চীন বাংলাদেশকে এর আগেও ভ্যাকসিন পরীক্ষা করার অনুমতি দিয়েছিল। এছাড়া জাতীয় কমিটি তার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। চীনের ভ্যাকসিন তৈরির প্রতিষ্ঠানটির নাম সিনোভ্যাক রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড।
বিএমআরসির পরিচালক ডা. মাহমুদ উজ জাহান জানান, চীনের তৃতীয় ধাপের আইসিডিডিআরবি একটি ভ্যাকসিনের ট্রায়াল বাংলাদেশে করতে চাচ্ছে। নিয়ম হচ্ছে যে কোনও ট্রায়ালের জন্য নীতিগত অনুমোদন দেয় বিএমআরসি। তারা আমাদের কাছে এই ট্রায়ালের অনুমতি চেয়েছিল, আমরা এটা যাচাই-বাছাই করে, রিভিউ করে অনুমোদন দিয়েছি। তবে মাত্রই আমাদের মিটিং হলো, আইসিডিডিআরবিকে এখনও অফিসিয়াল চিঠি দিয়ে জানায়নি। তবে যেহেতু সিদ্ধান্ত হয়েছে, তাই বলা যাচ্ছে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এরপর আইসিডিডিআরবি ঠিক করবে, তারা কীভাবে এর পরবর্তী পদক্ষেপে যাবেন। প্রাথমিকভাবে সাতটি সরকারি কোভিড হাসপাতালের সঙ্গে তারা বসবেন, কীভাবে পরবর্তী ধাপে ট্রায়াল শুরু করবেন, তাদের পার্টিসিপেন্ট সিলেকশন কীভাবে হবে। এসবের পর ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর, স্বাস্থ্য অধিদফতরের কাছ থেকে বিভিন্ন ধাপের অনুমোদন বা অনুমতির প্রয়োজন রয়েছে।
যে সাতটি প্রতিষ্ঠানে টিকার পরীক্ষা হবে সেগুলো হলো মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল বার্ন ইউনিট-১, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, কুয়েত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ইউনিট-২ এবং ঢাকা মহানগর হাসপাতাল।