1. nagorikkhobor@gmail.com : admi2017 :
  2. shobozcomilla2011@gmail.com : Nagorik Khobor Khobor : Nagorik Khobor Khobor
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৪০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ছাত্রদল নেতা প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মেধাবী ছাত্র নবাব পারভেজ হত্যার বিচারের দাবিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এর নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল। ব্রিফিং | বিএনপি ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক | ১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার নাছিরপুর জলমহাল: দখল-পাল্টা দখলে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা; এক ডাবলুতেই আতঙ্ক পদত্যাগ করলেন এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক রাফিদ ভূঁইয়া একাত্তরের রাজনীতি ভুল ছিল বলেই চব্বিশ ঘটেছে: শারমীন এস মুরশিদ যখন সংস্কারের কথা কেউ ভাবেনি তখন থেকে বিএনপি সংস্কারের কথা বলেছে। -অধ্যাপক আলী রীয়াজ, ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি। ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে গণমিছিলের ডাক দিলেন মাওলানা মামুনুল হক আগামী মাসে দেশে ফিরতে পারেন খালেদা জিয়া’ কু‌মিল্লা বরুড়ার খোশবা‌সে ৪ ছে‌লেকে জোরপুর্বক বলৎকা‌র,ধামাচাপায় ব্যস্ত কুচক্রীমহল কালীগঞ্জে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

জীবন হাতে জীবিকার পথে আস‌ছে রাজধানীতে

নাগরিক অনলাইন ডেস্কঃ
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১ আগস্ট, ২০২১
  • ৮৩৫ বার পঠিত

ফেরিঘাট ও মহাসড়কে উপচেপড়া ভিড় ট্রাক ভ্যান অ্যাম্বুলেন্স রিকশা এমনকি হেঁটে ঢাকায় আসছে মানুষ

কঠোর বিধিনিষেধ শেষ হওয়ার আগেই ঢাকামুখি মানুষের ঢল। শিমুলিয়া, আরিচা, দৌলতদিয়া, কাজিরহাট-সব ফেরি ঘাটেই মানুষের উপচে পড়া ভিড়। ঢাকা-টাঙ্গাইল, ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-আরিচা, ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে মানুষের ভিড়। কেউ আসছেন ট্রাকে, কেউ পিকআপভ্যানে, কেউবা রিকশাভ্যানে। আবার যানবাহন না পেয়ে পায়ে হেঁটেও আসছে মানুষ। রাজধানীর গাবতলী এলাকায় দেখা গেছে, আমিনবাজার ব্রিজের দুই লেনেই গিজগিজ করছে মানুষ। ঊর্ধ্বশ্বাসে ঢাকার দিকে ছুটে চলা এসব মানুষের মাথায়, ঘাড়ে ও হাতে নিজেদের ওজনের চেয়েও বড় বড় ব্যাগ আর চোখে-মুখে অবর্ণনীয় ভোগান্তির ছাপ। আছে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের ভয়ও। ঢাকায় ঢোকার জন্য এই মানুষগুলো কমপক্ষে তিনটি যানবাহন বদলেছে। ক্ষেত্র বিশেষে এই সংখ্যাটা দশের অধিকও।

কঠোর বিধিনিষেধ শেষ হওয়ার আগেই ব্যবসায়ীদের অনুরোধে গার্মেন্টস খুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। বিধিনিষেধ চলমান থাকায় গণপরিবহনও বন্ধ। এমতবস্থায় জীবিকার জন্য চাকরি বাঁচাতে যে কোনো উপায়েই হোক ফিরতে হবে কর্মস্থলে। সেই তাগিদ থেকে হাজার হাজার মানুষের জীবনের ঝুঁকি আর সীমাহীন ভোগান্তি নিয়ে ঢাকামুখি যাত্রা। ঢাকামুখি গার্মেন্টস কর্মীরা জানান, গত ৫ আগস্ট পর্যন্ত লকডাউন ও কারখানা বন্ধের ঘোষণা আসায় নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বাড়িতে গিয়েছিলেন। হঠাৎ করে কারখানা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তে বিপদে পড়েছেন। বাধ্য হয়ে ফিরছেন। কয়েকজন যাত্রী পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, সরকার লকডাউন  দেয়, আবার লকডাউনের মধ্যে অফিসও খুলে দেয়, কেন?

