কুমিল্লা ১০ ব্যাটালিয়ন বিজিবির এপএস সানোয়ারের বেপরোয়া কর্মকান্ডে আতঙ্কে জীবন যাপন করছে সাধারন মানুষ। গোয়েন্দা সদস্য সানোয়ারের বিরুদ্ধে গত ২৯ জুলাই স্থানীয় পত্রিকা সাপ্তাহিক মুক্তির লড়াই পত্রিকার প্রথম পৃষ্টায় ” কুমিল্লা বিজিবির এফএস সানোয়ারের অবৈধ মাদক বানিজ্যের অভিযোগ” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদে সানোয়ারের মাদক পাচার, মাদক সেবন ও মাদক ব্যবসার বিষয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহন না করায় সানোয়ার আরোও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় ১০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে:কর্ণেল গোলাম সারোয়ার তাকে ধন্যবাদ জানায় বলে বিওপি এলাকায় মিথ্যা প্রচারনা চালায় সানোয়ার।
চলতি মাসের ৩ আগষ্ট (২০১৮) দুই যুবক ভারতে আত্বীয়র বাড়িতে যাওয়ার সময় তাদের নিকট ২০ হাজার টাকা দাবী করে। দাবীকৃত টাকা না পেয়ে তাদের আটক করে মারধর করে এবং অবৈধ অনুপ্রবেশ দেখিয়ে থানায় প্রেরন করে। বৃহ:পতিবার ৯ আগস্ট বিকেলে বৌয়ারা বিওপির সাহাপুর পোস্ট এলাকায় সিএনজি থেকে যাত্রী নামিয়ে আসার সময় সাহাপুর পোস্টের সামনে চালক মগবুলকে গাড়ী থেকে বের করে এফএস সানোয়ার তার হাতে থাকা বাহারি রঙ্গের শক্ত লাঠি দিয়ে এলোপাতারি পিটাতে থাকে। চালক মগবুলের চিৎকারে আশ পাশের লোকজন এসে ভীড় জমায়। সানোয়ার পিটাতে পিটাতে জিঙ্গেস করতে থাকে ইয়াবা কোথায়।ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক যুবক নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রতিবেদককে বলেন সানোয়ার সিএনজ্চিালককে প্রায় বিশ মিনিট ধরে পিটায় এক পর্যায়ে সিএনজিতে ব্যাপক তল্লাশি চালিয়ে কোন কিছু না পেয়ে আবারও পিটাতে থাকে। কিছুক্ষন পরে পুনরায় সিএনজিতে তল্লাশী করে তার পকেট থেকে স্টিয়ারিং এর সামনে কলম ঝুড়িতে ইয়াবা ফেলে এবং ইয়াবা পাওয়া গেছে বলেই চালক মুগবুলকে পিটায়। একপর্যায়ে পোষ্টে নিয়ে ১৫০ পিস ইয়াবাসহ ছবি ওঠিয়ে মাদব মামলা দিয়ে চালককে কোতয়ালী মডেল থানায় প্রেরন করে। উপস্থিত একাধিক সুত্র জানায়, সিএনজি চালক মগবুলের নিকট ইয়াবা ছিল না।পোস্টের সামনে বিজিবি সদস্যরা থাকা সত্বেও তাদের দিয়ে তল্লাশি না করিয়ে সানোয়ার নিজে তল্লাশি চালায় ও ইয়াবা উদ্ধারের নাটক সাজায়? দুদিন পর ১১ আগস্ট শনিবার দুপুর সাড়ে বারটায় সদর গোলাবাড়ীর মৃত আলী নেওয়াজের স্ত্রী দুলু বেগম তার মেয়ের বাড়ীতে সুর্য নগর আসে। মেয়ের বাড়ী থেকে খাওয়া দাওয়া শেষে বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পথে উত্তর সূর্যনগর এলাকায় এপএস সানোয়ার বৃদ্ধ মহিলাকে সন্দেহ করে। একপপর্যায়ে দুলু বেগমকে আটক করে ৯০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার দেখিয়ে থানায় প্রেরন করে। এ দিকে বৃদ্ধা দুলু বেগমের মেয়ে কান্নাকন্ঠে প্রতিবেদককে বলেন আমার মা সকালে আমাকে দেখতে আসে দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় কিন্তু বিজিবির এপএস সানোয়ার আমার মায়ের কাছে ইয়াবা পাওয়া গেছে জানিয়ে আটক করে।বৃদধার মেয়ে বলে আমরা গরীব বলে এভাবে মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে মাকে মামলা দেয়। বিজিবির গোয়েন্দা সদস্যদের মুল কাজ কি তা জানতে অনেকে প্রশ্ন করেন। এফএস সানোয়ারের দায়িত্ব ও কর্তব্য এবং তার মাদকের সম্পৃক্তার বিষয়ে ১০ ব্যাটালিয়ন বিজিবির অধিনায়ক লে: কর্ণেল গোলাম সারওয়ারের নিকট মোবাইলে কল দিয়ে সানোয়ারের অপরাধের বিষয়ে জানতে চাইলে ,তিনি বলেন সানোয়ারের বিরুদ্ধে অভিযোগ লিখে, পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদসহ ব্যাটালিয়ন কার্যালয়ে প্রেরন করার জন্য অনুরোধ করেন। তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলেও জানান তিনি।