ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ডায়রিতে বিভিন্ন দিনের যে চিত্র আছে সেই পরিপ্রেক্ষিতে তার ভেতরে মানসিক দ্বন্দ্বের যে উদ্ভব সেটা আমরা পর্যালোচনা করে দেখছি। সরাসরি সুইসাইডাল নোট না লিখলেও তার প্রচণ্ড মানসিক কষ্টগুলো ছিল সেগুলো এখানে ফুটে উঠেছে।
তিনি জানান, মুনিয়ার দেহে হত্যার মতো কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা তদন্ত করা হচ্ছে।
এদিকে মুনিয়ার পরিবার এটিকে হত্যাকাণ্ড দাবি করছে। সুরতহালের সময় উপস্থিত থাকা তার বোনের দাবি, আত্মহত্যার কোনো আলামত তিনি দেখেননি। মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহান বলেন, একটা মানুষ যদি ফাঁস দেয় তাহলে হাত-পা ছুড়াছুড়ি করলে টুলটা পড়ে যাওয়ার কথা কিন্তু টুলটা পড়েনি। টুলের দুইপাশে তার পা ঝুলে রয়েছে আর পা বাকানো ছিল এবং বিছানাও পরিপাটি ছিল।
উনি এখনো দেশে থাকা সত্ত্বেও প্রসাশন কেন তাকে গ্রেফতার করতে পারছে না এটা সবাই জানতে চায়। এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের জন্য রাষ্ট্রের সবোর্চ্চ সহযোগিতা আশা করেন তিনি।
গত মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) রাতে গুলশানের অভিজাত ফ্ল্যাটে নুসরাত জাহান মুনিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা সর্ব্বাত্বক তদন্ত করছে পুলিশ।সুত্র:সনি