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গত ২২ জুলাই সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জানিয়েছিলেন, ৫ আগস্টের আগে পোশাক কারখানা কোনোভাবেই খুলবে না। এবার বরং যেকোনো সময়ের চেয়ে কঠোর লকডাউন  হবে। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেছিলেন, অফিস, আদালত, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিসহ সব কিছু বন্ধ থাকবে। যেহেতু অফিস বা কর্মক্ষেত্র বন্ধ থাকবে, যেহেতু যারা বাড়িতে গেছেন তারা সময় নিয়ে গেছেন, ৫ আগস্টের পরেই যেন তারা আসেন। শুধু ঈদের আগে নয়, গত ২৭ জুলাই দুপুরেও করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকারের উচ্চপর্যায়ের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক , মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, পুলিশ প্রধান, বিজিবি প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ওই বৈঠক শেষে সভার সিদ্ধান্ত নিয়ে সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, যে লকডাউন  চলছে, তা ৫ আগস্ট পর্যন্ত চলতে থাকবে। যদিও আমাদের শিল্পপতিরা পোশাক কারখানা খুলে দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন, আমরা সেই অনুরোধ বোধহয় গ্রহণ করতে পারছি না। বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকারের সিদ্ধান্তের হেরফেরের কারণেই অসহায় চাকরিজীবি মানুষগুলোকে এভাবে ভোগান্তির শিকার হতে হলো। গতকাল শনিবার সকাল থেকেই দেখা গেছে ঢাকামুখি মানুষের স্রোত। অনেকে ঢাকায় ঢুকেছেন সন্ধ্যার পর। রাজধানীর গাবতলী এলাকায় চেকপোস্টে দায়িত্বপালনরত একজন ট্রাফিক পুলিশ বলেন, হুট করে ১ আগস্ট থেকে গার্মেন্টস কারখানা খুলে দেওয়ার ঘোষণা আসার পর সকাল থেকেই হেঁটে ঢাকায় ঢোকা মানুষের সংখ্যা দ্রæত বৃদ্ধি থাকে। আমাদের কি করার আছে। ওরা আসছে জীবিকার তাগিদে। ওদেরকে বাধা দেয়ার তো কিছু নাই। সিরাজগঞ্জ কড্ডার মোড় এলাকা থেকে সপরিবারে পিকআপে করে সাভারের বাইপাইল পর্যন্ত এসেছেন আবুল হোসেন। একশত টাকার ভাড়া পাঁচশত টাকা করে দিয়েও ঢাকা এসে পৌঁছাতে না পারার আক্ষেপ এবং ভোগান্তির কথা উল্লেখ করে এই ব্যক্তি বলেন, ছোট বাচ্চা আর অসুস্থ বউ নিয়ে ১০০ টাকার ভাড়া ৫০০ টাকা করে দিয়ে বাইপাইল পর্যন্ত এসেছি সিরাজগঞ্জ থেকে। বাইপাইল থেকে গাবতলী ব্রিজ পর্যন্ত আসতে পরিবহন বদলেছি আরও তিনটি। এরপরে কয়েক কিলোমিটার রাস্তা হাঁটতেও হয়েছে তবুও এখন পর্যন্ত ঢাকায় পৌঁঁছতে পারিনি। যাব নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায়। এতো কিছু করে ঢাকায় পৌঁছাতে পারলেও নারায়ণগঞ্জ কিভাবে যাব সেটা নিয়ে আছি মহা চিন্তায়। ছোট বাচ্চাটা একটু পরে পরে রাস্তায় বসে পড়েছে ক্লান্তির কারণে। বউও আর কুলাতে পারছে না।

মিরপুরের একটি তৈরি পোশাক কারখানায় শ্রমিকের কাজ করেন শেফালী আক্তার। গার্মেন্টস খুলে দেওয়া হয়েছে খবর পাওয়ার পরেই শুক্রবার রাত দশটায় নওগাঁ থেকে একই এলাকার আরও তিন-চারজন সহকর্মীসহ ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করেন। রাস্তায় ৬ থেকে ৭টি পরিবহন ভেঙে, হেঁটে আবার কখনো অটোরিকশায় চেপে আমিনবাজার এসে পৌঁছেছেন দুপুর ২টায়। পথে ভোগান্তির বিষয়ে জানতে চাইলে এই পোশাকশ্রমিক বলেন, মালিকেরা আমাগো নিয়া এমন জীবন মরণ খেলা না খেললেও পারে। কারখানা বন্ধ ঘোষণা না করলেই সব থাইক্যা বেশি ভালো হইতো। আমরাতো অসহায় গরিব মানুষ। খাওয়া পরার জন্য জীবন হাতে লইয়া জীবিকার সন্ধানে আইছি। রাস্তার ভোগান্তির কথা নয় বাদই দিলাম, সামনে গেলে এখন পুলিশ ধরবো নানান কথা জিগাইবো। এতো প্রশ্নের উত্তর কই থেকা দিমু? আমরাতো পেটের দায়ে কোন কিছু না চিন্তা কইরাই রাস্তায় নাইমা আইছি।

