পুলিশিং আর অন্য আট দশটি চাকুরির মতো নয়। বলা হয়ে থাকে “Policing is more than a job, it’s a way of life”। এখানে যেমন রয়েছে কঠোর পেশাগত শৃঙ্খলা (Chain of Command) এবং একই সাথে রয়েছে ব্যাপক ও নিরবচ্ছিন্ন জন সম্পৃক্ততা (Public engagement)।
পেশাগত কাজের ধরণ, পরিমাণ ও বৈচিত্র্য, জরুরী সাড়াদান, মাঠ পর্যায়ে নানামুখী চাপ, কর্মঘন্টা, যুগপৎভাবে চাকুরী ও জীবনের ঝুঁকি, জন প্রত্যাশা সবকিছু মিলিয়ে এটি প্রায় সকল দেশে, সকল সমাজেই অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং একটি পেশা হিসেবে গণ্য।
আর আমাদের মতো তুলনামূলক প্রতিক্রিয়াশীল হুজুগে সমাজে যেখানে সমাজের উল্লেখযোগ্য একটা অংশ যথেষ্ট সচেতন নন ও আইন মানার সংস্কৃতি তুলনামূলক দুর্বল এমন বাস্তবতায় পুলিশিং আরো জটিল ও চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়ায়। লক্ষ্যণীয় যে, বাংলাদেশ পুলিশ কর্তৃক সাম্প্রতিক সময়ে গৃহীত নানা সময়োপযোগী উদ্যোগের কারণে অত্যন্ত পেশাদার, গণমুখী ও স্বচ্ছ পুলিশিং ব্যবস্থার দিকে বাংলাদেশ পুলিশ ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছে।
একজন পুলিশ সদস্য হিসেবে অনুভব করি মাননীয় আইজিপি স্যারের নেতৃত্বে অতীতের যে কোন ত্রুটি, বিচ্যুতি শুধরে বাংলাদেশ পুলিশ সত্যিকার অর্থেই জনগণের পুলিশ হয়ে উঠতে মরিয়া! হয়তো সকলের প্রচেষ্টায় অচিরেই আমাদের দেশে পুলিশি সেবা কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছাবে। সক্ষমতা অনুযায়ী কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে সেবা প্রদান নিশ্চিত করতে পারলেও আশঙ্কা করছি, এই সমাজে ব্যক্তি কেন্দ্রিক পুলিশ জনপ্রিয়তা পেলেও সামগ্রিক ভাবে পুলিশিং কিংবা পুলিশ বিভাগ যথাযথ মূল্যায়ন পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হবে। সমাজের অধিকাংশই সচেতন ও যৌক্তিক হবার আগ পর্যন্ত হয়তো থ্যাংকলেস জব হিসেবেই বিবেচিত হবে (কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া)।কারণগুলো জটিল, বহুমুখী ও বহুমাত্রিক। আমাদের সামাজিক বাস্তবতার আলোকে আলোচনার দাবি রাখেঃ
* পুলিশের কর্ম প্রকৃতি (Job nature) মানুষের সাধারণ স্বার্থের পরিপন্থি। স্বভাবগতভাবে অধিকাংশ মানুষই চায় বিধি-বিধান না মেনে মুক্ত চলাচল করতে, অপরাধ করেও সহজে পার পেয়ে যেতে। পুলিশ সেখানে কাবাবে হাড্ডির মতো বেরসিক ব্যক্তি।
অপরাধীকে গ্রেপ্তার, অপরাধ তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদ, ভিভিআইপি সুরক্ষায় জনস্রোত নিয়ন্ত্রণ, যানবাহন থামিয়ে কাগজ পরীক্ষা, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, সরকারি প্রয়োজনে গাড়ি রিকুইজিশন কিংবা কোন অপমৃত্যুর ক্ষেত্রে লাশ পোস্টমর্টেম করার ব্যবস্থাগ্রহণ প্রভৃতি বিষয় যতই যৌক্তিক হোক, কেউই পছন্দ করে না কিংবা কেউই সহজে মেনে নিতে চায় না।
* ইউনিফর্মড সার্ভিস হিসেবে সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়ন তথা আইন প্রয়োগে পুলিশ সরকারের সবচেয়ে দৃশ্যমান বিভাগ (Visible Dept.)। তাই সাধারণত যারা সরকারকে পছন্দ করে না, তাঁরা স্বাভাবিকভাবেই পুলিশকেও পছন্দ করেন না।
