যারে যা চিঠি লেইখা দিলাম সোনা বন্ধুর নামে রে/ চিঠিরে তুই পঙ্কি হয় বন্ধুর কাছে উড়া যা/ উড়া গিয়া বলনা বন্ধুর কানে রে’ আবদুল লতিফের লেখা ঢাকাই সিনেমার এই গানটির মতোই যেন হয়ে গেছে করোনা সংক্রমণ ঠেকানোর লকডাউনের কাহিনী। নায়িকা ‘চিঠি’ লিখে দিলেই বন্ধুর কানে যেমন যায় না; তেমনি এসি রুমে বসে ‘লকডাউন ঘোষণা করলেই তা কার্যকর করা যায় না। এ জন্য চাই পূর্ব প্রস্তুতি ও সুচিন্তিত পরিকল্পনা। কোনো আগাম বার্তা নেই, প্রস্তুতি নেই, শ্রেণিপেশার মানুষের জন্য আর্থিক সহায়তা নেই, লকডাউন কার্যকরে কোনো কঠোর পদক্ষেপ নেই, জনগণ সম্পৃক্ত করার আয়োজন নেই; কাগজে কলমে লিখে দিলাম ‘এখন থেকে অমুক জায়গায় লকডাউন’ সঙ্গে সঙ্গে তা কার্যকর! মানুষকে তো কর্ম করে খেতে হয়। গত কয়েক মাস ধরে বিভিন্ন জেলায় এবং অঞ্চলে ‘কাগজে লকডাউন লকডাইন খেলা’ চলছে। কর্মজীবী মানুষ রাস্তায় নামছেন, দুর্ভোগে পড়ছেন; কিন্তু যে জন্য লকডাউন সেই করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না। জনগণ এবং জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত না করে এসি রুমে বসে কিছু আমলার পরিকল্পনাহীন, প্রশাসনের বিভিন্ন সেক্টরের সমন্বয়হীন অঞ্চলভিক্তিক লকডাউনে নিম্ন আয়ের মানুষ ও পেশাজীবীরা যেন চিঁড়েচ্যাপ্টা হয়ে যাচ্ছেন। উৎপাদন আর অর্থনীতিতে পড়ছে নেতিবাচক প্রভাব।
প্রশ্ন হচ্ছে হঠাৎ কেন প্রস্তুতিবিহীন লকডাউন ? বিশেষজ্ঞরা করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার প্রথম থেকেই পরামর্শ দিচ্ছেন জনগণকে সম্পৃক্ত করেই পরিকল্পিত ১৪ দিনের লকডাউন দেয়ার। কিন্তু বৈশ্বিক মহামারির করোনাকালে গত এক বছরেও করোনাভাইরাসের হাত থেকে জাতিকে রক্ষায় জনগণকে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা হয়নি। জনগণ থেকে যোজন যোজন মাইল দূরে থাকা আমলারা ইসি রুমে বসে সিনেমায় নায়িকার ওই চিঠি লেখার মতোই প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে লকডাউন দিচ্ছেন। এই লকডাউন ে জনগণের ভোগান্তি বাড়ায়, তবে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ হয় না। গতকালও দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে সরকারের সহযোগী হিসেবে পরিচিত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের করোনা মোকাবিলা ও টিকা সংগ্রহে সরকারের ব্যর্থতার চিত্র তুলে ধরে বলেছেন, ‘উপহার ও ভিক্ষার টিকা দিয়ে দেশে ভ্যাকসিন সমস্যার সমাধান হবে না। টিকা সংগ্রহে সরকার চরমভাবে কূটনৈতিক ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। বিশ্বের অনেক গরিব দেশের নাগরিক জানেন তারা কতদিনে টিকা পাবেন; কারণ সে দেশের সরকার টিকা দেয়ার নকশা প্রণয়ন করেছেন; কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ জানে না তারা টিকা পাবেন কি-না’।
বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি গঠন করেছে সরকার। এ কমিটিতে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের রাখা হয়েছে। তারা বিভিন্ন সময় গবেষণা করে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ দিচ্ছেন। কিন্তু তাদের অধিকাংশ পরামর্শ গ্রহণ করা হচ্ছে না। আমরা যেসব পরামর্শ গ্রহণ করছেন, তা বাস্তবায়নে দেরি করছেন। ফলে পরিস্থিতি ক্রমান্বয়ে নিম্নমুখী হচ্ছে। টিকা ক্রয়ের ক্ষেত্রেও একই চিত্র দেখা গেছে।
সুচিন্তিত পদক্ষেপের মাধ্যমে লকডাউন , যোগাযোগ বন্ধসহ নানা উদ্যোগের কারণে ভারতসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে যখন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যের সংখ্যা কমছে; তখন বাংলাদেশে শনাক্তের হার বেড়েই চলছে। একই সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যের হার। গতকাল সারা দেশে করোনা শনাক্তের হার ২০ দশমিক ২৭ শতাংশ। তবে সীমান্ত জেলাগুলো এ হার আরো অনেক বেশি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসেব অনুযায়ী গতকাল চুয়াডাঙ্গা জেলায় করোনা শনাক্তের হার ছিল শতকরা ৯২ দশমিক ৭৬ শতাংশ। ১৭ কোটি মানুষের দেশে প্রতিদিন সীমিত পর্যায়ে নমুনা পরীক্ষা করা হলেও শনাক্তের হার ও মৃত্যের হার বেড়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। নানাভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা এবং স্বাস্থ্যবিধি মানতে মানুষকে সচেতন করার পরামর্শ দিচ্ছেন। কিন্তু সে পরামর্শ কখনো এড়িয়ে গিয়ে কখনো বিলম্ব করে বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় করোনা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে।
