1. nagorikkhobor@gmail.com : admi2017 :
  2. shobozcomilla2011@gmail.com : Nagorik Khobor Khobor : Nagorik Khobor Khobor
বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:২৩ পূর্বাহ্ন

প‌রীমনির অ‌ভি‌যো‌গের সা‌থে ঘটনার ‌মিল পা‌চ্ছে না পু‌লিশ ! রা‌তে ক্লা‌বে ‌কি ঘ‌টে‌ছিল

বি‌শেষ প্রতিবেদক:
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন, ২০২১
  • ১১৩৫ বার পঠিত

প‌রীমনির অ‌ভি‌যো‌গের সা‌থে ঘটনার ‌মিল পা‌চ্ছে না পু‌লিশ ! ৮ জুন বোর্ড ক্লা‌বের ঘটনার এক‌দিন আ‌গে ৭ জুন  গুলশানের অল ক‌মি‌নি‌টি ক্লাবেও ব‌্যাপক ভাঙচুর চালায় প‌রীম‌নি। নি‌বিড় তদ‌ন্ত কর‌ছে পু‌লি‌শ। 

চলচ্চিত্র নায়িকা পরীমন‌িকে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় সাভার থানায় যে মামলা হয়েছে, সেই মামলার এজাহারের বর্ণনার সঙ্গে পরীমনির বক্তব্যের মিল পাচ্ছেন না তদন্ত-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এ কারণে পরীমণির অভিযোগ নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা ইতোমধ্যে ঘটনার আদ্যোপান্ত জানতে ঢাকা বোট ক্লাবের সিসিটিভি ফুটেজও সংগ্রহ করেছেন।

সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণের পাশাপাশি তদন্ত-সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনার দিন রাতে ঢাকা বোট ক্লাবের দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গেও কথা বলেছেন। ঘটনার বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জানতে চাইবেন পরীমনির কাছেও। তবে প্রাথমিক তদন্তে বোট ক্লাবের ঘটনার সঙ্গে পরীমনির অভিযোগের অনেক কিছু মিলছে না বলে মনে করছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।

মামলার তদন্ত  কর্মকর্তা ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) আব্দুল্লাহিল কাফি নাগ‌রিক খবর‌কে বলেন, ‘আমরা প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটনের জন্য যা যা করণীয় সবই করছি। সেই রাতে ক্লাবে কী ঘটেছিল, নিবিড়ভাবে তদন্ত করে আমরা সেই সত্য তুলে আনতে চাই। তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য আমরা আদালতে জমা দেবো।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পরীমনি সাভার থানায় দায়ের করা মামলায় বলেছেন, সেই রাতে পূর্ব পরিচিত অমিসহ কয়েকজন পরিকল্পতভাবে দুই মিনিটের কাজ আছে বলে পরীম‌নিকে ঢাকা বোট ক্লাবের সামনে নিয়ে যান। সেখানে তারা গাড়িতে অপেক্ষা করেন। ছোট বোন বনির প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ায় তারা বারের পাশের একটি টয়লেট ব্যবহার করতে ভেতরে প্রবেশ করেন। কিন্তু ঢাকা বোট ক্লাবের প্রবেশ পথ ও অভ্যর্থনা কক্ষে থাকা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, বোট ক্লাবের সামনে গাড়ি এসে থামার সঙ্গে সঙ্গেই সাভাবিকভাবেই পরীমণি ও তার সঙ্গীরা ক্লাবের ভেতরে প্রবেশ করেন। পরীমণি ক্লাবে প্রবেশ করেন ১২টা ২২ মিনিটে, আর ক্লাব থেকে তাকে ধরাধরি করে বের করা হয় ১টা ৫৯ মিনিটে।

এই এক ঘণ্টা ৩৭ মিনিট ঢাকা বোট ক্লাবের ভেতরে কী করেছেন পরীমন‌ি !

