আজ ২৯ জুন পরশ প্রতিবন্ধী স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মির্জা ফাতেমা আহম্মেদ এর ৩য় মৃত্যুবার্ষিকি।”রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বিরয়ানী সাগিরা”
শারীরিকভাবে অক্ষম শিশুদের পরিপূর্ণ শিক্ষা, চিকিৎসা ও সেবা দিয়ে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার উদ্দেশ্যে মির্জা ফাতেমা কুমিল্লা আর্দশ সদর উপজেলার আড়াইওরা এলাকায় ২০০২ সালের মার্চে পরশ প্রতিবন্ধী স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রথমদিকে ছোট পরিসরে পথ যাত্রা শুরু হলেও ২০০৮ সালের ৩১ জুলাই সরকার কর্তৃক অনুমোদনের পর ব্যাপক ভাবে পরশ প্রতিবন্ধী স্কুলটির কার্যক্রম চালু হয়।
মির্জা ফাতেমার মানব সেবার এই মহৎ কাজকে ধরে রাখতে তার স্বামী বর্তমান সভাপতি মো: জহির হোসেন প্রতিবন্ধী স্কুলটি পরিচালনা করে যাচ্ছেন। মীর্জা ফাতেমা ছিলেন একজন উদার মনের মানুষ। দাম্পত্য জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মানুষের সেবায় নিয়োজিত ছিলেন। গরীব দুঃখী মানুষের জন্য সব সময় এগিয়ে যেতেন। আজ তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে পরশ প্রতিবিন্ধী স্কুলে মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করা হয়।
মরহুমা মির্জা ফাতেমা আহমেদ ১৬ই মার্চ ১৯৬৪ সালে জন্মগ্রহন করেন এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি স্কুলটি পরিচালনা করেছিলেন। এই মহান ব্যক্তি ২০১৮ সালের ২৯ জুন বাধক্যজনিত কারনে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন।
ম/প্র
মরহুমা মির্জা ফাতেমা আহম্মেদের বড় ছেলে রুবাইয়েত হোসেন তার মায়ের আত্মাকে আল্লাহ শান্তিতে রাখেন তার জন্য সকলের দোয়া কামনা করেন। মায়ের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মায়ের শূন্যতা হৃদয়কে বার বার নাড়া দিয়ে যাচ্ছে । মাকে নিয়ে নিজের অনুভুতি প্রকাশ করেছেন রুবায়েত হোসেন——
“ মা আমার মা “
ধন্য তোমায় চির ধন্য।
গর্বিত এ জন্মের তরে…
সদা আছো মোর অন্তরে
বুকের গভীরে অলিন্দ জুড়ে।
চিরঋণী করে রেখেছো মোরে
যে ঋণ বিন্দুমাত্র শোধবার
কিঞ্চিৎ সাধ্য নেই
তোমার অনতুর।
ভুল হলে কভু
ক্ষমা করে দিও।
কাছে বা দূরে যেখানেই থাকো
ভালো থেকো মাগো,
অনেক ভালোবাসি তোমায় মা !