জানতে চাইলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাবেক আঞ্চলিক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক বলেন, প্রথম থেকে লকডাউনের যে চিত্র দেখেছি তার কোনোটিই বৈজ্ঞানিক নয়। ঘোষিত চলমান বিধিনিষেধ যেহেতু বৈজ্ঞানিক নয়, তাই মানুষ সেভাবে নেয়নি। জনগণকে সম্পৃক্ত করা ছাড়া লকডাউন সফল হবে না।
কমলাপুর রেলস্টেশনে গতকাল ছিল প্রচণ্ড ভিড়। হঠাৎ করে ট্রেন বন্ধ করে দেয়ায় যাত্রীরা টিকিটের টাকা ফেরত নিতে ভিড় করেন। তাদের একজন জানালেন, তিনি দিনাজপুর যাওয়ার জন্য ব্যাগ গুছিয়ে স্টেশনের দিকে যাওয়ার পথে জানতে পারেন লকডাউনের কারণে ট্রেন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। স্টেশনে এসে জানতে পারেন টিকিটের টাকা ফেরত দেয়া হচ্ছে। টাকা নিতে কাউন্টারে গেলে জানানো হয় আপনাকে টাকা নিতে হলে অপেক্ষা করতে হবে। স্টেশনে প্রচণ্ড ভিড়, অথচ বেশিরভাগ মানুষের মুখে মাস্ক নেই। বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য যারা কমলাপুরে এসেছেন, তারা হঠাৎ করে ট্রেন বন্ধ করে দেয়ায় বিক্ষুব্ধ। তাদের বক্তব্য দু’চার দিন আগে বন্ধের নোটিশ দিলে সমস্যায় পড়তে হতো না। এমন দায়িত্বহীন কাজ কাম্য নয়।
এদিকে গত মঙ্গলবার রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মো: শরিফুল আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচেনায় করোনা ভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯)-এর সংক্রমণের বিস্তার রোধকল্পে সরকার গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, মাদারীপুর জেলাগুলোতে সার্বিক কার্যাবলী/জনসাধারণের চলাচল ৩০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করায় ঢাকার সাথে অন্যান্য জেলার লোকজনের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ে ২২ জুন রাত ১২টা হতে আগামী ৩০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত ঢাকার সাথে সারা দেশের যাত্রীবাহী রেল যোগাযোগ বন্ধ ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের যশোর এবং খুলনাগামী সকল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে’। রেল মন্ত্রণালয় এই বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে কিছু তা প্রচারণার কোনো উদ্যোগ নেয়নি। ফলে মানুষ স্টেশনের বিপাকে পড়ে যায়।
রাজধানীর পাশের ৭ জেলায় লকডাউন দেয়া প্রসঙ্গে করোনাবিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, সীমান্তবর্তী জেলাগুলো পার হয়ে ভেতরের জেলাগুলোতেও ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। ৭ জেলায় লকডাউন দেয়ার ফলে ঢাকার বাসিন্দাদের একটা নিরাপদ পরিবেশ দেয়া যাবে। আসলে ঢাকা থেকেই তো সব কিছু পরিচালিত হয়। এখানেই মন্ত্রণালয়, সব কেন্দ্র এখানে। তো এখানে যদি সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে তো সারা দেশ চালানো যাবে না।
ভারতে করোনা ভয়াবহ রূপ ধারণ করার পর করোনা বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটির পরামর্শে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত বন্ধ করে দেয়া হয়। প্রশাসনিকভাবে কয়েক দফায় সীমান্ত বন্ধের মেয়াদ বাড়ানো হলেও প্রতিদিনই বিশেষ অনুমতি নিয়ে সীমান্ত দিয়ে মানুষ আসা যাওয়া করেছে। এতে দেশের সীমান্ত জেলাগুলোকে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ে। এখন রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের সীমান্ত জেলাগুলোতে শনাক্ত ও মৃত্যের হার আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে। করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টার ঢেউ রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, সামাজিক দূরত্ব রক্ষার পাশাপাশি অধিকহারে নমুনা পরীক্ষা, টিকা দেয়া এবং প্রয়োজনে জনগণকে সম্পৃক্ত করে লকডাউনের পরামর্শ দিচ্ছেন। কিন্তু জনগণ থেকে বিচ্ছন্ন আমলারা এসি রুমে বসে ইচ্ছামতো অঞ্চলভিক্তিক লকডাউনের সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন। কোনো পূর্ব প্রস্তুতি নেই, আগাম বার্তা না দিয়েই লকডাউন ঘোষণা করছেন। ফলে মানুষ নিজেদের প্রয়োজনেই লকডাউন উপেক্ষা করে রাস্তায় নামছেন। ফলে রাস্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আর পথচারীদের মধ্যে ‘টম আর জেরি’র মতো খেলা চলছে।