* সমাজের উচ্চ অবস্থানে অধিষ্ঠিত ব্যক্তিবর্গের একটা অংশ যারা প্রচণ্ড শ্রেণি চেতনা ও (Class consciousness) শ্রেণি সংঘাতে (Class struggle) ভোগেন তাঁরা নিজেদের বিশেষ প্রজাতির মনে করেন বলে প্রচলিত আইন, বিধি-বিধান মেনে চলাটাকে সম্মানহানির বলে মনে করেন মর্মে প্রতীয়মান হয়। এমন বিশেষ ব্যক্তিবর্গের কাছে পুলিশ অহেতুক বিরক্ত উদ্রেককারী।
* মানুষ সাধারণত যৌক্তিক নিয়ন্ত্রণ, বাঁধা- নিষেধ পরিস্থিতি বিবেচনায় মেনে নিলেও মন থেকে গ্রহণ করতে পারে না। আবার কোন সদস্য শতভাগ ধৈর্য ও পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব সম্পাদন করতে না করতে পারলে এক ধরনের চাপা ক্ষোভ থাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত লোকজনের প্রতি।
এজন্যেই অনেক ঘটনায় সাধারণ মানুষের সংশ্লিষ্ট বিবেকবর্জিত অংশ সাধারণত পুলিশের বিরুদ্ধে হিংসা- বিদ্বেষ উগড়ে দেবার সুযোগ নেয়। ব্যতিক্রম ও আছে। একটু চিন্তা করলেই দেখবেন পুলিশ অনেক ঘটনা/দূর্ঘটনারই Shock Absorber হয়।
*পুলিশের তদন্ত কাজে সাধারণত দু’টি পক্ষ থাকে। বাদী ও বিবাদী। পুলিশ যদি শতভাগ নিষ্ঠার সাথেও তদন্ত করে দুই পক্ষকে একত্রে খুশি করতে পারে না। পুলিশ প্রতিবেদন (Charge sheet/Final report) কারো না কারো বিপক্ষে যাবেই। যার পক্ষে যায় সামাজিক কারণে তিনি সাধুবাদ জানিয়ে ধন্যবাদ না দিলেও প্রতিবেদন যার বিপক্ষে যায় তিনি অবশ্যই পেছনে চৌদ্দগুষ্টি সমেত গালমন্দ করবেন। আর, সমাজে যেহেতু কিছু ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর অপরাধীও কপটতার আশ্রয়ে নিজেকে ফেরেশতা দাবী করে অপরাধ জাস্টিফাই ( Defence mechanism) করে ফেলেন সেখানে নন্দ ঘোষ পুলিশই হয় দোষী (Scapegoat)।
* মানুষ স্বভাবতই প্রখর অনুভূতিপ্রবণ। পুলিশের কাছে মানুষ সাধারণত বিপদে পড়লেই যায়। তাই পুলিশের সাথে মানুষের প্রতিবেশ পরিস্থিতিজনিত কারণে অনেক ক্ষেত্রেই সুখস্মৃতি তৈরি হয় না।
যেমন, আপনি সুখকর সময়ে দারুণ অনুভূতি নিয়ে গোলাপের দোকানে কিংবা মিষ্টির দোকানে যান। সেক্ষেত্রে অবচেতনভাবেই এগুলো আপনার পছন্দের জায়গা বলে মনে স্থান করে নিবে! আবার হাসপাতাল, থানা কিংবা কবরস্থানে আমরা প্রচণ্ড দুঃসময়ে বাধ্য হয়ে যাই তাই সুখকর অনুভূতি/আবহ তৈরি হয় না।
*পেশাগত কারণে পরিস্থিতি বিবেচনায় পুলিশকে কিছু বিষয়ে গোপনীয়তা বজায় রাখার পাশাপাশি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কঠোর হতে হয়। আবার কোন বিষয় অত্যন্ত সংবেদনশীলতা, জবাবদিহিতা, বিধি ও পদ্ধতিগত জটিলতার কারণে সমাধানে দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হয়। এসব কারণে অনেক বিষয়ে কৌতূহলী, অস্থির ও অপরিণামদর্শী/নৈরাশ্যবাদী লোকজনের সাথে পুলিশ কৌশলী না হলে ভুল বুঝাবুঝি তৈরি হবার আশঙ্কা থাকে।
