করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। তার নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বেশকিছু পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে। নতুন কিছু নির্দেশনা জুড়ে দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে বলে বুধবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন গণমাধ্যমকে জানান।
তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে আমাদের পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি রয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি পরিকল্পনা নিয়ে আমরা এগোচ্ছি। সচিব বলেন, বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের দিকে যাচ্ছে। এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী দ্রুত সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া সম্ভব হবে। শিক্ষার্থীদের ঝুঁকি এড়াতে ১৮ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনা হবে। এজন্য আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করেছি। শিক্ষার্থীরা অ্যাপসের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে নিবন্ধন করে টিকা নিতে পারবে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শতভাগ শিক্ষককে টিকার আওতায় আনতে টিকা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে পাঠদান পরিচালনাসহ বেশকিছু শর্ত পালন করতে বলা হবে। সেসব শর্ত মেনে ক্লাস-পরীক্ষা নিতে হবে। স্কুল পুনরায় খুলে দেয়ার পরিকল্পনা অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হবে। কবে থেকে স্কুল-কলেজ খোলা হবে সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। তিনি বলেন, ‘আমরা জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। পরামর্শক কমিটির নির্দেশনা মোতাবেক বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে। পরামর্শক কমিটির নির্দেশনা পেলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সময় নির্ধারণ করা হবে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি দ্রুত স্কুল খুলে দেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন। বুধবার (১৮ আগস্ট) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত সচিব সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এ নির্দেশনা দেন তিনি। সভায় উপস্থিত একজন সচিব বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার ব্যবস্থার কথা বলেছিলাম। ওই সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু বিশ্ববিদ্যালয় নয়, দ্রুত সময়ে স্কুল-কলেজও খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। শিশুরা ঘরে থাকতে থাকতে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য সব পদক্ষেপ নিতে হবে। সবার জন্য টিকা নিশ্চিত করতে হবে। জরুরি ভিত্তিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে।