আগামী ৫ আগস্ট পর সারাদেশে দোকান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বিপণিবিতান খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি। রোববার (১ আগস্ট) রাজধানীর নিউমার্কেটে দোকান মালিক সমিতির কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এই দাবি জানিয়েছে সমিতি।
দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলালউদ্দিন বলেন, করোনা সংক্রমণ রোধে চলমান কঠোর বিধিনিষেধ শেষ হবে ৫ আগস্ট। এরপর বিধিনিষেধ তুলে দিয়ে সব দোকান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বিপণিবিতান খুলে দেয়ার দাবি জানাচ্ছি সরকারের কাছে।
করোনায় ব্যবসায়ীদের আর্থিক ক্ষতির চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ২০২০ সালের মার্চে করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত মোট ২৭০ দিন দোকানপাট বন্ধ ছিল। আর সব মিলিয়ে গত দেড় বছরে ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হয়েছে ২৭ লাখ কোটি টাকা।
সমিতির তথ্যানুসারে, বাংলাদেশে মোট ৫৫ লাখ ক্ষুদ্র ও অতিক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আছেন। এ খাতে কর্মচারী আছেন দুই কোটির বেশি। করোনা সংক্রমণ রোধে লকডাউনের এই পরিস্থিতিতে দোকানপাটের কর্মচারীরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, তেমনি এই খাতসংশ্লিষ্ট অন্যরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
দোকান মালিক সমিতির নেতারা বলেন, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন একমাত্র সমাধান নয়। এ সময় তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে ৬০-৭০% মানুষকে টিকার আওতায় আনার দাবি জানান।
আগামী ৫ আগস্টের পর দোকানপাট খুলে দেয়াসহ ৪টি দাবি জানিয়েছে দোকান মালিক সমিতি। এর মধ্যে রয়েছে দেশজুড়ে টিকা প্রদানের ব্যবস্থা করা, মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োগ ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের নগদ প্রণোদনা দেয়া।
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ১ জুলাই থেকে দুই সপ্তাহের জন্য ঢাকাসহ সারা দেশে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। মাঝে কোরবানি ঈদ উপলক্ষ্যে ঈদের সময় ৭ দিন বাদ দিয়ে আবার ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার।
এর মধ্যে শিল্পকারখানা মালিকদের দাবির প্রেক্ষিতে ১ আগস্ট থেকে রপ্তানীমুখী সব ধরনের শিল্পকারখানা খুলে দেয়া হয়েছে। রোববার পর্যন্ত গণপরিবহন চলাচলে শিথিলতা আনা হয়েছে।