* পেশাগত দায়িত্ব ও অর্পিত পবিত্র ক্ষমতার কারণে প্রায় সকলেই পুলিশকে বেশ ক্ষমতাবান মনে করেন এবং ভাবেন পুলিশ চাইলেই সব পারে। বাস্তবতা হলো, আমাদের আর্থ- সামাজিক ও রাজনৈতিক সংস্কৃতির বাস্তবতায় এটি সম্পূর্ণ সত্য নয়। পুলিশকে সকলের সহযোগিতায় অর্পিত দায়িত্ব সম্পাদন করতে হয়। কখনো সদিচ্ছা ও নিষ্ঠা থাকার পরেও যথাযথ সেবা না দিতে পারলে লোকজন ভুল বুঝতে পারেন।
* যেহেতু পুলিশের কাজ অপরাধ নিবারণ তাই ভরসা ও প্রত্যাশার জায়গা থেকে অনেকেই এই পেশার নিয়োজিত সদস্যদের কাছ থেকে অন্তত অপরাধ সংঘটন আশা করেন না। কিন্তু, আদতে পুলিশও এই ঘুণেধরা সমাজের অংশ এবং পুলিশ সদস্যরাও রক্তে মাংসের মানুষ। পুলিশ বিভাগে যথাযথ জবাবদিহিতার সংস্কৃতি থাকার পরেও বৃহৎ পুলিশ পরিবারের গুটিকয়েক বিচ্যুত ও বিপথগামী পুলিশ সদস্যদের অন্যায় কর্মে জড়িয়ে পড়ার সংবাদ দ্রুতই Hot cake হিসেবে টক অব দ্যা কান্ট্রিতে পরিণত হয়। ফলে গুটিকয়েক সদস্যদের অন্যায়ের কারণে অযৌক্তিক ও ঢালাওভাবে পুরো পুলিশ বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর অসচেতন মানুষ পুলিশের অতীতের সকল সাফল্য, ত্যাগ ও দেশের প্রতি নিবেদন মুহূর্তেই ভুলে যায়।
*তথাকথিত বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে পুলিশকে সফট টার্গেট (Soft target) হিসেবে নিয়ে নিজের মেধা, সাহস আর নৈতিকতা প্রমাণের একটা অসুস্থ প্রবণতা আছে। জনপ্রিয় তত্ত্ব অনুযায়ী (Popularistic theory) হয়তো এতে বাজারে নিজের কাটতি বাড়ে। কারণ, মাঠে তো সরকার কিংবা পুলিশ বিরোধী একটা টার্গেট গ্রুপ সক্রিয় আছেই।
* সমাজে অতি আত্নকেন্দ্রীকতার সংক্রমণ ঘটায় বিবেকবোধ লোপ পাচ্ছে। একই অপরাধ নিজে কিংবা কাছের কেউ করলে সেটাকে দুষ্টামি/ছোট্ট ভুল বুঝাবুঝি বলে পুলিশের কাছে অবৈধ তদবির করতে যিনি দ্বিধা করেন না, তিনিই আবার অন্যের ক্ষেত্রে এই অপরাধকে জঘন্যতম অপরাধ হিসেবে আখ্যা দেন, বিচার দাবি করেন।
পুলিশকে এ ধরনের দ্বিচারিতা ও অন্যায় তদবিরের মুখোমুখি হার হামেশা হতে হয়। এক্ষেত্রে আইনের বাইরে যাওয়ার সুযোগ থাকে না। তাই, আইন অনুযায়ী পেশাদার আচরণ করলে অনেকেই সেটা মেনে নিতে পারেন না। ফলশ্রুতিতে, পুলিশ পরিস্থিতির শিকার হয়ে অনেক অবিবেচকদের কাছেই খারাপ/অসহযোগী বলে পরিগনিত হয়।
*সমাজে আমাদের ভেতরে কারো কারো পরশ্রীকাতরতা লক্ষ্যণীয়। অন্য কারো শ্রী কেউ সহজে পছন্দ করি না। পুলিশের চাকুরীতে অনেক প্রতিকূলতা থাকলেও চাকুরীটা নিঃসন্দেহে বেশ আকর্ষণীয়, কার্যকর এবং দুঃসাহসিক যা অনেককেই আকৃষ্ট করে। বিপদগ্রস্ত মানুষের কাছে গিয়ে নিমেষেই উপকার করার সুযোগ এবং সক্ষমতা আছে এখানে। বিপদে পাশে দাঁড়ানোর এই হিরোইজমের সুযোগ অনেকের নেই কিংবা পায়নি বলেও পুলিশ গাত্রদাহের কারণ হতে পারেন।
*নৃতাত্বিক, সামাজিক ও ঐতিহাসিক কারণে আমাদের সমাজের বড় একটা অংশ প্রতিক্রিয়াশীল । অভিজ্ঞতায় দেখেছি, অনুকূল পরিস্থিতির সুযোগে একজন আপাত নিরীহ ব্যক্তিও হিংস্র হয়ে উঠতে পারেন। আইন অমান্য করা কিংবা বিচ্যুত আচরণ করাকে অনেকেই ক্ষমতার প্রতীক এবং কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে বিনোদনও মনে করেন। সেখানে দায়িত্বের অংশ হিসেবে পুলিশি বাঁধা পুলিশকে সহজেই প্রতিপক্ষ বানিয়ে দেয়।
