কুমিল্লার ময়নামতি এলাকায় একটি সেলুনে দেলোয়ার হোসেন নামে এক ভাঙ্গারী ব্যবসায়ীকে হত্যার দুদিন পর ২২ আগষ্ট দুপুরে চাঁদপুর শহর থেকে ঘাতক লক্ষণ চন্দ্র শীলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআই)।
পিবিআই সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার ১৯ আগষ্ট রাত দেড়টার দিকে ময়নামতি টিপরা বাজার আজাদ মার্কেটের লক্ষণ হেয়ার কাটিং সেলুনের ভিতরে কুপিয়ে হত্যা করা হয় ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেনকে। পর দিন শুক্রবার রাতে সেলুনে রাখা একটি বস্তা থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ, পিবিআই ও সিআইডির ক্রাইম সিন ঘটনাস্থলে গিয়ে আলামত সংগ্রহ করে। ওই ঘটনার পর থেকে সেলুন মালিক লক্ষণ চন্দ্র শীল পলাতক ছিল।
পিবিআই পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, দেলোয়ারের কাছে পাওনা তিন লাখ টাকা নিয়ে বেশকিছু দিন ধরেই দুজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। লক্ষণের বক্তব্য অনুযায়ী পাওনা টাকা না দিয়ে উল্টো হুমকি ধমকি দেয়ার জের ধরেই দেলোয়ারকে ফোনে ডেকে এনে দোকানে বসিয়ে আধা ঘন্টা বডি ম্যাসেজ করে। একপর্যায়ে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী দেলোয়ারকে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। এরপর লাশ বস্তায় ভরে দোকানের ভেতর রেখেই ভোররাতে তালা লাগিয়ে আমতলি এলাকায় তার নিজের বাড়িতে চলে যায়। এসময় দেলোয়ারের ব্যবহৃত দুটি মোবাইল বাড়ির উঠানে মাটির নিচে গর্ত করে লুকিয়ে রাখে। পরে গোসল করে স্ত্রীর কাছ থেকে ১হাজার টাকা নিয়ে সকাল ৭টায় চাঁদপুর চলে যায়।
তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে সর্বশেষ ২২ আগষ্ট দুপুরে চাঁদপুর শহর থেকে মনোহরগঞ্জ চিতোশী এলাকায় পৌছায়। এর পর সেখানেই লক্ষণশীলকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর তাকে নিয়ে বাড়ির উঠানে মাটির নিচে লুকানো মোবাইল দুটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত দেলোয়ার ব্রাক্ষণবাড়ীয়ার সরাইল এলাকার জাহের আলীর ছেলে ।পেশায় সে ভাঙ্গারি ব্যবসায়ি। স্ত্রী ও দু সন্তানকে নিয়ে ময়নামতি ফরিজপুর এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকত বলে তার পরিবার সুত্রে জানা যায়।