মেয়ের সঙ্গে প্রেম করায় স্কুলছাত্র সৈকত হাসান আকাশকে (১৬) হত্যা করেন বাবা ইউপি সদস্য জিয়াউল হকসহ তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় ইউপি সদস্যসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। রোববার (২৩ মে) দুপুর ২টার দিকে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল হাইয়ের আদালতে আসামিরা হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। পরে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ শাহ কামাল আকন্দ পিপিএম। শুক্রবার (২১ মে) সন্ধ্যা ৭টার দিকে অষ্টধর ইউনিয়নের ভুগলির জিয়াউল হকের বাড়ির পেছন থেকে মাটি খুঁড়ে মরদেহ উদ্ধার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
জেলা গোয়েন্দা শাখার ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক শাহ কামাল আকন্দ পিপিএম বলেন, সদর উপজেলার অষ্টধর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমানের মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ভিকটিম আকাশের। তারা দুজন পরিবারের অগোচরে গত ২ মে কোর্ট ম্যারেজ করে যে যার বাড়িতে ফিরে যান।পরে বিষয়টি উভয় পরিবারের লোকজন জানতে পেরে বুধবার মেয়েটি ফোন করে আকাশকে তাদের বাড়িতে ডেকে নেয়। এরপর থেকেই আকাশ নিখোঁজ ছিল।
এদিকে, ছেলেকে খুঁজে না পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে আকাশের বাবা আক্রাম হোসেন বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম শুক্রবার প্রেমিকার বাবা ইউপি সদস্য জিয়াউল হকের বাড়ি তল্লাশি করে। পুলিশের নিখুত তল্লাশীতে ঘরের পাশে রক্তের দাগ বেরিয়ে আসে।এ সময় পুলিশের সন্দেহ আরোও বেড়ে যায়। একপর্যায়ে বাড়ির চারপাশে পুলিশি তদন্ত শুরু করে পুলিশ। উদ্ধার করা হয় মাটি খুঁড়ে আকাশ মিয়ার মরদেহ।
নিহত আকাশ উপজেলার ভুগলি মন্ডল বাড়ি গ্রামের মো. আক্রাম হোসেনের ছেলে। সে স্থানীয় অষ্টধার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে ১০ম শ্রেণির ছাত্র ছিল। মেয়েকে বিয়ে করে ফেলায় ক্ষোভে হত্যা করার কথা স্বীকার করে মেয়ের বাবা ইউপি সদস্য জিয়াউল হক।