*সমাজের দুর্বল চরিত্রের মানুষেরা নিত্যদিনের জমে থাকা হতাশা, জীবনের নানা ব্যর্থতা ও ক্ষোভ লাঘবে প্রায়শই মনস্তাত্ত্বিকভাবে কখনো ভাগ্যের কখনো সিস্টেমের আবার কখনো সরকারের উপর দায় দেয়। এমন নৈরাশ্যবাদীরা নিজেদের অক্ষমতা ঢাকতে কোন ইস্যুতে ভালো করে না জেনেই সরকার, প্রশাসন, পুলিশ কিংবা প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিবর্গকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে পছন্দ করেন। নিজ যোগ্যতায় যিনি ৪র্থ শ্রেণির চাকুরি পাবার যোগ্যতা রাখেন না তিনিও সকল সরকারি কর্মচারীকে অযৌক্তিকভাবে তাঁর গোলাম/চাকর মনে করে গালি দিয়ে মনে মনে শান্তি পেতে চান। এটা এক ধরণের Inferior Complexity থেকে কেউ কেউ করে থাকেন।
* পুলিশের কর্মকাণ্ড প্রায় অধিকাংশই দৃশ্যমান। ফলে জাজমেন্টাল সোসাইটিতে সম্মানিত নেটিজেনদের মধ্যে যারা উপদেশ/সমালোচনায় সিদ্ধহস্ত প্রায়শই পুলিশের দায়িত্ব নিয়ে সমালোচনায় সরব হন। তাই, অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে পরিস্থিতির প্রয়োজনে পুলিশ কঠোর হলে অনেকেই বলেন এতো কঠোরতা কেন?? আবার ধৈর্য ধারণ করে সংযম প্রদর্শন করলেও বলেন পুলিশ কেন কিছুই করেনি!!
মূলত, ফেসবুকে অযুত নিযুত সাবস্ট্যান্ডার্ড ব্যবহারকারীর অবাধ অপব্যবহার পরিস্থিতিকে ঘোলাটে করে। লক্ষ্যণীয় যে, উক্ত শ্রেণি নিজের কাজ ছাড়া আর বাকি সবার কাজ খুব ভালো বুঝেন।
তাছাড়া পারস্পরিক বোঝাপড়া, শ্রদ্ধা ও সমানুভূতির অভাবে বেশ বিভেদ রয়েছে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে। এক পেশার কষ্ট অনুভব করার মতো মানসিকতা অন্য পেশার মানুষের মাঝে নেই (সকলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য)। এটা সকলের জন্যেই ক্ষতিকর।
পরিশেষে বলবো আমি, আমরাও এই সমাজের অংশ। প্রিয় মাতৃভূমি আমাদের সকলের। প্রত্যেক সার্ভিসেই ভালো সদস্যের পাশাপাশি মন্দ লোকজন ও আছে। পুলিশেও অসৎ, অপেশাদার এবং অমানবিক সদস্য যে নেই তা নয়। তাঁরা অভিযুক্ত/চিহ্নিত হলে ঠিকই কঠোর শাস্তি নিশ্চিত হয়। কেউ কেউ হয়তো মনে করেন “পুলিশ সদস্য অপরাধ করেছে, ক্লোজড করা হয়েছে, এটা তো কোন শাস্তি না।” আপনাদের জ্ঞাতার্থে বলছি, ক্লোজড হওয়া মানে শাস্তির প্রক্রিয়া শুরু এবং পুলিশ বিভাগে উত্থাপিত/চিহ্নিত কোন অভিযোগই হালকা করে দেখার সুযোগ নেই।
বিনয়ের সাথে বলছি, এখানে অভ্যন্তরীণ জবাবদিহিতা নিঃসন্দেহে সর্বোচ্চ। বিচ্যুত সদস্যদের অনেকেই চাকুরিচ্যুত হয়। পুলিশ বিভাগ সহ প্রত্যেক বিভাগের অপেশাদার ও অন্যায়কারীদের উপযুক্ত পরিণতিই আমাদের প্রত্যাশা। তাই, আমরা যেন ঢালাওভাবে একটা বিভাগ নিয়ে অযাচিত মন্তব্য না করি।
এতে যারা অন্তত হৃদয়ে দেশপ্রেম ধারণ করে স্বচ্ছতা ও সম্মানের সাথে পথ চলতে চাই তাঁরা মর্মাহত হই। আমরা কেউ কারো চেয়ে আলাদা নই এবং সবাই সমান গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, সবাইকেই সবার প্রয়োজন হয়। তাই পারস্পরিক সম্মান, সৌহার্দ্য ও সহমর্মিতা অপরিহার্য। সকল পেশার দেশপ্রেমিক এবং স্বচ্ছ মানুষজনের প্রতি স্যালুট।
লেখক:সিনিয়র এএসপি লাকসাম সার্কেল,কুমিল্লা