1. nagorikkhobor@gmail.com : admi2017 :
  2. shobozcomilla2011@gmail.com : Nagorik Khobor Khobor : Nagorik Khobor Khobor
শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
রানা, ও মেহেবুব হোসেন রিপনের নেতৃত্বে এক বিশাল র‍্যালি গোপালগ‌ঞ্জে দিনমুজুর‌কে হত্যা মামলায় গ্রেফতার, নবজাতক দুই বোন নিয়ে দিশেহারা ছোট ভাই শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ কর‌তে হ‌বে, না করলে প্রশাসক নিয়োগ হ‌বে- সাখাওয়াত বাংলাদেশ থেকে জাপানি সৈন্যদের দেহাবশেষ ফিরিয়ে নিবে আজারবাইজানে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় সিপিজের খোলা চিঠি ড. ইউনুসকে যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম গ্রেফতার শপথ নিলেন নতুন তিন উপদেষ্টা কু‌মিল্লায় ডাকাতির নাটক সাজিয়ে প্রতিবন্ধী ভাতিজাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা ক‌রে চাচা রাজধানীর কাকরাইলে সভা সমা‌বেশ নি‌ষিদ্ধ

আম বিক্রি করতে পারছেন না রাজশাহীর ব্যবসায়ীরা

রাজশাহী সংবাদদাতা:
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১৩ জুন, ২০২১
  • ৩৫০ বার পঠিত

করোনা ও সর্বাত্মক লকডাউনের প্রভাবে রাজশাহীতে আমের দাম ও ক্রেতা কমেছে। এছাড়াও থেমে থেমে চলছে মৌসুমি বৃষ্টি। এতে করে ক্রেতা সংকটে পড়েছে রাজশাহীর আম ব্যবসায়ীরা।

 

শনিবার ( ১২ জুন) রাজশাহী মহানগরীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, গুটি (আটি), গোপালভোগ, হিমসাগর (খিরসাপাত) ছাড়াও বাজারে উঠেছে ল্যাংড়া জাতের আম। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমের ভরা মৌসুমে বাজারে ক্রেতার উপস্থিতি স্বতঃস্ফূর্ত হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। করোনা সংক্রমণ ও লকডাউনের প্রভাবে আমের বাজারে শুধু ক্রেতা কমই নয়, কমেছে আমের দামও।

প্রতি মণ আম গড়ে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে। ক্রেতার উপস্থিতি না বাড়লে আমের দাম আরও কমার আশংকা করছেন ব্যবসায়ীরা। উত্তরাঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তম আমের হাট রাজশাহীর বানেশ্বর, নগরীর শিরোইল বাসস্ট্যান্ড, সাহেব বাজার, শালবাগান ঘুরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপ করে এসব তথ্য জানা যায়।

বিক্রেতারা বলছেন, করোনার মধ্যেও হাটে প্রচুর আম উঠছে। সেই তুলনায় আমের ক্রেতা কম। তাই আম বিক্রি করতে হচ্ছে কম দামে। ফড়িয়া ও আড়তদাররা কম দামে আম কেনার সুযোগ নিচ্ছেন। কিন্তু যেসব ক্রেতা নিজেদের খাওয়ার ও আত্মীয়-স্বজনের জন্য আম কিনতে চান, তারা হাটে আম কেনার সুযোগ পান না। এতে আমচাষী ও বাগান ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

পুঠিয়ার ঝলমলিয়ার আম ব্যবসায়ী মিনহাজ সাকিল বলেন, লকডাউন ঘোষণার আগে ক্রেতার উপস্থিতি থাকলেও বর্তমানে বানেশ্বর হাটে ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়েছে। তিনি লকডাউনের আগে প্রতি মণ ল্যাংড়া আম বিক্রি করেছিলেন ১৪০০ থেকে ১৭০০ টাকা মণ দামে। এছাড়া খিরসাপাত ১৬০০ থেকে ১৮০০ টাকা মণ ও গোপালভোগ ১৫০০ থেকে ২২০০ টাকা মণ দারে বিক্রি করেন। বর্তমানে বিভিন্ন জাতের আম প্রতিমণ ২০০ থেকে ৩০০ টাকা কম দামে বিক্রি হচ্ছে।

স্থানীয় ব্যবসায়ী রহমত আলী বলেন, লকডাউনের আগে ২০-৩০ মণ আম বিক্রি করতাম। বর্তমানে ১০-১২ মণ আম বিক্রি হচ্ছে। আগের চেয়ে আমের দাম মণ প্রতি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা কমে বিক্রি করতে হচ্ছে। তারপরও ক্রেতা কম থাকায় সব আম বিক্রি হচ্ছে না।

জানতে চাইলে বানেশ্বর হাটের ইজারাদার ওসমান আলী নাগরিক খবর কে  বলেন, করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে আমচাষী ও ব্যবসায়ীদের। এবার হাটে আমের ক্রেতা কম, কিন্তু উৎপাদন অনেক বেশি। তাই আমচাষিদের এবার খরচও উঠছে না। দাম কমে যাওয়ায় চাষিরা বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। আম সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকলে ব্যবসায়ী ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারতেন ব্যবসায়ীরা।’

আম সংরক্ষণের বিষয়ে রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. জি এম মোরশেদুল বারি বলেন, আপাতত কুল হাউস বা ফ্রিজআপে আম সংরক্ষণের কোনো ব্যবস্থা নেই। তবে বারোমাসি জাতের আম চাষ করলে বছরজুড়ে বাজারে আম সরবরাহ করা সম্ভব। ফল গবেষণা কেন্দ্রে এধরণের বাগান রয়েছে। এসব উচ্চ ফলনশীল বারোমাসি আমের জাত চাষি পর্যায়ে অবমুক্ত হলে চাষিরা লাভবান হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 nagorikkhobor.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com