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলছেন, আলোচিত এই ঘটনার পর তারা দ্রুত অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন দুই অভিযুক্ত ও মামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামি নাসির ইউ মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমিকে গ্রেফতার করেছেন। রিমান্ডের জিজ্ঞাসাবাদে অমি বলেছেন, তারা ক্লাবের ভেতরে গিয়ে নাসির ইউ মাহমুদসহ একসঙ্গে মদ পান করেন। শেষে একটি বোতল নেওয়া নিয়ে প্রথমে একজন কর্মচারীর সঙ্গে পরীমণি বিতণ্ডা করেন। সেই বিতণ্ডায় যোগ দেন নাসির ইউ মাহমুদসহ আরও কয়েকজন।

ঢাকা বোট ক্লাবে যাওয়ার আগে পরীমণির বনানীর বাসায় বসেই এক বোতল মদ পান করেন তারা সবাই। এ সময় বাসাতে নাট্যপরিচালক চয়নিকা চৌধুরীও ছিল বলে পুলিশকে জানিয়েছেন অমি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বছর দুয়েক আগের পরিচয় সূত্র ধরে অমির সঙ্গে ঘনিষ্ট সম্পর্ক হয়েছে পরীমণির। পৈত্রিকসূত্রে আদম ব্যবসায়ী তুহিন সিদ্দীকি অমিকে উচ্চবিত্ত সমাজে ‘নারী সাপ্লায়ার’ হিসেবেই চেনে সবাই। দক্ষিণখানে তার বিশাল একটি বাগান বাড়িও রয়েছে।

গোয়েন্দা পুলিশের কাছে অমি স্বীকার করেছেন, মদ্যপ অবস্থায় নাসির ইউ মাহমদু পরীমণিকে কয়েকটি চড় দিয়েছিলেন। এ সময় মেঝেতে পড়ে যান পরীমণি। মদ্যপ থাকায় পরীমণিকে তারা ধরাধরি করে গাড়িতে এনে তোলেন। তিনি দুই পক্ষকেই ঠাণ্ডা করার চেষ্টা করেছেন। ঘটনার পর পরীমণিকে একাধিক ক্ষুদেবার্তাও পাঠানো হয়।

ঢাকা বোট ক্লাবের ওই ঘটনায় পরীমণির সঙ্গে থাকা কস্টিউম ডিজাইনার জিমি বিতণ্ডার সময়ের ১৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও করেছিলেন। সেই ভিডিওতে চিৎকার-চেঁচামেচির সময়ে নাসির ইউ মাহমুদকে বলতে শোনা যায়, ‘অমি তুমি এগুলাকে আর ক্লাবে আনবা না।গ্রেপ্তারের পর নাসির উদ্দিন ঘ‌টে যাওয়া ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। তাতে তিনি বলেছেন, পরীমনি কাউন্টারে গিয়ে ব্লু লেবেল ব্র্যান্ডের এক লিটারের একটি মদের বোতল চান। পরে অভ্যর্থনা কক্ষে রাখা তিন লিটারের ব্লু লেবেলের একটি বোতল নিয়ে যেতে চান। এ সময় নাসির উদ্দিন বাধা দেন এবং ক্লাবের নিরাপত্তাকর্মীদের ডাকেন। তখন পরীমনি ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এ সময় পরীমনির সঙ্গে থাকা তাঁর কস্টিউম ডিজাইনার ফরিদুল করিম (জিমি) বোতল ভাঙচুর করেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পরিমনীকে চড় মেরেছেন বলেও স্বীকার করেন নাসির উদ্দিন মাহমুদ।

মামলার এজাহারে পরীমণি অভিযোগ করেন, বোট ক্লাবে বারের টয়লেট ব্যবহার শেষে নাসির তাকে কফি খাওয়ার অফার করেন। বিষয়টি এড়িয়ে গেলে নাসির মদের বোতল তার মুখে ঠেসে ধরেন। এতে তিনি দাঁত ও ঠোটে ব্যথা পান। তদন্ত সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানান, তদন্ত কর্মকর্তা ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পরীমণির সঙ্গে কথা বলবেন। এমনকি আলাদা আলাদা করে তার সঙ্গীদের সঙ্গেও কথা বলা হবে।

মামলার এজাহা‌রে প‌রিমনীর বক্তব‌্য কি ছিল!

