মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা অনুযায়ী চলতি বছর ২৪ জুন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে, সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ তাদের অধীনস্ত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর সম্পদের হিসাব সংস্থাপন অধিশাখায় দাখিলের নির্দেশনা দেয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চিঠি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ সম্পদ বিবরণী জরুরিভিত্তিতে সংস্থাপন অধিশাখায় পাঠানোর নির্দেশনা দেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শৃঙ্খলা শাখার উপসচিব নাফিসা আরেফীন স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯’ এর আলোকে সরকারি কর্মচারীদের স্থাবর সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
সরকারি চাকরি আইন ২০১৮’ এর আওতাভুক্ত কর্মকর্তাদের সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯ অনুযায়ী সম্পদ বিবরণী দাখিল ও স্থাবর সম্পত্তি অর্জন বা বিক্রয় সংক্রান্ত বিধিসমূহ প্রয়োগের কথা উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯ এর বিধি ১১, ১২ ও ১৩ তে সরকারি কর্মচারীদের স্থাবর সম্পত্তি অর্জন, বিক্রয় ও সম্পদ বিবরণী দাখিলের বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। সুশাসন নিশ্চিতকল্পে প্রধানমন্ত্রী উল্লিখিত বিধিসমূহ কার্যকরভাবে কর্মকর্তাদের অনুসরণের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়কে জোর নির্দেশনা দিয়েছেন।
এমতাবস্থায়, সরকারি চাকরি আইন ২০১৮’ এর আওতাভুক্ত তাদের নিয়ন্ত্রণকারী প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়/দপ্তর/অধীনস্থ সংস্থায় কর্মরত সব সরকারি কর্মকর্তার সম্পদ বিবরণী দাখিল, উক্ত সম্পদ বিবরণীর ডাটাবেজ তৈরি এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় হতে স্থাবর সম্পত্তি অর্জন ও বিক্রয়ের অনুমতি গ্রহণের বিষয়ে সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯ এর ১১, ১২ এবং ১৩ বিধি পুঙ্খনুপুঙ্খভাবে প্রতিপালনের মাধ্যমে জরুরি ভিত্তিতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। এছাড়া, চিঠিতে সরকারি কর্মচারীর জমি/বাড়ি, ফ্ল্যাট/সম্পত্তি ক্রয়/অর্জন ও বিক্রয়ের অনুমতির জন্য আবেদনপত্রের নমুনা ফরম এবং বিদ্যমান সম্পদ বিবরণী দাখিলের ছক তুলে ধরা হয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সংস্থাপন অধিশাখার উপসচিব মুহাম্মদ লুৎফর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ জরুরি ভিত্তিতে সকল কর্মকর্তা কর্মচারীর সম্পদ বিবরণী সংস্থাপন অধিশাখায় পাঠানোর জন্য নির্দেশ দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, ‘সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯’ অনুযায়ী প্রতি পাঁচ বছর পর পর সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পদ বিবরণী দাখিল এবং স্থাবর সম্পত্তি অর্জন বা বিক্রির ক্ষেত্রে অনুমতি নেয়ার নিয়ম থাকলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে এ নিয়ম মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। এ কারণেই সরকারের উল্লেখিত বিধিমালা অনুযায়ী সম্পদ বিবরণী দাখিলসহ সম্পত্তি অর্জন বা বিক্রির ক্ষেত্রে সরকারি নিয়ম অনুসরণ করার নির্দেশনা দিয়ে গত ২৪ জুন সকল মন্ত্রণালয়ের সচিবদের কাছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাঠানো হয়।
এ জাতীয় আরো খবর..