চট্টগ্রাম নগরীতে বায়েজিদ বোস্তামির মাজারের পুকুর থেকে উদ্ধার খণ্ডিত লাশের পরিচয় মিলেছে। পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধার করা মাথার খুলিসহ হাড়গোড়গুলো নয় বছর বয়সী এক শিশুর। মাজারের পুকুরে কাছিমকে খাবার দিতে এসে সে পড়ে গিয়ে আর উঠতে পারেনি। পরবর্তীতে সে পুকুরে থাকা কাছিম ও মাছের খাবারে পরিণত হয়ে নির্মমভাবে মৃত্যুবরণ করে।
মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে প্রথমে পুকুর থেকে মাথার খুলি এবং সন্ধ্যায় দুই পাসহ কঙ্কালসার শরীরের নিম্নাংশ উদ্ধারের পর তার মা এসে শনাক্ত করেছেন বলে জানিয়েছেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি-উত্তর) আবু বকর সিদ্দিক।
নয় বছর বয়সী নূর আলমের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলায়। বাবার নাম নুর মোহম্মদ। মা-বাবার সাথে চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামির মাজার এলাকা সংলগ্ন ডাক্তার কামালের ভাড়া বাসায় থাকত। সোমবার দুপুর থেকে নিখোঁজের পর রাতে তার মা হেনা বেগম বায়েজিদ বোস্তামি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
এডিসি আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘মাজারের পুকুরটিতে বিশাল আকৃতির অনেকগুলো কাছিম আছে যেগুলোর একেকটার ওজন প্রায় ২০ থেকে ৩০ কেজি। মাজারের খাদেমরা সেগুলো গজারি-মাদারি বলেন। এছাড়াও আছে পাঙ্গাস সহ বেশকিছু রাক্ষুসে প্রজাতির মাছ। কাছিম এবং মাছগুলোর মাংসের প্রতি তীব্র আকর্ষণ আছে।
‘মাজার এলাকায় সিসি ক্যামেরায় ধারণ হওয়া দৃশ্যে দেখা গেছে, সোমবার দুপুর ১টা ২০ মিনিটে নূর আলম পুকুরে কাছিম ও মাছকে খাবার দিতে যায়। সিঁড়িতে বসে খাবার দেওয়ার সময় একপর্যায়ে সে পুকুরে পড়ে যায়। এসময় নূর আলম কাছিম ও রাক্ষুসে মাছের আক্রমণের শিকার হয়। এই আক্রমণে তার মাথা থেকে শরীরের বাকি অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরবর্তীতে তার মাংস কাছিম ও মাছগুলোর খাবারে পরিণত হয়।’
এ জাতীয় আরো খবর..