1. nagorikkhobor@gmail.com : admi2017 :
  2. shobozcomilla2011@gmail.com : Nagorik Khobor Khobor : Nagorik Khobor Khobor
শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
রানা, ও মেহেবুব হোসেন রিপনের নেতৃত্বে এক বিশাল র‍্যালি গোপালগ‌ঞ্জে দিনমুজুর‌কে হত্যা মামলায় গ্রেফতার, নবজাতক দুই বোন নিয়ে দিশেহারা ছোট ভাই শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ কর‌তে হ‌বে, না করলে প্রশাসক নিয়োগ হ‌বে- সাখাওয়াত বাংলাদেশ থেকে জাপানি সৈন্যদের দেহাবশেষ ফিরিয়ে নিবে আজারবাইজানে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় সিপিজের খোলা চিঠি ড. ইউনুসকে যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম গ্রেফতার শপথ নিলেন নতুন তিন উপদেষ্টা কু‌মিল্লায় ডাকাতির নাটক সাজিয়ে প্রতিবন্ধী ভাতিজাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা ক‌রে চাচা রাজধানীর কাকরাইলে সভা সমা‌বেশ নি‌ষিদ্ধ

গৃহহীনদের স্বপ্নের নীড় দিয়ে আনন্দিত শেখ হাসিনা

মাসুম মোল্লাঃ
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২২ জুন, ২০২১
  • ৩৮৮ বার পঠিত

অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান এরমধ্যে অন্যতম উপাদান হচ্ছে মাথার উপর ছাদ আছে কি না সেটি নিশ্চিত করা। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর পিতার মতো সব সময় মানুষের মৌলিক যে চাহিদাগুলো রয়েছে, সেগুলো পরিপূর্ণ করার যে চাহিদা তাঁর মনে ধারণ করে রাখেন এবং সেগুলো বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করেন। তারই বহিঃপ্রকাশ

পৃথিবীর বৃহত্তম আশ্রয়ণ প্রকল্প তিনি সৃজন করেছেন এবং দ্বিতীয় ধাপে এই পদক্ষেপের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করেছেন। সরকারের এই উদ্যোগ বিশ্বের ইতিহাসে নতুন সংযোজন বলে জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে বিশ্ব ইতিহাসে নতুন রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

সোমবার (২১ জুন) আলোচক হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন- বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, জার্মান আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শাহাবউদ্দিন মোহাম্মদ, গৌরব ৭১’র সাধারণ সম্পাদক এফ এম শাহীন। দৈনিক ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।

অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন- অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান এরমধ্যে অন্যতম উপাদান হচ্ছে মাথার উপর ছাদ আছে কি না সেটি নিশ্চিত করা। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর পিতার মতো সব সময় মানুষের মৌলিক যে চাহিদাগুলো রয়েছে সেগুলো পরিপূর্ণ করার যে চাহিদা বা তাগিদ তাঁর মনে ধারণ করে রাখেন এবং সেগুলো বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করেন। তারই বহিঃপ্রকাশ পৃথিবীর বৃহত্তম আশ্রয়ণ প্রকল্প তিনি সৃজন করেছেন এবং দ্বিতীয় ধাপে এই পদক্ষেপের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করেছেন। এই যে লাখ লাখ মানুষের যে মাথার উপর ছাদ না থাকলে কি একটা যন্ত্রণা কাজ করে সেটা তিনি নিজের অন্তরে ধারণ করে আশীর্বাদস্বরূপ এই আশ্রয়ণ প্রকল্পটি নিশ্চিত করেন।

বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথেই চলছেন শেখ হাসিনা। ‘আমার বাংলাদেশ, আমার ভালোবাসা’ এই অমৃতবাণী বাংলাদেশের তিনিই উচ্চারণ করেছেন। তিনি নানা বিশেষণে বিশেষায়িত। সততা, নিষ্ঠা, রাজনৈতিক দৃঢ়তা; গণতন্ত্র, শান্তি, সম্প্রীতি ও বিশ্বভ্রাতৃত্বের অনন্য রূপকার আর মানব কল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ- তার চেয়েও আরও অনেককিছু তিনি। দরদি নেতা দুঃখী মানুষের আপনজন; নির্যাতিত জনগণের সহমর্মী তথা ঘরের লোক। গৃহহীনদের বাড়ি দেওয়ার এরকম মহৎ সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশংসার দাবিদার। দেশের জনগণের কাছে তার ব্যতিক্রমী কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা জনপ্রিয় নেতা হয়ে উঠেছেন। বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে তার জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলছে। এমনকি তিনি দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বৈশ্বিক নেতা হিসেবে রূপান্তরিত হয়েছেন।

রাজনৈতিক ভিন্নতা নির্বিশেষে প্রতিটি নাগরিকের উচিত প্রান্তিক জনগণকে গৃহহীনতা সংক্রান্ত মানসিক আঘাতজনিত সমস্যা থেকে বের করে নিয়ে আসার জন্য সরকারের এ উদ্যোগের প্রশংসা করা। এই আশ্রয়ণ প্রকল্প পুরোপুরি বাস্তবায়ন করে তিনি জাতির পিতার যে স্বপ্ন রয়েছে সেটা বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হবেন।

শাহাবউদ্দিন মোহাম্মদ বলেন, আজকে গণতন্ত্রের সূর্যকন্যা, জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায় দেশের অবকাঠামো, দেশের অর্থনীতি, নারীর খমতায়ন, জঙ্গিবাদ দমন এককথায় সর্বক্ষেত্রে যে দুর্বার অগ্রযাত্রা তার মধ্যে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য যে মেগা প্রজেক্ট সেটা নিঃসন্দেহ একটি মহৎ উদ্যোগ। সরকার বিশ্ব অভিজ্ঞতা থেকে উন্নয়নের ধারণাকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার আশু করণীয় ও পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন নিয়েই যাত্রা শুরু করে। বাংলাদেশ এরই মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার মর্যাদা লাভে যে স্বীকৃতি অর্জন করেছে এর মূলে দেশকে বিদ্যুতায়ন অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ। উন্নয়নের এই গতিধারা সৃষ্টি করার ফলেই শেখ হাসিনার সরকার দেশে কিছু বড় মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করার নজির স্থাপন করতে যাচ্ছে।

বেশিরভাগ মেগাপ্রকল্পই নিজস্ব অর্থায়নে করা হচ্ছে। শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে আবার ক্ষমতায় আসার পর দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্য হিসেবে সমাজের ওইসব পিছিয়ে পড়া মানুষের কর্মসংস্থান ও বাসস্থানের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করেন। এরই মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বয়স্ক ও বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী শিশু ও মানুষের সুযোগ-সুবিধা ধীরে ধীরে প্রবর্তন ও বাড়ানো অব্যাহত রাখেন। বিশেষভাবে তিনি গুরুত্ব দেন আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীন ভূমিহীন ও আশ্রয়হীন মানুষদের জীবন-জীবিকা ও থাকার ব্যবস্থা করার মতো মানবতাবাদী কর্মসূচি গ্রহণের ওপর। স্বাধীনতার ৫০ বছর ও মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে দেশে কোনো পরিবারই যেন ভূমিহীন ও গৃহহীন না থাকেন সেই লক্ষ্য পূরণের ঘোষণা তিনি প্রদান করেন। পৃথিবীর কোনো দেশেই এত বিপুলসংখ্যক মানুষকে গৃহদানের মাধ্যমে শুধু মাথাগোঁজার ঠাঁই করে দেয়নি, দারিদ্র্য থেকে গোটা সমাজ ও রাষ্ট্রকে মুক্ত করে আনার এমন অভিনব উদ্যোগও কেউ নিতে পারেনি।