দারুস সালাম জোনের গাবতলী চেকপোস্টের দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট মাসুদ রানা বলেন, আজ অন্যান্য দিনের থেকে হেঁটে ঢাকায় ঢোকা মানুষের চাপ বেশি। গার্মেন্টস কারখান খুলে দেওয়ার ঘোষণা আসার পর থেকেই এই চাপ বাড়ছে। আমরা পূর্ব নির্দেশনা অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করলেও মানবিক কারণে এসব শ্রমজীবী মানুষদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছি আগের মতোই। আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো সংবাদে ফুটে উঠেছে ঢাকামুখি মানুষের ভোগান্তির চিত্র।

গতকালসকাল থেকেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কর্মস্থলে ফেরা শ্রমিকদের আনাগোনা বাড়তে শুরু করে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় খোলা ট্টাক, পিকআপ, প্রাইভেট কার, সিএনজি, মাহেন্দ্র, অটো ও মোটরসাইকেল যোগে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে গাদাগাদি করে গন্তব্যে যাচ্ছেন তারা। কোথাও মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাজার হাজার মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ইলিয়টগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড, গৌরীপুর, দাউদকান্দি, ভবেরচর, বাউশিয়া এলাকায় যাত্রীদের প্রচন্ড ভিড় রয়েছে। যে যেভাবে পারছেন ঢাকা দিকে যাচ্ছেন। পায়ে হেঁটেও যত দূর পারছে যাচ্ছে লোকজন। তবে পুলিশের বিশেষ কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি মহাসড়কটিতে।

মহাসড়কে ইলিয়গঞ্জে কথা হয় কয়েকজন গার্মেন্টস কর্মীর সঙ্গে। তারা জানান, প্রাইভেট কার, সিএনজি, অটো, মাইক্রোবাসে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া। তাই ট্রাকেই যাচ্ছি। চাকরি রক্ষার্থে যেকোনোভাবে রোববার ৮টার মধ্যে কাজে যোগ দিতে হবে। যেভাবে পারি যেতেই হবে।

বাংলা বাজার ঘাট এলাকায় গতকাল ভোর থেকে ভিড় করছেন ঢাকামুখী হাজার হাজার শ্রমিক। জরুরি পরিবহন পারাপারের জন্য ফেরি ঘাটে ভেড়া মাত্রই উঠে পড়ছে সাধারণ যাত্রীরা। যাত্রীদের চাপে বাংলাবাজার ঘাটে পদ্মা পারের অপেক্ষায় ঢাকাগামী যানবাহনের দীর্ঘ লাইন তৈরি হয়। পদ্মায় তীব্র স্রোতে শিমুলিয়া ঘাট থেকে বাংলাবাজার ঘাটে আসতে প্রতিটি ফেরির নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ সময় ব্যয় হয়। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেলে করে বাংলাবাজার ঘাটে আসছে যাত্রীরা। এতে তাদের গুনতে হচ্ছে দ্বিগুণ ভাড়া।

লৌহজং শিমুলিয়া ঘাটে পৌঁছে ঢাকামুখী যাত্রীরা সড়কে পুলিশের চেকপোস্ট এড়িয়ে ছোট যানবাহনে ভেঙে ভেঙে পায়ে হেটে গন্তব্যে রওনা হচ্ছে। সড়কে যাত্রীদের তুলনায় অল্পসংখ্যক ছোট ছোট যানবাহন দেখা গেছে। এতে চারগুণ-পাচগুণ বেশি ভাড়া গুণতে হচ্ছে। যানবাহন না পেয়ে যাত্রীদের পায়ে হেটে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হতে দেখা গেছে।

রাজবাড়ী জেলা , দক্ষিণ-পশ্চিশাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ কর্মস্থলে আসতে গতকাল সকাল থেকে সারাদিন জড়ো হয়েছে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে। বিকেল নাগাদ দৌলতদিয়া ফেরিঘাটসহ পুরো দৌলতদিয়া লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়।

