কুষ্টিয়ার কুমারখালীর উপজেলায় একটি হত্যা মামলার বার বছর পর কয়া ইউপি চেয়ারম্যান জামিল হোসেন বাচ্চু হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী মানিককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১২। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা উপজেলার কৃষ্টগঞ্জ এলাকায় র্যাবের একটি অভিযান পরিচালনা কালীন সময়ে মানিককে আটক করেন।
গতকাল শুক্রবার সকালে কুষ্টিয়া র্যাব-১২ এর কার্যালয়ে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সাংবাদিকদেরকে জানান কোম্পানী কমান্ডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান। সাজাপ্রাপ্ত আসামি কুমারখালী উপজেলার বানিয়াপাড়া এলাকার মৃত খান শরিফ উদ্দিনের ছেলে মানিক।
এ সময় তিনি সাংবাদিকদেরকে আরও জানান ২০০৯ সালের ২৫ জুলাই বিকালে ইউপি চেয়ারম্যান জামিল হোসেন বাচ্চু বাড়ী ফেরার পথে কুমারখালী উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের হাতির শাকো রেললাইন এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে দূর্বৃত্তরা অতর্কিত গুলি বর্ষণ ও ছুরিকাঘাত করে নির্মমভাবে হত্যা করে।
পরে নিহতের ভাই জিয়াউল ইসলাম স্বপন বাদী হয়ে ঘটনার পরদিন কুমারখালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুমারখালী উপ পরিদর্শক নাসির উদ্দিন ৩৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলাটি চাঞ্চল্যকর হওয়ায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশে ২০১৩ সালে ১৬ জুলাই কুষ্টিয়া আদালত থেকে খুলনা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে প্রেরণ করা হয়। মামলার বিচার শেষে বিজ্ঞ দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল খুলনা আদালত উক্ত গ্রেপ্তারকৃত আসামীসহ ১২জন আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন।
র্যাব-১২ আরও জানান চেয়ারম্যান হত্যার পর সে নিজ এলাকা ছেড়ে রাজশাহীতে বসবাস শুরু করে। পরিচয় গোপন রেখে রকিব উদ্দিন নামে একটি জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরী করেন।
আটকৃত মানিককে কুমারখালী থানায় হস্তান্তর করা হবে। পরে কুমারখালী থানা তাকে জেলা কারাগারে প্রেরণ করবে বলে তিনি জানান।