মামলার এজাহারে পরীমণি বলেন, ‘গত ৮ জুন রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার বনানীর বাসা থেকে কস্টিউম ডিজাইনার জিমি (৩০), অমি (৪০) ও বনিসহ (২০) দুটি গাড়িযোগে উত্তরার উদ্দেশে রওনা হই। পথে অমি বেড়িবাঁধস্থ ঢাকা বোট ক্লাবে তার দুই মিনিটের কাজ আছে বলে জানায়। অমির কথামতো সবাই রাত আনুমানিক ১২টা ২০ মিনিটের দিকে ঢাকা বোট ক্লাবের সামনে গিয়ে গাড়ি দাঁড় করাই। কিন্তু বোট ক্লাব বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অমি কোনও এক ব্যক্তির সঙ্গে ফোনে কথা বলে। তখন ঢাকা বোট ক্লাবের সিকিউরিটি গার্ডরা গেট খুলে দেয়। পরে আমার ছোট বোন বনি প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে বোট ক্লাবে প্রবেশ করে ও বারের কাছের টয়লেট ব্যবহার করি। টয়লেট হতে বের হতেই এক নম্বর বিবাদী নাসির উদ্দিন মাহমুদ আমাদের ডেকে বারের ভেতরে বসার অনুরোধ করেন এবং কফি খাওয়ার প্রস্তাব দেন। আমরা বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চাইলে অমিসহ এক নম্বর আসামি মদপানের জন্য জোর করেন। আমি মদপান করতে না চাইলে এক নম্বর আসামি জোর করে আমার মুখে মদের বোতল প্রবেশ করিয়ে মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করে। এতে আমার সামনের দাঁতে ও ঠোঁটে আঘাত পাই।’

এদিকে এজাহার দায়েরের আগে বাসায় সংবাদ সম্মেলন ও গোয়েন্দা কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পরীমণি বলেছেন, তাকে পানীয়র সঙ্গে জোর করে কিছু খাওয়ানো হয়েছিল। যাতে তার গলা ও বুক জ্বলছিল। সেটির কারণেই ঘটনার দিন রাতে বনানী থানায় গিয়ে তিনি অসংলগ্ন আচরণ করেছিলেন।

পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী  জা‌নি‌য়ে‌ছেন ,৮ জুন রাত সাড়ে তিনটার পর পরীমণি বনানী থানায় গিয়ে অভিযোগ করতে চান। কিন্তু তিনি অপ্রকৃতিস্থ থাকায় ও অসংলগ্ন কথাবার্তা বলায় পুলিশের একটি দল তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে পৌঁছে দেয়। পরদিন তাকে সুস্থ হয়ে থানায় আসতে বলা হয়। কিন্তু তিনি পরদিন আর থানায় আসেননি।’

এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে পরীমণি বলেন, ‘আমি কি মদ খেতে বোট ক্লাবে গিয়েছিলাম? এটা কি বিশ্বাসযোগ্য? আমাকে মদের সঙ্গে কিছু একটা খাওয়ানো হয়েছিল। আমি তখন মরে যাচ্ছিলাম। সেটি জানানোর জন্যই আমি থানায় গিয়েছিলাম। আমিই বলেছি আমাকে হসপিটালে নিয়ে যান।’ একদিন আগেই মিন্টো রোডের গোয়েন্দা কার্যালয়ে এসব কথা বলেন পরীমণি।

বোট ক্লাবের ওই ঘটনার একদিন আগে গুলশানের অল কমিউনিটি ক্লাবে গিয়েও ভাঙচুর করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে পরীমণির বিরুদ্ধে। এ দিন তার সঙ্গে সাবেক প্রেমিক তামিম হাসানও ছিলেন।

বুধবার (১৬ জুন) এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরীমণি বলেছেন, ‘আমি যদি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়েই থাকি, তাহলে এতদিন (৮ দিন) পরে কেন সেটি মিডিয়ায় এলো। আমার সঙ্গে যেটা (ঢাকা বোট কাবে নির্যাতন) হয়েছে, হওয়ার পরের চার দিন কিন্তু আমি বসে থাকিনি। সবাইকে জানানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু ওরা কী করেছেন? আমি যদি কোনও অপরাধ করে থাকি, তাহলে তারা কেন এতদিন চুপ করে ছিলেন? আমি যখন অভিযোগ করলাম, তাদের (ঢাকা বোট ক্লাবে নির্যাতনে অভিযুক্ত নাসির ইউ মাহমুদ) বিষয়টি সামনে আনলাম তখন তারা (অল কমিউনিটি ক্লাস) এটি নিয়ে কথা বলছে। বোঝাই যাচ্ছে, আসল ঘটনার ফোকাস ঘোরানোর চেষ্টা।’