সরেজমিন দৌলতদিয়া ঘাট ঘুরে দেখা যায়, ভোর থেকেই দৌলতদিয়া ঘাটে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে বিভিন্ন উপায়ে দৌলতদিয়া ঘাটে আসা যাত্রীদের ভিড় বাড়তে থাকে। সময় বাড়ার সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে মানুষের সংখ্যা। এসব যাত্রীর কর্মস্থলে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়লেও সব রকম দুর্ভোগ অগ্রাহ্য করে মানুষ ছুটছে রাজধানী ঢাকার উদ্দেশ্যে।

গোয়ালন্দ  সকাল থেকে ঢাকা মুখী হাজার হাজার যাত্রী অতিরিক্ত গাড়ী ভাড়া দিয়ে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে আসছে। তবে থ্রি হুইলার, ইজিবাইক, মোটরসাইকেল ছাড়া কোন গণপরিবহন না চলার কারনে ঘাটে আসতে বিপাকে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। প্রতিটি ফেরিতে জরুরী সেবার অ্যাম্বুলেন্স, পন্যবাহী ট্টাক, কাভার্ডভ্যান, ব্যক্তিগত গাড়ি পার হতে দেখা যায়। সরকার ঘোষিত লকডাউনের কারনে লঞ্চ সহ নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় জরুরীভাবে পারাপারের জন্য চালু থাকা ফেরিগুলোতে তিল ধারণের ঠাঁই নেই।

রামগতি উপজেলা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মুখী মানুষের স্রোত সৃষ্টি হয়েছে। পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদের ছুটিতে বাড়ি আসা কর্মজীবী এসব মানুষ দুর্ভোগকে সঙ্গী করেই রওয়ানা হচ্ছেন। সিএনজি স্ট্যান্ডগুলোতেও অপেক্ষা করতে দেখা গেছে অনেককেই। আগের তুলনায় বেড়েছে ভীড়ও।

ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে রাজধানীমুখী পোশাক শ্রমিকদের ঢল নেমেছে। শনিবার সকাল থেকে টাঙ্গাইল শহরের আশিকপুর বাইপাস, রাবনা বাইপাস, এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড ও বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পাড় এলাকায় রাজধানীমুখী পোশাক শ্রমিকদের ভিড় বাড়তে থাকে। যাত্রীবাহী বাস চলাচল না করায় মোটরসাইকেল, বিভিন্ন ধরনের থ্রি-হুইলার ও পণ্যবাহী যানবাহনে নানা কৌশলে যাত্রীরা রাজধানী ঢাকার দিকে যাচ্ছিলেন।

কুড়িগ্রামের পাশ্ববর্তী জেলা লালমনিরহাট, রংপুর, গাইবান্ধাসহ কুড়িগ্রামের গার্মেন্টসকর্মীরা কুড়িগ্রামের চিলমারীর এই রুট হয়ে চিলমারী ও জোড়গাছ এ দুটো ঘাট দিয়ে ঢাকায় যাচ্ছেন গার্মেন্টসকর্মীরা। সকাল থেকে চিলমারীর এই দুটো ঘাট দিয়ে যাত্রীরা নৌকাযোগে নদী পার হচ্ছেন। গুনতে হচ্ছে ৩-৪ গুণ অতিরিক্ত ভাড়াও।

শেরপুর জেলায় ঈদে বাড়িতে আসা কর্মজীবী মানুষেরা ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন। শনিবার সকাল থেকেই শেরপুর জেলা শহর থেকে পণ্যবাহী ট্রাক, লেগুনা, প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলে করে ঢাকায় ছুটছে কর্মজীবী মানুষরা।

চিলমারীর রমনা, জোড়গাছ, ফকিরেরহাট ঘাটে নেমেছে জনস্রোত। অনায়াসে একটির পর একটি নৌকাসহ নৌ-যান গুলো ছেড়ে দিচ্ছে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে। এমনকি বালু উত্তোলনকারী ড্রেজারেও ভর্তি করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মানুষ। গুরুদাসপুর (নাটোর) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, সকাল থেকেই গুরুদাসপুরের কাছিকাটা বিশ^রোড মোড় থেকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে পণ্যবাহী ট্রাকে গাদাগাদি করে ঢাকায় ছুটছে কর্মজীবী মানুষরা। যাত্রীদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই দেখা যায়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 nagorikkhobor.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com