ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে মরচুয়ারি কুলার (মরহেদ রাখার ফ্রিজ) নিয়ে দুর্ভোগ বহুদিনের। যে ক’টি মরচুয়ারি কুলার রয়েছে সেগুলো বেশ পুরনো। প্রায়ই বিকল হয়ে পড়ে। সেগুলো মেরামত করতে হয় মাঝে মাঝেই। নতুন দুটি কুলার স্থাপন করা হলেও টেনেটুনে চালাতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে। বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটলেই পড়তে হয় বিপাকে। আবার পরিচয়হীন মরদেহ দীর্ঘদিন ফ্রিজে রাখার কারণেও দেখা দেয় সংকট। কর্তৃপক্ষ জানালো, মর্গের কুলার নিয়ে শিগগিরই কেটে যাবে জটিলতা।
ঢামেকের মর্গ সহকারী সেকান্দর আলী জানালেন, এখন পাঁচটি মরচুয়ারি কুলার রয়েছে। একটিতে পাঁচটি করে ২০টি মরদেহ রাখা যায়। পাঁচটির মধ্যে একটি আবার বিকল।
ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢামেক হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. মোহাম্মদ মাকসুদ বলেন, ‘এ সমস্যা দীর্ঘদিনের। বিষয়টি কলেজের প্রিন্সিপালের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের জানানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষ আশ্বস্ত করেছেন। ইতোমধ্যে সরকারি নিয়ম অনুসারে দরপত্র ডাকা হয়েছে। রেড ক্রিসেন্টের পক্ষ থেকেও বড় আকারে একটি মরচুয়ারি দেওয়ার কথা হয়েছে।’
কতটি মরদেহ রাখা যাবে সেই মরচুয়ারিতে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা এখনও জানতে পারেননি। আমরা শুধু স্থাপনার জন্য জায়গা দেখিয়ে দিয়েছি।’
তিনি বলেন, রেড ক্রিসেন্ট ও সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া মরচুয়ারি স্থাপন হলে আর সমস্যা থাকবে না। ফরেনসিক বিভাগের মর্গকেও আরও আধুনিক করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।