। কর্মীদের প্রণোদনার বিষয়টি এসেছে। ফ্লাইটে যারা ফেরত আসে তাদের কোয়ারেন্টিনের বিষয়ে এবং যারা বিদেশে আটকে আছে তাদের জন্য আমরা এখান থেকে ১১ কোটি টাকার মতো ফান্ড পাঠিয়েছি।

সুত্র: বাংলা ট্রিবিউন

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 nagorikkhobor.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com