উল্লেখ্য, রবিবার (১৩ জুন) রাত সোয়া ৮টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় নায়িকা পরীমণি নিজেকে ধর্ষণচেষ্টা, হত্যাচেষ্টা ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ করেন। এর বিচার চেয়ে আবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী বরাবর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আমি পরীমণি। এই দেশের একজন বাধ্যগত নাগরিক। আমার পেশা চলচ্চিত্র। আমি শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছি। আমাকে রেপ এবং হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।’

পরদিন সোমবার সাভার থানায় নির্যাতন ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে ঢাকা বোট ক্লাবের এন্টারটেইনমেন্ট অ্যান্ড কালচারাল অ্যাফেয়ার্স সেক্রেটারি নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও অমিসহ অজ্ঞাত চার জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন পরীমণি।

বোর্ডক্লা‌বের ঘটনার আ‌গের দিনও পরীমনি গুলশা‌নের পরীম‌নি অল ক‌মি‌নি‌টি ক্লাবে ভাঙচুর করার অভিযোগ:

এদিকে পরীম‌নি  ৭ জুন রাতে গুলশানের অল কমিউনিটি ক্লাবে ভাঙচুর করেছেন বলে গতকাল গণমাধ্যমে খবর বের হয়। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পরীমনি ব‌লেন ‘এটা ফালতু একটা অভিযোগ। এত দিন পরে কেন এ অভিযোগ?’

পুলিশ সূত্র জানায়, ৭ জুন গভীর রাতে ‘৯৯৯’ থেকে কল পেয়ে গুলশান থানার টহল পুলিশ গুলশান ২ নম্বরে অল কমিউনিটি ক্লাবে যায়। সেখানে গিয়ে পুলিশ দেখতে পায় পরীমনিসহ তিন ব্যক্তি ক্লাব ভাঙচুর করছেন। তাঁদের মধ্যে একজন নারী ও আরেকজন পুরুষ রয়েছেন। এ সময় পুলিশ পরীমনিকে নিবৃত্ত করে বাসায় পাঠায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে  পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী জানান , গতকাল পর্যন্ত এ বিষয়ে অল ক‌মি‌নি‌টি ক্লাব কর্তৃপক্ষ বা অন্য কেউ থানায় অভিযোগ, মামলা বা সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেনি। ক্লাব কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করলে পুলিশ তা খতিয়ে দেখবে।

ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে অল কমিউনিটি ক্লাবের সভাপতি কে এম আলমগীর ইকবাল ব‌লেন ঘটনার দিন পরীমনি একজন নারী ও একজন পুরুষ সঙ্গীকে নিয়ে নিয়ম ভেঙে ক্লাবে হট্টগোল করেছেন। তাঁর পোশাক দেখে ক্লাবের একজন সদস্য আপত্তি তোলেন। তাঁকে চলে যাওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু পরীমনি কথা না শোনায় ওই সদস্য নিজেই চলে যান।

পরীমনি যে সদস্যের মাধ্যমে এসেছিলেন, তিনিও পরীমনিকে চলে যেতে বলেন। পরীমনি কথা না শোনায় একপর্যায়ে ওই সদস্যও চলে যান। তখন পরীমনি চিৎকার–চেঁচামেচি শুরু করেন। ক্ষিপ্ত হয়ে গ্লাস, ছাইদানি ছুড়ে মারতে থাকেন। তিনি ১৫টি গ্লাস, ৯টি ছাইদানি, ১৪টি হাফ প্লেট ছুড়ে মেরেছেন। তাঁরাই আবার ৯৯৯-এ কল করে পুলিশ ডেকে আনেন। কিছুক্ষণ পর পুলিশের অনুরোধে পরীমনি ও তাঁর সঙ্গীরা চলে যান। এরপর আর কোনো ঘটনা ঘটেনি।

অল কমিউনিটি ক্লাবের সভাপতি জানান, পরীমনি যে সদস্যের সঙ্গে ক্লাবে এসেছিলেন, তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ক্লাবের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 nagorikkhobor.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com