প্রতিবছর প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাংলাদেশের হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়, এছাড়া অতিরিক্ত জনসংখ্যার চাপ, অর্থনৈতিক দুর্বলতা এবং আরও নানা আকস্মিক দুর্যোগেও গৃহহীন হয় বহু মানুষ। দেশে রয়েছে একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গৃহহীন পরিবার। এ কারণেই প্রয়োজন হয়েছে তাদের আশ্রয়ণের ব্যবস্থা। খাসজমিতে গুচ্ছ ভিত্তিতে এসব ঘর তৈরি হচ্ছে। কোথাও কোথাও এসব ঘরের নাম দেওয়া হচ্ছে ‘স্বপ্ননীড়’, কোথাও নামকরণ হচ্ছে ‘শতনীড়’, আবার কোথাও ‘মুজিব ভিলেজ’। সরকারের এই উদ্যোগ বিশ্বের ইতিহাসে নতুন সংযোজন বলে জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্ব ইতিহাসে নতুন রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে।

এফ এম শাহীন বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে একজন মানুষের জন্য শুধু ঘর নয়, একটি স্বপ্ন পূরণ করা, একটি স্বপ্নের জ্বাল বুনে দেওয়া। আমরা যারা এখানে বসে কথা বলছি তারা কিন্তু কেউই এই ব্যথা অনুভব করতে পারবো না, যারা গৃহহীন অবস্থায় রাত কাঁটায় বা গৃহহীন অবস্থায় জীবন যাপন করে। একটি গৃহহীন মানুষের মাথার উপরে ছাদ নির্মাণ করে দেওয়া যে কতো বড় মহৎ কাজ সেটি আমার পূর্ববর্তী বক্তারা ভালোভাবেই ব্যাখ্যা করে গিয়েছেন। আমি শুধু বলতে চাই, একজন গৃহহীন মানুষের জন্য ঘর করে দিয়ে তার ও তার পরিবারকে নতুন করে স্বপ্ন দেখানোর সুযোগ করে দেওয়া এবং সে পরিবারটি নতুন করে জীবন উপভোগ করে নতুনভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর মতো উদ্যমী শক্তি পায়। এই স্বপ্নটি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন আমাদের বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা।

তার পিতাও এই স্বপ্নটি দেখেছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন বৈষম্যহীন রাষ্ট্র, বৈষম্যহীন সমাজ, অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র, ক্ষুধামুক্ত রাষ্ট্র, যে সোনার বাঙলা সেটি বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ১৯৭৫ সালে এই স্বপ্নটাকে কিভাবে নির্মমভাবে ভুন্ডুল করা হয়েছে, কিভাবে হত্যা করা হয়েছে। এখন তাঁর রয়ে যাওয়া স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন তাঁরই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। পৃথিবীতে এটিই প্রথম এবং একমাত্র ঘটনা; একসঙ্গে এতো মানুষকে জমির মালিকানা দিয়ে পাকা ঘর করে দেওয়া। এটি মূলত মুজিববর্ষে গরিব ও অসহায় মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার। একটি ঘর শুধু একটি আশ্রয়স্থল নয়, যার কিছুই ছিল না এই ঘরটি তার জন্য আত্মমর্যাদার। এই ঘরের মালিকরা সপরিবারে বিভিন্ন সেবা পাবে; শিক্ষা-স্বাস্থ্য, সুপেয় পানিসহ সকল নাগরিক সুবিধা দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণের আওতায় এনে স্বনির্ভর করা হবে। এতে দারিদ্র্যতা বিমোচন হবে। অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।

এখন আমার কথা হচ্ছে এই ঘরগুলো যেন কোনভাবে মানবসৃষ্ট দুর্যোগের কবলে না পরে, সেজন্য সরকারের উচিৎ এই ব্যাপারে সুস্থ পদক্ষেপ নেওয়া।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 nagorikkhobor.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com