এ অবস্থায় সারাদেশ থেকে রাজধানী ঢাকাকে বিচ্ছিন্ন করতে ২১ জুন রাতে ঘোষণা দিয়ে ২২ জুন রাজধানীর আশপাশের ৭ জেলা নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, রাজবাড়ী ও মাদারীপুর জেলায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়। ২২ তারিখে রেলপথ ও নৌপথ বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়। ট্রেন ও লঞ্চ না চললেও সড়ক পথে বিভিন্ন উপায়ে মানুষ ঢাকায় আসা যাওয়া করছেন। দূরপাল্লার যানবাহন না থাকায় পথে মানুষ পরিবার পরিজন নিয়ে রাস্তায় নেমে ভোগান্তিদের পড়ছেন। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি কেউ মানছেন না। অনেকেই সরকার ঘোষিত লকডাউনকে ‘কাগজের লকডাউন’ হিসেবে অবিহিত করছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুলেটিনে গতকাল বলা হয়, জনগণ স্বাস্থ্যবিধি এবং সরকারের দেওয়া বিধিনিষেধ না মানলে চলমান করোনা পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক পর্যায়ে চলে যেতে পারে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগনিয়ন্ত্রণ বিভাগের পরিচালক রোবেদ আমিন বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। সীমান্তবর্তী এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কোভিড-১৯ সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। পজিটিভিটির সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। বিদ্যমান পরিস্থিতি থেকে নিয়ন্ত্রণের জন্য ঢাকার চারপাশে কঠোর লকডাউনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এটা না মানলে পরিস্থিতি ভয়াবহ পর্যায়ে চলে যাবে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০২০ সালে করোনার প্রথম ঢেউ ঠেকাতে যখন লকডাউন ঘোষণা করা হয় তখন পুলিশ ‘যা করণীয়’ সবই করেছে। দোকানপাট বন্ধে নির্দেশনা ও তদারকি, সড়কে অযথা ঘোরাফেরা বন্ধে নজরদারি, অনাহারির বাসায় খাবার পৌঁছে দেওয়া, ওষুধ সরবরাহ, রোগী নেওয়া, লাশ দাফনে সহায়তা, মাস্ক বিতরণসহ নানারকম কাজ করেছে। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিধি নিষেধ আরোপ, সীমান্ত জেলাগুলোতে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ এবং স্বাস্থ্যবিধি মেয়ে গণপরিবহন চালানোর নির্দেশনা দিলেও কোনোটিই মানেনি মানুষ। আবার বিধিনিষেধ মানতে নাগরিকদের বাধ্য করতে পুলিশকে তেমন কোনো ভূমিকা পালন করতে দেখা যাচ্ছে না। তাছাড়া দীর্ঘদিন থেকে স্কুল-কলেজ-মাদরারা বন্ধ রাখা হলেও গণপরিবহন চলছে, মার্কেট-শপিংমল খুলে দেয়া হয়েছে। এমন স্ববিরোধী সিদ্ধান্তের কারণেও অনেকেই লকডাউন মানতে চান না। এ অবস্থায় বিশেষজ্ঞরা জনগণকে সম্পৃক্ত করে লকডাউনদেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় গত ৫ এপ্রিল সকাল ৬টা থেকে বিধিনিষেধ শুরু হয়। সেটা ছিল অনেকটাই অকার্যকর। পরে গত ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ৮ দিনের কঠোর কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়। পরে ৭ দফায় নানা শর্ত দিয়ে চলাচলে বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ গত ৬ জুন বিধিনিষেধের মেয়াদ আরো ১০ দিন বাড়িয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সেই মেয়াদ শেষ হয় গতকাল বুধবার মধ্যরাতে। এবার বিধিনিষেধের মেয়াদ আরো এক মাস বাড়ল। এ সময় সীমান্তে কয়েকটি জেলা ও উপজেলায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এখন রাজধানীর পাশের ৭ জেলায় লকডাউন চলছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা বলছেন, যেকোনো উপায়েই আমরা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছি। লাভ ক্ষতির হিসাবের চেয়ে সংক্রমণ প্রতিরোধ করাই হল গুরুত্বপূর্ণ। ঢাকায় আমরা দেখছি ইদানীং সংক্রমণ সামান্য কম, কাজেই এটা যেন ঢাকার ভেতরে না আসে বা ঢাকায় যারা আছে, তারা যেন বাইরে না যায়- এই চলাচল বন্ধ করতে পারলেই সীমিত হলেও সংক্রমণ কমানো যাবে বলে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি পরামর্শ দিয়েছে। আমরা সেটা কার্যকর করছি।